Daily GK: Coochbehar District | Know Your Own District In Details | Population, Landform, Literacy

Daily GK: Coochbehar District

Daily GK: Coochbehar District | Know Your Own District In Details | Population, Landform, Literacy: Cooch Behar is one of the most important District In west Bengal. In 1998 came the Greater Cooch Behar People’s Association (GCPA) — and the title of ‘Maharaja’ for Ananta Rai — with the sole aim of ensuring that the ‘Greater Cooch Behar’ area is recognized either as a separate ‘C’ category state or a Union Territory. “Cooch Behar has been a part of democracy only for a few years. We have always been a monarchy. We have tried and adapted to the Constitution and democracy but it is not in our blood,” Rai says.

Daily GK: Coochbehar District: কোচবিহার জেলার ইতিহাসCooch Behar - Wikiwand

একসময় বৃহত্তর কামরূপ রাজ্যের অংশ ছিল আজকের কোচবিহার। সমুদ্রগুপ্তের এলাহাবাদ লিপিতে প্রাচীন কামরূপের উল্লেখ পাওয়া যায়।

  • পরবর্তীকালে কামরূপ ভেঙে দুটি টুকরো হয়ে যায়। তারই পশ্চিম অংশের নাম হয় কামতাপুর। আজকের কোচবিহার হল এই কামতাপুর।
  • কোচবিহার নামের উৎপত্তি হয় হিমালয়ের পাদদেশে কোচ, মেচ প্রভৃতি যে আদিম পার্বত্য জাতি বাস করত তাঁদের নাম থেকেই। কোচবিহার নামের অর্থ হল ‘কোচদের বাসস্থান’।

ষোড়শ শতাব্দীর শুরুতে এই অঞ্চলে রাজ্য স্থাপন করেন কোচ বংশীয় বীর হাজো। সেই রাজ্যের বিস্তার ঘটান হাজোর উত্তরসূরী রাজা বিশ্বসিংহ।

  • বিশ্বসিংহ কোচবিহার রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা (১৫১০ খ্রি.)। কোচবিহার রাজাদের নামের সঙ্গে যুক্ত হত ‘নারায়ণ’।
  • মুদ্রার প্রচলন করেন বিশ্বসিংহের পুত্র নরনারায়ণ নারায়ণী (রাজা নরনারায়ণ কামরূপে কামাখ্যা মন্দির নির্মাণ করেন। এটি ৫১ পীঠের একটি প্রসিদ্ধ পীঠ)।
  • এই মুদ্রার এক পিঠে দেবনাগরী হরফে মহাদেবের নাম অন্য পিঠে নরনারায়ণের নাম উৎকীর্ণ ছিল। কোচবিহার ও তার আশপাশের অনেক রাজ্যে এই মুদ্রা প্রচলিত হয়েছিল।
  • ইংরেজরা কোচবিহাররাজ ধৈর্যেন্দ্রনারায়ণকে ও ভুটানরাজাকে সাহায্য করবে এই মোতাবেকে ১৭৭৩ সালের ১৫ এপ্রিল একটি চুক্তি করে।
  • এই চুক্তি অনুযায়ী কোচবিহার ইংরেজের অধীনে একটি করদ মিত্র রাজ্যে পরিণত হয়।

Coochbehar Rajbari: The ticket price, online booking, timing -

ঊনবিংশ শতাব্দীতে রাজা নৃপেন্দ্র নারায়ণের হাত ধরে ইউরোপের আদলে কোচবিহার শহর নির্মিত হয়েছিল।

  • ভারত সরকারের সঙ্গে কোচবিহাররাজ জগদ্দীপেন্দ্র নারায়ণের চুক্তি হয় ১৯৪৯ সালের ১২ সেপ্টেম্বর।
  • এই চুক্তিতে ভারত সরকারের হাতে রাজ্যের শাসনভার আসে।
  • স্বাধীনতার পর কোচবিহার পশ্চিমবঙ্গের একটি জেলা বলে ঘোষিত হয় ১৯৫০ সালের ১ জানুয়ারি থেকে কোচবিহারের রাজভাষা ছিল বাংলা।
  • জেলার ৯৬ শতাংশ মানুষ বাংলায় কথা বলে। এরপর হিন্দির স্থান।
  • ষোড়শ শতাব্দীতে নরনারায়ণের রাজত্বকালে রামায়ণ ও মহাভারত বাংলায় অনূদিত হয়।
  • কবি শঙ্করদেব এই সময় ‘রাম বিজয়’ নাটক রচনা করেন।

একনজরে কোচবিহার জেলা

Make a trip to Coochbehar Palace, a dream built in brick

স্থাপনকাল: ১ জানুয়ারি ১৯৫০ খ্রিস্টাব্দ।

ভৌগোলিক অবস্থান

উত্তর অক্ষাংশ ২৬৩২ ৪৬ এবং ২৫°৫৭′০৬”-এর মধ্যে বিস্তৃত এবং দ্রাঘিমাংশ ৮৯°৫২´ পূর্ব থেকে ৮৮°৪৫′০২ পূর্বের মধ্যে অবস্থিত।

সীমানা

উত্তরে জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ার জেলা, পূর্বে অসম, দক্ষিণে প্রতিবেশি রাষ্ট্র বাংলাদেশ ও পশ্চিমে জলপাইগুড়ি জেলা অবস্থিত।

আয়তন: ৩,৩৮৭ বর্গকিমি।

জেলা সদর: কোচবিহার।

মহকুমার সংখ্যা: ৫টি। কোচবিহার সদর, দিনহাটা, তুফানগঞ্জ, মেখলিগঞ্জ ও মাথাভাঙা।

ভূ-প্রকৃতি ও মৃত্তিকা

এই অঞ্চলটি মূলত সমভূমি, দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চল সামান্য ঢাল। কোনো কোনো জায়গায় জমি ঢেউ খেলানো। আবার কোনও কোনও জায়গা নিচু হওয়ার জন্য বর্ষায় প্লাবিত হয়। পলিগঠিত অঞ্চলে প্রধানত দো-আঁশ মাটি পাওয়া যায়। এখানে মাটিতে কাদার ভাগ নেই বললেই চলে। মাটির তিন ফুট নীচে বালির স্তর রয়েছে। মাটির রং ধূসর, এই মাটি উর্বর এবং চাষের জন্য খুবই উপযোগী ।

জলবায়ু: চরমভাবাপন্ন। গ্রীষ্মে অধিক গরম ও শীতে অত্যাধিক শীতযুক্ত আবহাওয়া।

উদ্ভূতা: সর্বোচ্চ ৩৫° সেলসিয়াস ও সর্বনিম্ন ৭° সেলসিয়াস।

নদ-নদী

তিস্তা, তোর্সা, রায়ডাক, জলঢাকা (এই নদীর নাম কোথাও মানসাই কোথাও ধরলা, কোথাওবা সিঙ্গিমারি), কালিন্দী, সঙ্কোশ, কালজানি (ডিমা ও আলাইকুরি এই দুটি নদীর মিলিত নাম), গদাধর, ডিমা, সুটঙ্গা, খুটামারা, গিলান্দী, ডুডুয়া, মুজনাই, দোলং, কুমাই এই জেলার প্রধান নদী। পশ্চিমবঙ্গের সবচেয়ে বেশি নদ-নদী এই জেলায়।

কৃষিজ উৎপাদন

ধান উৎপাদনে পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে একাদশ স্থান, গম উৎপাদনে ষষ্ঠ স্থান অধিকার করে আছে এই জেলা। এছাড়া আনারস, পাট, সরষে ও আখ চাষ হয়। কোচবিহার জেলার মেখলিগঞ্জে তামাক চাষের যথেষ্ট সুনাম রয়েছে। এই জেলা তামাক উৎপাদনে রাজ্যে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে আছে। কোচবিহারে এন্ডির চাষ হয়। ট্যাড়শ গাছে এই এন্ডি পোকার চাষ হয়। এই পোকার শরীর থেকে রেশমের সুতা বের করা হয়।

স্বাভাবিক উদ্ভিদ

এখানে শিরীষ, শাল, খয়ের, শিশু প্রভৃতি গাছ দেখা যায়। এই জেলার উত্তরে সামান্য অরণ্যাগুল দেখা যায়। এছাড়া সুপারি এই জেলার একটি প্রধান অর্থকরী ফসল। সুপারি ফলনে রাজ্যে দ্বিতীয়।

জনসংখ্যা: জন (রাজ্যের মোট জনসংখ্যার ৩.০৯ শতাংশ)।

পুরুষ: ১৪,৫৩,৫৯০ জন।. মহিলা : ১৩,৬৯, ১৯০ জন।

জনঘনত্ব: প্রতি বর্গকিমিতে ৮৩৩ জন। • জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার : ১৩.৮৬ শতাংশ।

লিঙ্গ অনুপাত: ৯৪২ জন (প্রতি ১০০০ জন পুরুষে)।

সাক্ষরতার হার 

৭৫.৪৯ শতাংশ। পুরষ ৮১.৫২ শতাংশ ও মহিলা ৬৯.০৮ শতাংশ। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঃ বিশ্ববিদ্যালয় ২টি। পুন্ডিবাড়িতে উত্তরবঙ্গ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (স্থাপিত ২০০১), পঞ্জানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয় (স্থা, ২০১২)।। মোট কলেজের সংখ্যা ১৮টি। ডিগ্রি কলেজ ১৬টি, প্রযুক্তিবিদ্যা কলেজ ১টি।

পুরসভা : ৬টি। কোচবিহার (১৯৪৬), দিনহাটা (১৯৭৩), তুফানগঞ্জ (১৯৮৩), হলদিবাড়ি (১৯৮৪), মেখলিগঞ্জ (১৯৮৩), মাথাভাঙা (১৯৮৬)।

গ্রাম পঞ্চায়েত : ১২৮টি।

পঞ্চায়েত সমিতি: ১২টি।

ব্লক : ১২টি। কুচবিহার-১, কুচবিহার-২, দিনহাটা-১, দিনহাটা-২, হলদিবাড়ি, মাথাভাঙা-১, মাথাভাঙা-২, মেখলিগঞ্জ, সিতাই, শীতলকুচি, তুফানগঞ্জ-১, তুফানগঞ্জ-২।

লোকসভা আসন : ১ টি। কোচবিহার (তপশিলি জাতি)।

বিধানসভা আসন

৯টি। কোচবিহার উত্তর (তপশিলি জাতি), কোচবিহার দক্ষিণ, মেখলিগঞ্জ (তপশিলি জাতি), শীতলকুচি (তপশিলি জাতি), তুফানগঞ্জ, মাথাভাঙা (তপশিলি জাতি), নাটাবাড়ি, দিনহাটা, শীতাই (তপশিলি জাতি)।

যোগাযোগ ও পরিবহণ

রেল ও সড়কপথে কলকাতার সঙ্গে যোগাযোগ আছে। পাকা রাস্তা ৭২৬ কিমি, কাঁচা রাস্তা ৩৫ কিমি। নিউ জলপাইগুড়ি থেকে কোচবিহার পর্যন্ত ব্রডগেজ লাইন আছে। নিউ কোচবিহার, দিনহাটা উল্লেখযোগ্য রেলস্টেশন। এছাড়াও মিটারগেজ লাইন দ্বারা কোচবিহার শহর ও আলিপুরদুয়ার যুক্ত রয়েছে। জাতীয় সড়ক NH-31 এই জেলার ওপর দিয়ে গেছে।

বাণিজ্য কেন্দ্র 

কোচবিহার, দিনহাটা, হলদিবাড়ি, তুফানগঞ্জ। শিল্প : এখানে কুটিরশিল্পই প্রধান। যেমন—শীতলপাটি (ধলুয়াবাড়ি শীতলপাটির জন্য বিখ্যাত), শোলার কাজ ইত্যাদি। এছাড়া বেত, বাঁশ ও শোলার তৈরি নানা ধরনের জিনিষের চাহিদা প্রচুর।

অর্থনীতি

কৃষিজ ফসলই অর্থনীতির মূল স্তম্ভ। ধান হল এই জেলার প্রধান ফসল। এছাড়া পাট, ডাল, গম, সরষে, আখ ইত্যাদির চাষও হয়। তামাকের সুনাম রয়েছে কোচবিহারের। কুটিরশিল্পে এই জেলা প্রসিদ্ধ।

হাসপাতালের সংখ্যা : ৩৬৩টি।

গ্রন্থাগারের সংখ্যা : ১১৫টি।

ক্রীড়াঙ্গন : কোচবিহার ক্রীড়াঙ্গন।

প্রধান লোক উৎসব

লোকসংস্কৃতিতে সমৃদ্ধ এই জেলায় উত্তরবঙ্গের ভাওয়াইয়া, চটকা, মাহুতবন্ধু, কুষান গান প্রভৃতি লোকগান প্রচলিত। মাথাভাঙ্গায় ৮ দিন ধরে সরস্বতী পুজোয় অনুষ্ঠিত হয় সারস্বত উৎসব।

প্রধান মেলা : কোচবিহারের রাস উৎসব বিখ্যাত। বাণেশ্বরের শিব মন্দিরে শিবরাত্রিতে বিশাল মেলা অনুষ্ঠিত হয়।

লোকসংস্কৃতি

এই জেলার লোকেদের বিভিন্ন সংস্কৃতি ও রুচি লক্ষ্য করা যায়। যেমন—ভাওয়াইয়া, চটকা ও মাহুত বন্ধুর গান; রাজবংশীদের মধ্যে পুছম (বৃষ্টির দেবতা) পূজার ও হুদুম গান উল্লেখযোগ্য।

লোকনৃত্য : রাভা নৃত্য।

লোকশিল্প

মেখলিগঞ্জের মেখলি শিল্প। মেখলি সুতো থেকে জাওলা (এক ধরনের ব্যাগ), চটি, মাদুর তৈরি হয়। পাটিশিল্প, শোলার কাজ, দোতরা বাদ্যযন্ত্র তৈরিতে এখানকার শিল্পীরা নিপুন।

লোকসংগীত ও লোকনাটক

ভাওয়াইয়া, জাগ গান, জারিগান, সারিগান, ভাটিয়ালি গান, হুদুমদেও পুজোর গান, কোচ-মেচ-রাভাদের লোকগান। মদনকাম পুজো উপলক্ষ্যে জাগ গান হয়। লোকগানে প্রেম, বিরহ, দেহতত্ত্ব, ভক্তি, দুঃখ, দারিদ্র্য, অনাহার, সামন্ত প্রভুদের নির্যাতনের ছবি কথা ও সুরে ধ্বনিত হয়। এখানকার লোকনাটক—দোত্রা ও কুশান।

প্রধান মেলা

কোচবিহারের মদনমোহন মন্দিরে রাস পূর্ণিমায় রাসমেলা (কার্তিক মাসের রাস পূর্ণিমায় এই রাসমেলা অনুষ্ঠিত হয়, এই মেলা উত্তরবঙ্গের অন্যতম বৃহত্তম মেলা), বৈশাখ মাসে গোঁসানীদেবীর (দেবী ভগবতী) পুজো উপলক্ষ্যে মেলা, বাণেশ্বরের শিবরাত্রির মেলা, হলদিবাড়ির হুজুর সাহেবের মেলা, মেখলিগঞ্জ মহকুমার নিজতরফ গ্রামে প্রতি বছর ১ বৈশাখ অনুষ্ঠিত হয় ‘কাঠাম মেলা’, তুফানগঞ্জের দোলমেলা, ঘোগারকুটি গ্রামের দরিয়াবলাইয়ের স্নানমেলা, নাটাবাড়ির পানিশালা গ্রামের কালজানি ও গদাধরের সংযোগস্থলে চৈত্র মাসের অশোকাষ্টমীর স্নানমেলা অনুষ্ঠিত হয়।

লৌকিক দেবদেবী ও লৌকি আচার

বনদুর্গা (শারদীয়া একাদশী তিথিতে এই পুজো হয়)। মদনকাম বা বাঁশ পুজো (মদন চতুর্দশীতে এই পুজো অনুষ্ঠিত হয়), যাত্রাপুজো (বিজয়া দশমীর দিন এই পুজো হয়। নতুন কাজের সূচনা করা হয় এই দিন)। হুদুম দ্যাও পুজো (মেঘ দেবতার উদ্দেশ্যে এই পুজো করা হয়। অনাবৃষ্টি দেখা দিলে বরুণ দেবতাকে আহ্বান জানিয়ে রাত্রিকালে রমণীরা এই পুজো করেন)। মাসান পুজো (মাসান হল লোকদেবতা। লোকবিশ্বাস হল, মাসান লৌকিক অপদেবতা। শনি ও মঙ্গলবার এর পুজো হয়), সোনারায় (সোনারায় বাঘের দেবতা। বাঘের উৎপাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য পৌষ-সংক্রান্তিতে এই পুজো হয়)।

দর্শনীয় স্থান

কোচবিহার শহরের রাজপ্রাসাদ (১৮৮৫ সালে নির্মিত), মদনমোহন মন্দির (১৮৮৯ সালে কোচরাজা নৃপেন্দ্রনারায়ণ এই মন্দিরটি স্থাপন করেন), বানেশ্বরের শিবমন্দির, প্রাচীন ভিক্টোরিয়া কলেজ, দিনহাটার কাছে গোঁসানিমারীর প্রাচীন কামতেশ্বরী বা গোঁসানিদেবীর (১৬৬৫ খ্রিস্টাব্দে রাজা প্রাণনারায়ণ কর্তৃক নির্মিত) মন্দির দ্রষ্টব্য স্থান। তুফানগঞ্জের রসিকবিলে একটি পাখিরালয় আছে।

জেলার বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব 

আব্বাসউদ্দীন আহমদ (১৯০১-১৯৫৯)

ভাওয়াইয়া গানের কিংবদন্তী গায়ক। জেলার বলরামপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। নাগরিক জীবনে পল্লীগীতির প্রথম জনপ্রিয় গায়ক।

  • ভাওয়াইয়া গানের সুরের মায়ায় তিনি ক্রমে সুরের যাদুকর হয়ে ওঠেন। এছাড়া কাজী নজরুল ইসলামের লেখা ‘তোরষা নদীর ধারে ধারে ওই দিদি গো মানসাই নদীর ধারে’ গানটি ১৯৩২ খ্রিস্টাব্দে রেকর্ড হয়।
  • ‘ফান্দে পড়িয়া বগা কান্দে রে’ প্রচলিত গানটি ১৯৩৯ খ্রিস্টাব্দে রেকর্ড হওয়ার পর সঙ্গীত জগতে সারা পরে যায়।
  • এছাড়া তিনি ভাটিয়ালি, জারী-সারি, মুর্শিদি, দেহতত্ত্ব, বিচ্ছেদী, মারফতী গান রেকর্ড করে সঙ্গীত প্রেমীদের চোখের মণি হয়ে উঠেছিলেন।

কেশবচন্দ্র বর্ম্মন (১৩১১-১৩৭৫ বঙ্গাব্দ)

কোচবিহার জেলার ভেলাডাঙ্গা গ্রামে ১৩১১ বঙ্গাব্দে জন্মগ্রহণ করেন। যখন তাঁর বয়স ১৫ বছর তখন থেকেই সঙ্গীত চর্চার শুরু। তিনি চট্‌কা গানে নিজস্ব মুন্সিয়ানা দেখিয়েছেন। এছাড়াও তিনি দোতরা বাজানোয় ওস্তাদ ছিলেন।

  • এছাড়াও জেলার অন্যান্য উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্বরা হলেন বিশ্বসিংহ (কোচবিহার রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা), নৃপেন্দ্রনারায়ণ (কোচ রাজা),
  • অমিয়ভূষণ মজুমদার (সাহিত্যিক), রণজিৎ দেব (সাহিত্যিক), খাঁ চৌধুরী আমনতউল্লা আহমদ, কোচবিহারের লোকনাট্য ‘কুষাণ গানের’ প্রবাদ প্রতিম শিল্পী ললিত বর্মন, রণজিৎ দেব (সাহিত্যিক) প্রমুখ।
  • বর্তমান রাজ্য সরকারের মন্ত্রী বিনয়কৃষ্ণ বর্মন (বনমন্ত্রী), রবীন্দ্রনাথ ঘোষ (উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী) এই জেলার।

এক নজরে জেলার গুরুত্বপূর্ণ তথ্যাবলী 

প্রাচীন কামতাপুরের পশ্চিম অংশ কোচবিহার। আদিম কোচ, মেচ প্রভৃতি জাতির বাসস্থল ছিল বলেই এরূপ নামকরণ। এছাড়া রাভা জনজাতির বাস এখানে।

  • দীঘির শহর কোচবিহার। এখানে আছে লাল দীঘি, মড়া পোড়া দীঘি, বৈরাগী দীঘি, সাগর দীঘি (শহরের সবচেয়ে বড়ো দীঘি)।
  • লাল দীঘির পাড়ে রয়েছে ভিক্টোরিয়া জুবিলি টাওয়ার (১৮৮৭ খ্রিস্টাব্দে নির্মিত, উচ্চতা ৭০ ফুট)।
  • রাজা নরনারায়ণ নীলাচল পাহাড়ে অবস্থিত কামাক্ষ্যাপীঠে (বর্তমান অসমে) কামাক্ষ্যাদেবীর মন্দির নির্মাণ করেন।
  • এই জেলায় ভেরেণ্ডা গাছে এণ্ডি পোকার চাষ হয়। এণ্ডি পোকার দেহ নির্গত সুতা দিয়ে বিখ্যাত এণ্ডি কাপড় বোনা হয় ৷ এই জেলায় হিন্দু জনসংখ্যার বেশিরভাগই তপশিলি জাতির রাজবংশী সম্প্রদায়ের জনজাতি।
  • এই জেলার আদিবাসী মানুষেরা কাঠের তক্তপোশ, বাঁশের মাচায় শোয় যাতে ঠান্ডা না লাগে।
  • তুফানগঞ্জ মহকুমার রসিকবিলে বিভিন্ন পাখি, যেমন—

পানকৌড়ি, খুন্তে বক, কোঁচ বক, সরাল, বড়ো দিখর, ফিঙে, হরবোলা, লালকাঠি, টিয়া ইত্যাদি দেখা যায়।

  • এছাড়া বিলে সুস্বাদু ছোটো মাছের সমারোহ দেখা যায়।

২০১৫ সালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোচবিহারকে হেরিটেজ শহর হিসেবে গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন।

  • বিদেশি পর্যটকদের টানার উদ্দেশ্যে মুখ্যমন্ত্রীর এই উদ্যোগ।
  • ঊনবিংশ শতাব্দীতে রাজা নৃপেন্দ্র নারায়ণের হাত ধরে ইউরোপের আদলে উত্তরবঙ্গের কোচবিহার শহর নির্মিত হয়েছিল।
  • শহরের ইতিহাসকেই পর্যটকদের কাছে তুলে ধরতে রাজ্য সরকারের এই উদ্যোগ।

Read More:- Asia Cup 2022 Big Changes | এশিয়া কাপে বিরাট প্রত্যাবর্তন! কোহলি প্রথম ভারতীয় হিসেবে পাকিস্তান ম্যাচেই গড়তে চলেছেন অনন্য নজির

Related Articles

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Latest Articles