Panchayat System In West Bengal | Daily Gk Update 2022 | Most Important For Upcoming Exams

West Bengal Panchayat System

 Panchayat System In West Bengal | Daily Gk Update 2022 | Most Important For Upcoming Examsপশ্চিমবঙ্গের পাঁচটি প্রশাসনিক বিভাগের অধীনে ২৩টি জেলা আছে। প্রতিটি জেলার প্রধান হলেন ডিস্ট্রিক্ট কালেক্টর বা ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট (ডিম)। প্রশাসনিক কাজকর্ম সঠিকভাবে পরিচালনা করার জন্য প্রতিটি জেলাকে মহকুমায়, প্রতিটি মহকুমাকে (এর প্রধানকে বলে এসডিও) ব্লকে, ব্লকগুলিকে দুটি এককে অর্থাৎ গ্রামীণ একক (পঞ্চায়েত) ও পৌর এককে (ওয়ার্ড) বিভক্ত করা হয়েছে। ব্লকের প্রধানকে বলে। বিডিও প্রশাসনিক কার্যের সুবিধার্থে এবং রাজ্যের উন্নয়নমূলক কাজের জন্য ১৯৭০ সালে পশ্চিমবঙ্গে ত্রিস্তর পশ্চায়েত ব্যবস্থা চালু হয় (ভারতে প্রথম চালু হয় ১৯৫৯ সালে, রাজস্থানের নগৌড়ে)।

 Panchayat System In West Bengal:পশ্চিমবঙ্গের পঞ্চায়েত ব্যবস্থা

Role of panchayats in dispute resolution

  • ব্লকের অন্তর্গত কয়েকটি গ্রামকে নিয়ে গ্রাম পঞ্চায়েত তৈরি হয়। যার শীর্ষে থাকেন গ্রাম প্রধান। প্রতিটি ব্লকের অনেকগুলো গ্রাম পঞ্চায়েত নিয়ে গঠিত। হয় পঞ্চায়েত সমিতি।
  • এর সদস্যরা হলেন গ্রাম পঞ্চায়েতগুলোর গ্রাম প্রধান এবং ব্লকের বিধানসভার নির্বাচিত সদস্য (এমএলএ)। পঞ্চায়েত সমিতির প্রধান হলেন সভাধিপতি।
  • পঞ্চায়েত সমিতির তৃতীয় ধাপ জেলা পরিষদ। এর সদস্যরা হলেন পঞ্চায়েত সমিতি। সভাপতি, জেলার এমএলএ। এর প্রধান জেলা পরিষদের সভাধিপতি।

জেলা পরিষদ (সর্বোচ্চ স্তর)

⬇️

পঞ্চায়েত সমিতি (কতগুলো গ্রাম পঞ্চায়েত নিয়ে)

⬇️

গ্রাম পঞ্চায়েত (কতগুলো গ্রামকে নিয়ে)

 প্রধানত বলবস্তু রাই মেহতা কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে ভারতের বিভিন্ন অঙ্গ রাজ্যগুলির সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গেও ত্রিস্তর পঞ্চায়েত ব্যবস্থা গড়ে উঠেছে।

  • ভারতের প্রথম পঞ্চায়েত ব্যবস্থা গৃহীত হয় রাজস্থানের নগৌড়-এ ১৯৫৯ সালের ২রা অক্টোবর।
  • এই ত্রিস্তর ব্যবস্থার প্রথম বা প্রাথমিক স্তরে রয়েছে গ্রাম পঞ্চায়েত, দ্বিতীয় স্তরে রয়েছে।

পঞ্চায়েত সমিতি এবং তৃতীয় বা সর্বোচ্চ স্তরে জেলা পরিষদ। 

  • ১৯৯২ সালে ৭৩-তম সংবিধান সংশোধনী আইনের দ্বারা পশ্চিমবঙ্গের পশ্চায়েত ব্যবস্থার ক্ষেত্রে কিছু পরিবর্তন আনা হয়।  (Panchayat System In West Bengal)
  • এই পরিবর্তনগুলির মধ্যে পায়ের ব্যবস্থাকে সাংবিধানিক স্বীকৃতি দান, জনসংখ্যার ভিত্তিতে SC/ST আসন সংরক্ষণ, মহিলাদের জন্য ৩০.০০% আসন সংরক্ষণ, প্রতি পাঁচ বছর অন্তর নির্বাচন ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।
  • ১৯৭৮ সালে এরাজ্যে প্রথম স্থানীয় প্রতিষ্ঠানগুলির জন্য গণতান্ত্রিক নির্বাচনের ব্যবস্থা করেন পশ্চিমবঙ্গ সরকার (তৎকালীন বামফ্রন্ট সরকার)।

পঞ্চায়েতের কাজকর্মে স্বচ্ছতা আনতে পঞ্চায়েত দফতর ২০১৭ সালে ঘোষণা করে যে ২৫,০০০ টাকার বেশি কাজের ক্ষেত্রে চূড়ান্ত অনুমোদন দেবে জেলাশাসক।

  • এছাড়া প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েতে মনিটারিং কাম ইনস্পেকশন কমিটি করা বাধ্যতামূলক।

1. গ্রাম পঞ্চায়েত

Panchayati Raj Of Uttar Pradesh - UPPSC Exam Notes

 সংজ্ঞা 

সংবিধান সংশোধন অনুযায়ী পঞ্চায়েত ব্যবস্থার তৃণমূল স্তরে রয়েছে গ্রাম পঞ্চায়েত।

  • ১৯৭৩ সালের পশ্চিমবঙ্গ পঞ্চায়েত আইন অনুসারে একটি মৌজা বা উহার অংশ বা একাধিক পার্শ্ববর্তী মৌজা নিয়ে এক-একটি গ্রাম পঞ্চায়েত গঠিত হয়।
  • এই আইন অনুসারে প্রত্যেকটি গ্রামের জন্য একটি করে গ্রাম পঞ্চায়েত থাকবার কথা বলা হয়েছে।
  • প্রাপ্ত বয়স্কদের সার্বজনীন ভোটাধিকার এই গঠনের ভিত্তি এবং এই ভোট দানের ক্ষেত্রে ১৮ বছর হওয়া এবং রাজ্য বিধানসভার ভোটার তালিকাভুক্ত হওয়া বাধ্যতামূলক।  (Panchayat System In West Bengal)

গঠন 

গ্রামের জনসংখ্যা ৩০০ জন হলে গ্রাম পঞ্চায়েত গঠন করা যায়।

  • গ্রাম পঞ্চায়েতের মোট সদস্য সংখ্যা হবে ৫ থেকে ২৫ জনের মধ্যে এবং এই মোট সংখ্যাটি কত হবে তা নির্ধারণ করেন রাজ্য সরকার কর্তৃক নিযুক্ত ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক।
  • সদস্যগণ নির্বাচিত হন প্রাপ্তবয়স্কদের ভোটাধিকারের ভিত্তিতে।
  • নতুন পঞ্চায়েত আইনানুযায়ী মহিলাদের জন্য এক-তৃতীয়াংশ আসন সংরক্ষণের ব্যবস্থা এবং SC/ST-দের জন্য আসন সংরক্ষণের নিয়ম করা হয়েছে।
  • প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েত সংশ্লিষ্ট গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে নির্বাচিত সদস্যগণ, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ও সহ-সভাপতি এবং সংশ্লিষ্ট গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে নির্বাচিত পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যদের নিয়ে গঠিত হয়।
  • পঞ্চায়েত সমিতির যে সকল সদস্য গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য হবেন তারা প্রধান বা উপপ্রধান পদে নির্বাচিত হতে পারবেন না, তারা কোন ভোট দিতে পারবেন না বা কর্মকর্তা হতে পারবেন না।
  • সাধারণতঃ প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েতে পঞ্চায়েত সমিতির তিনটি আসন থাকে। পঞ্চায়েত সদস্যরা তাদের পদত্যাগ পত্র পেশ করেন BDO-র কাছে।

কার্যকাল : গ্রাম পঞ্চায়েতে সকল সদস্যদের কার্যকালের মেয়াদ ৫ বছর।

পঞ্চায়েত প্রধান ও উপপ্রধানের কার্য :

নবগঠিত গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রথম সভা আহ্বান করেন ব্লক উন্নয়ন আধিকারিক বা BDO।

  • এই সভায় পঞ্চায়েতের সদস্যগণ নিজেদের মধ্যে থেকে একজনকে প্রধান এবং উপপ্রধান নির্বাচিত করে।
  • এদের কার্যকালের মেয়াদ ৫ বছর তবে নির্দিষ্ট কার্যকাল শেষ হওয়ার পর ও তাদের উত্তরাধিকারী নির্বাচিত না হওয়া পর্যন্ত তাঁরা স্বপদে আসীন থাকেন
  • এবং মেয়াদকালের মধ্যে তাঁরা কেউ পদত্যাগে ইচ্ছুক হলে লিখিত পদত্যাগপত্র BDO-র কাছে পেশ করতে হয়।
  • প্রধানের অনুপস্থিতিতে উপপ্রধান দায়িত্ব পালন করেন।

প্রধানের ক্ষমতা: গ্রাম পঞ্চায়েতে সমস্ত অর্থনৈতিক বিষয় ও প্রশাসন পরিচালনা প্রধানের হাতে ন্যস্ত থাকে। তাঁর অনুপস্থিতিতে এই দায়িত্ব সামলান উপপ্রধান।

পঞ্চায়েতের কাজ:

(১) জনস্বাস্থ্য সংরক্ষণ,

(২) পানীয় জল সরবরাহ,

(৩) রাস্তাঘাট রক্ষণাবেক্ষণ,

(৪) মহামারী প্রতিরোধ,

(৫) কর ধার্য ও সংগ্রহ,

(৬) গ্রামোন্নয়নের জন্য শ্রমদান সংগঠন,

(৭) ন্যায় পঞ্চায়েত সংগঠন,

(৮) গ্রাম পঞ্চায়েত তহবিলের নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালন।

2. পঞ্চায়েত সমিতি

How effective are gram sabhas?

সংজ্ঞা

১৯৭৩ সালের পশ্চিমবঙ্গ পঞ্চায়েত আইন অনুসারে পঞ্চায়েত ব্যবস্থার দ্বিতীয় পর্যায়ে আছে পঞ্চায়েত সমিতি।

বর্তমানে প্রতি ব্লক পিছু একটি পঞ্চায়েত সমিতি আছে।

বর্তমান পঞ্চায়েত আইনানুযায়ী প্রতিটি জেলা কতগুলি ব্লকে বিভক্ত আবার একাধিক গ্রাম নিয়ে একটি ব্লক গঠিত হয় এবং প্রতিটি ব্লকে থাকে একটি পঞ্চায়েত সমিতি, যার নাম ঠিক হয় ব্লকের নাম অনুযায়ী।

ব্লক উন্নয়ন কর্মচারী বা BDO হলেন। পদাধিকার বলে পঞ্চায়েত সমিতির কার্যনির্বাহক কর্মাধ্যক্ষ (Executive Officer)।  (Panchayat System In West Bengal)

গঠন

পঞ্চায়েত সমিতি নিম্নলিখিত সদস্যদের দ্বারা গঠিত—

1. ব্লক এলাকার অন্তর্ভুক্ত গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানগণ (পদাধিকার বলে)।

2. ব্লক এলাকা বা তার অংশ থেকে নির্বাচিত লোকসভা বা বিধানসভার নির্বাচিত সদস্যগণ (মন্ত্রী বাদে) পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যপদ পেতে পারেন। এছাড়া বুক এলাকায় বসবাসকারী রাজ্যসভার সদস্যগণও এই সমিতির পদ পেতে পারেন (মন্ত্রী বাদে)।

3. ব্লক এলাকার গ্রামগুলি থেকে (প্রতি আড়াই হাজার ভোটদাতা পিছু একজন) পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য নির্বাচিত হন।

4. কোনো ব্লকের অন্তর্ভুক্ত নির্বাচনী অঞ্চল থেকে জেলা পরিষদে নির্বাচিত সদস্যরাও পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য হন।

5. মোট আসনের এক-তৃতীয়াংশ আসন মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত থাকে ও SC/ ST-দের জন্য পৃথক আসন সংরক্ষণের ব্যবস্থা রাখা হয়।.

কার্যকাল: পঞ্চায়েত সমিতির সকল সদস্যদের কার্যকালের মেয়াদ ৫ বছর।

সভাপতি/সহ-সভাপতি : এই সংস্থার সদস্যগণ বৈধ সভায় গোপন ব্যালটে নিজেদের মধ্য থেকে একজন সভাপতি ও সহ-সভাপতি নির্বাচিত করেন। এই অধিবেশনে মোট সদস্যদের এক-চতুর্থাংশের উপস্থিতি বাধ্যতামূলক।

সভাপতির কাজ: পঞ্চায়েত সমিতির যাবতীয় প্রশাসনিক এবং আর্থিক বিষয় পরিচালনা করা।

নিয়ন্ত্রণ: পঞ্চায়েত সমিতির একজন কার্যনির্বাহী আধিকারিক (Executive Officer) থাকেন এবং BDO পদাধিকার বলে এই পদটি অলঙ্কৃত করেন। এছাড়া একজন সচীব, একজন যুগ্ম ব্লক উন্নয়ন আধিকারিক নিয়োগ করা হয়। এরা পঞ্চায়েত সমিতির কাজে সাহায্য করেন।

পঞ্চায়েত সমিতির কাজ : পঞ্চায়েত সমিতি কৃষি, কুটির শিল্প, সমবায় আন্দোলন, গ্রামীন ঋণ ব্যবস্থা, জনস্বাস্থ্য, জল সরবরাহ, হাসপাতাল, প্রাথমিক ও বয়স্ক শিক্ষা যোগাযোগ ব্যবস্থা ইত্যাদির জন্য পরিকল্পনা গ্রহণ ও অর্থ সাহায্য তথা দুর্দশার সময় (বন্যা, খরা ইত্যাদি) ত্রাণের ব্যবস্থা করে থাকে।

3. জেলা পরিষদ

সংজ্ঞা ও গঠন: ত্রিস্তর পঞ্চায়েত ব্যবস্থার সর্বোচ্চ স্তর হল জেলা পরিষদ। প্রত্যেক জেলার নাম অনুযায়ী রাজ্য সরকার জেলা পরিষদ গঠন করেন। জেলা পরিষদ তিন ধরনের সদস্য দ্বারা গঠিত। যথা

1. পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতিগণ (পদাধিকার বলে)।

2. মন্ত্রী ব্যতীত জেলা থেকে নির্বাচিত লোকসভা ও বিধানসভার সদস্যগণ (পদাধিকার বলে) এবং জেলায় বসবাসকারী রাজ্যসভার সদস্যগণ ।

3. প্রতি ব্লক থেকে দুজন সদস্য (সার্বিক প্রাপ্ত বয়স্কদের ভোটাধিকারের ভিত্তিতে পাঁচ বছরের জন্য নির্বাচিত)।নতুন পঞ্চায়েত আইনানুসারে জেলা পরিষদের মোট আসনের এক-তৃতীয়াংশ মহিলাদের জন্য এবং নির্দিষ্ট সংখ্যক আসন SC/ST-দের জন্য সংরক্ষিত রাখতে হয়।  (Panchayat System In West Bengal)

কার্যকাল: জেলা পরিষদের কার্যকালের মেয়াদ ৫ বছর।

সভাধিপতি/সহকারি সভাধিপতি 

জেলা পরিষদের নির্বাচনের পর প্রথম সভায় নির্বাচিত সদস্যগণ নিজেদের মধ্য থেকে একজনকে সভাধিপতি ও অন্য একজনকে সহকারি সভাধিপতি নির্বাচিত করে। পদাধিকার বলে নিযুক্ত জেলা পরিষদের কোনো সদস্য এই দুটি পদে নির্বাচিত হতে পারেন না। সভাধিপতি ও সহকারি সভাধিপতির কার্যকালের মেয়াদ ৫ বছর।

সভাধিপতি/সহকারি সভাধিপতির কার্য 

জেলা পরিষদের সর্বোময় এবং প্রশাসনিক কর্তা হলেন সভাধিপতি। তাঁর পদটি রাষ্ট্রমন্ত্রীর মর্যাদাযুক্ত। জেলা পরিষদের যাবতীয় দলিলপত্র রক্ষণাবেক্ষণ, আর্থিক ও প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন করাই জেলা সভাধিপতির প্রধান কাজ। তাকে এই কার্যে সহায়তা করেন সহকারি সভাধিপতি।

নিয়ন্ত্রণ: জেলা পরিষদের কার্য দেখভাল করার জন্য নির্দিষ্ট কর্মীমন্ডলের শীর্ষে থাকেন একজন কার্যনির্বাহী আধিকারিক। তিনি নিযুক্ত হন রাজ্যসরকার দ্বারা। পশ্চিমবঙ্গে জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে এই কার্য সম্পাদনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তাকে সাহায্য করেন একজন অতিরিক্ত কার্যনির্বাহী আধিকারিক ( Additional Executive Officer) যিনি একজন IAS Officer এবং অতিরিক্ত জেলাশাসক-এর মর্যাদাসম্পন্ন হন। এছাড়া জেলা পরিষদের একজন কর্মসূচীৰ (Secretary) যিনি রাজ্যসরকার দ্বারা নিযুক্ত হন।

জেলা পরিষদের কাজ :

1. ব্লকের অন্তর্গত পঞ্চায়েত সমিতিগুলির প্রকল্পিত উন্নয়ন পরিকল্পনাগুলির মধ্যে সংহতি ও সমন্বয় সাধন করা জেলা পরিষদের প্রধান কাজ।

2. জেলার উন্নয়ন ও নিম্নতর পঞ্চায়েত সংস্থাগুলির বিষয়ে রাজ্য সরকারকে পরামর্শ দান।

3. কৃষি, জনস্বাস্থ্য, পশুপালন, যোগাযোগ ব্যবস্থা, কুটির শিল্প, সমবায় আন্দোলন, গ্রামীন-ঋণ ব্যবস্থা, জল সরবরাহ, সেচ, হাসপাতাল, প্রাথমিক ও বয়স্ক শিক্ষা, সামাজিক জনকল্যাণ ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয়ে উন্নয়নমূলক পরিকল্পনা গ্রহণ করা।

4. এছাড়া গ্রামীণ হাট-বাজার রক্ষণাবেক্ষণ, সাধারণ পাঠাগার, স্কুল ও অন্যান্য জনকল্যাণমূলক সংস্থাকে অনুদান অনুমোদন করা,

  • বৃত্তিমূলক শিক্ষার জন্য বৃত্তি প্রদান, গ্রাম পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতিকে অনুদান প্রদান, মহামারী প্রতিরোধ করা,
  • রাজ্য সরকার-এর নিয়ন্ত্রণাধীন সকল সম্পত্তি যেমন রাস্তাঘাট, ঘরবাড়ি, খাল-সেতু ইত্যাদি দেখভাল করা,
  • দুর্গতদের ত্রাণ সাহায্য, পঞ্চায়েত সমিতির আর্থিক বাজেট পরীক্ষা ও অনুমোদন ইত্যাদি কাজ জেলা পরিষদ করে থাকে।

জেলা পরিষদের স্থায়ী সমিতি— ১০টি। অর্থ, পূর্ত, জনস্বাস্থ্য, ত্রাণ, শিক্ষা, মৎস্য, কৃষি, সেচ, বিদ্যুৎ, ভূমিসংস্কার।

পুরনিগম

ভারতের বৃহৎ শহরগুলির/মহানগরগুলির স্থানীয় স্বায়ত্ত শাসন-এর ভার যে সংস্থার হাতে ন্যস্ত আছে তাদেরকে পুরনিগম আখ্যা দেওয়া হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে কলকাতা ছাড়া হাওড়া, চন্দননগর, দুর্গাপুর, আসানসোল ও শিলিগুড়ি নিয়ে ৬টি পুরনিগম বর্তমান।  (Panchayat System In West Bengal)

কলকাতা পুরনিগমের গঠনটি হল :

(১) একজন মেয়র,

(২) একজন ডেপুটি মেয়র,

(৩) একজন চেয়ারম্যান এবং

(৪) মেয়র-ইন-কাউন্সিল বা সপারিষদ মেয়র।

কার্যাবলী

জল সরবরাহ, ময়লা নিষ্কাশন, ভূগর্ভস্থ নালার পরিষ্কারকরণ, অস্বাস্থ্যকর এলাকার পুনরুদ্ধার, রাস্তাঘাটের পাশে বৃক্ষরোপন, কসাইখানার নিয়ন্ত্রণ, রাস্তায় আলোর ব্যবস্থা করা, বিপজ্জনক ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ, রাস্তাঘাটের মেরামতি, সংরক্ষণ ও নামকরণ ইত্যাদি।

 পৌরসভা

বৃহদাকার শহরগুলি ছাড়া অন্যান্য শহরের স্বায়ত্ব শাসনমূলক প্রতিষ্ঠানগুলিকে পৌরসভা বলা হয়। বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গে মোট পৌরসভার সংখ্যা ১২৪।

  • ১৯৯৩ সালের ২১ জুলাই পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় সর্বশেষ এবং নতুন একটি বিল ‘পশ্চিমবঙ্গ পৌর বিল পাশ হয়।
  • ১৯৯৪ সালের ১ জুন রাষ্ট্রপতির অনুমোদনক্রমে বিলটি আইনে পরিণত হয়। প্রত্যেক পৌরসভার কার্যনির্বাহের ভার কমিশনারদের উপর ন্যস্ত থাকে।
  • কমিশনারগণ তাঁদের নিজেদের মধ্য থেকে একজন সভাপতি ও একজন সহ-সভাপতি নির্বাচন করেন। এদের কার্যকালের মেয়াদ (সকলের) ৫ বছর।
  • কমিশনার-এর সংখ্যা সাধারণত ৯ থেকে ৩০-এর মধ্যে হতে হয়।
  • কাজ
  • পার্ক, উদ্যান নির্মাণ, রাস্তাঘাট নির্মাণ ও সংস্কার, জল সরবরাহ, মহামারী ও সংক্রামক ব্যধি রোধে টীকাদান, হাসপাতাল, প্রসূতিসদন নির্মাণ, গোরস্থান, শ্মশানঘাট স্থাপন ইত্যাদি।

ব্লক : প্রত্যেকটি জেলা বিভিন্ন ব্লকে বিভক্ত। কতগুলি গ্রাম পঞ্চায়েত নিয়ে একটি ব্লক গঠিত হয়। বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গে ৩৪১টি ব্লক আছে।

জেলা সদর

কোনো জেলার প্রশাসনিক কার্য জেলাটির যে অঞ্চল হতে পরিচালনা করা হয় সেই স্থানকে জেলা সদর বলে। যেমন—হুগলি জেলার জেলা সদর হল চুঁচুড়া।

মহকুমা 

প্রশাসনিক কার্যের সুবিধার জন্য প্রতিটি জেলাকে কতগুলি অঞ্চল বা বিভাগে ভাগ করা হয়। এই প্রতিটি বিভাগ বা অঞ্চলই হল মহকুমা। যেমন—উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় ৫টি মহকুমা বর্তমান। যথা—বনগাঁ, বসিরহাট, বারাসাত, বারাকপুর ও বিধাননগর। বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গে মোট ৬৭টি মহকুমা আছে।

 

পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক বিভাগ ও সীমানা পুনর্বিন্যাস

স্বাধীনতার সময় পশ্চিমবঙ্গে মোট ১৪টি জেলা ছিল। 

  • ১৯৪৮ বিহারের ইসলামপুর মহকুমাকে পশ্চিম দিনাজপুরের অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
  •  ১৯৪৯ ১২ সেপ্টেম্বর কোচবিহার ভারতের অন্তর্ভুক্ত হয়।
  • ১৯৫০: ১ জানুয়ারি কোচবিহার পশ্চিমবঙ্গের ১৫তম জেলা হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়।
  • ১৯৫৪: ফরাসী অধিকৃত চন্দননগর হুগলি জেলার মহকুমা হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়।
  •  ১৯৫৬: বিহারের পুরুলিয়া মহকুমা পশ্চিমবঙ্গের ১৬তম জেলা হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়।
  • ১৯৫৬: বিহারের পূর্ণিয়া জেলার একাংশ পশ্চিম দিনাজপুরের অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
  • ১৯৮৬: ১ মার্চ চব্বিশ পরগনা জেলাকে দু’ভাগে বিভক্ত করা হয়—

(১) উত্তর চব্বিশ পরগনা (২) দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা। জেলার সংখ্যা হল ১৭টি।

  • ১৯৮৮ দার্জিলিং জেলাকে অতিরিক্ত স্বায়ত্বশাসিত অঞ্চলের অধিকার দেওয়া হয়।
  • ১৯৯২ ১ এপ্রিল পশ্চিম দিনাজপুর জেলাকে উত্তর দিনাজপুর ও দক্ষিণ দিনাজপুর এই দুটি জেলায় ভাগ করা হয়।

মোট জেলার সংখ্যা হল ১৮টি।

কোচবিহার জেলার মেখলিগঞ্জের তিনবিঘা জমিকে বাংলাদেশকে লিজ দেওয়া হয়।

  • ২০০২ ১ জানুয়ারি মেদিনীপুর জেলা পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় বিভক্ত হয়।
  • ২০১৪ জলপাইগুড়ি জেলা ভেঙে পশ্চিমবঙ্গের ২০-তম জেলা হিসেবে মর্যাদা পায়।

জেলার সংখ্যা হল ১৯টি।

আলিপুরদুয়ার। ২৫ জুন থেকে এই জেলা নতুন নামে কাজ শুরু করে।

  • ২০১৭: ১৪ ফেব্রুয়ারি পশ্চিমবঙ্গের ২১-তম জেলা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে কালিম্পং। শহরের প্রাণকেন্দ্র গ্রাহাম স্কুলের মাঠে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দার্জিলিং ভেঙে এই নতুন জেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।
  • ২০১৭: ৪ এপ্রিল পশ্চিমবঙ্গের ২২ তম জেলা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে ঝাড়গ্রাম। পশ্চিম মেদিনীপুর ভেঙ্গে নতুন জেলাটি গঠিত হল।

• ২০১৭ ৭ এপ্রিল পশ্চিমবঙ্গের ২৩-তম জেলা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে পশ্চিম বর্ধমান। বর্ধমান জেলা ভেঙে এই নতুন জেলা গঠিত হল।

Read More:- Mukesh Ambani News Today | টানা দুই বছর বেতনহীন মুকেশ আম্বানি | View More Details Here

Related Articles

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Latest Articles