Paschim Bardhaman District | Know Your Own District in Details | Important Daily GK Update: Usually known as an urban mining-industrial District, Paschim Bardhaman District is one of the most recent new Districts in West Bengal. The headquarter of this District is Asansol. The district was formed on 7th April 2017. It is a separated portion of the entire Burdwan District. This is basically an Industrial area, for which the economical conditions of this district are very well.
Hello, Aspirants. Welcome back to our Channel “Smart Knowledge”. Today we are discussing our famous ” Paschim Bardhaman District”.
Paschim Bardhaman District: পশ্চিম বর্ধমান জেলার ইতিহাস
[পূর্ব বর্ধমান জেলার ইতিহাসই পশ্চিম বর্ধমান জেলার ইতিহাস]
একনজরে পশ্চিম বর্ধমান জেলা
স্থাপনকাল :
৭ এপ্রিল ২০১৭ সালে পশ্চিমবঙ্গের ২৩-তম জেলা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে পশ্চিম বর্ধমান। বর্ধমান জেলা ভেঙে পশ্চিম বর্ধমান জেলা গঠিত হল।
সীমানাঃ
পূর্বে পূর্ব বর্ধমান জেলা, উত্তরে বীরভূম জেলা ও ঝাড়খান্ড রাজ্য, পশ্চিমে ঝাড়খন্ড রাজ্য ও দক্ষিণে পুরুলিয়া ও বাঁকুড়া জেলা। এই জেলার দুর্গাপুরের ওপর দিয়ে কর্কটক্রান্তি রেখা গেছে।
আয়তন : ১৬০৩.১৭ বর্গ কিমি।
জেলা সদর : আসানসোল।
মহকুমার সংখ্যা : ২টি আসানসোল সদর, দুর্গাপুর।
ভূ-প্রকৃতি ও মৃত্তিকা
পশ্চিম বর্ধমান জেলায় বরাকর ও অজয় নদ যেখানে প্রবেশ করেছে সেই অঞ্চলে কয়েকটি অনুচ্চ পাহাড় দেখা যায়। এদের সর্বাধিক উচ্চতা ৫০০ ফুটের বেশি নয়। সালানপুর, হীরাপুর, চিত্তরृন ও কুলটি থানার মাটি রুক্ষ ও পাথুরে। বর্ধমান মহকুমার পশ্চিমাংশে, দুর্গাপুর মহকুমার পূর্বাংশে এবং মঙ্গলকোট থানার পশ্চিমাংশের মাটি কাঁকুরে ও লালচে রঙের।
• জলবায়ুঃ শুষ্ক প্রকৃতির।
উদ্বৃতা : সর্বোচ্চ ৪৫° সেলসিয়াস সর্বনিম্ন ৮° সেলসিয়াস। এই জেলার আসানসোল পশ্চিমবঙ্গের উষ্ণতম স্থান।
পাহাড় পর্বত : কয়েকটি অনুচ্চ পাহাড় দেখা যায়। এদের সর্বাধিক উচ্চতা ৫০০ ফুটের বেশি নয়।
নদ-নদী: অজয়, দামোদর, বরাকর বাঁকা, ব্রাহ্মণী, খড়ি, কুনুর, শিবাই, ময়ূরাক্ষীর পরিবর্তিত রূপ বাবলা নদী, আসানসোলের কাছে কল্যাণেশ্বরী মন্দিরের কাছে চালনাধয়া নদী।
উল্লেখযোগ্য বাঁধ প্রকল্প
এখানে কোনার নদীতে বাঁধ, দামোদরের উপনদী বরাকরের ওপর তিলাইয়া বাঁধ (বর্ধমান-বিহার সীমান্তে), দামোদরের উপর পাঞ্চেত বাঁধ, দুর্গাপুর বাঁধ, বরাকর নদের ওপর মাইথন জলাধার অবস্থিত। এর উচ্চতা ১৩৬ ফুট ও চওড়া ১৫,৭১২ ফুট। বরাকর নদ পশ্চিমবঙ্গ ও বিহারকে বিভাজন করেছে। এখানে একটি জলবিদ্যুৎ প্রকল্প আছে। বাঁধ দিয়ে বন্যা নিয়ন্ত্রণ, সেচের কাজ এবং বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়।
স্বাভাবিক উদ্ভিদ : এখানে পর্ণমোচী অরণ্যে শাল, শিশু, সেগুন, অর্জুন, খয়ের প্রভৃতি অমূল্য গাছ দেখা যায়।
খনিজ সম্পদ
ভারতে প্রথম কয়লা খনির সন্ধান পাওয়া যায় রানিগঞ্জের সালানপুরে ১৭৭৪ সালে। ১৮২০ সালে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে এখানে কয়লা উত্তোলনের কাজ শুরু হয়। রানিগঞ্জ-আসানসোল অঞ্চলের ১০,০০০ বর্গকিমি অঞ্চল জুড়ে কয়লাখনি বিস্তৃত। এখানে কয়লা সঞ্জিত আছে ভারতের মোট সঞ্চয়ের প্রায় ৩০ শতাংশ। কয়লাখনিগুলোকে জাতীয়করণ করে ‘কোল ইন্ডিয়া’ নামে ভারত সরকারের একটি সংস্থার অধীনে আনা হয় ১৯৭৫ সালে।
জনসংখ্যা : ২৮ লক্ষ ৮২ হাজার ৩১ জন (রাজ্যের মোট জনসংখ্যার ৩.১০ শতাংশ)।
পুরুষ : ১৪ লক্ষ ৯৭ হাজার ৪৭৯ জন।
মহিলা : ১৩ লক্ষ ৮৪ হাজার ৪৫২ জন।
জনঘনত্ব : প্রতি বর্গ কিমিতে ১,৮০০ জন।
লিঙ্গ অনুপাত : ৯২২ জন (প্রতি ১০০০ জন পুরুষে)।
সাক্ষরতার হার : মোট ৭৮.৭৫ শতাংশ।
[পুরুষ ৮৫.৪৪ শতাংশ এবং মহিলা ৬৫.৫৫ শতাংশ]
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান : বিশ্ববিদ্যালয় ১টি। আসানসোলে কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় (স্থা ২০১২)। মোট কলেজের সংখ্যা ১৮টি। ডিগ্রি কলেজ ১১টি, প্রযুক্তিবিদ্যা কলেজ ৭টি। এছাড়া দুর্গাপুরে NSHM নলেজ ক্যাম্পাস রয়েছে।
পৌরনিগম (প্রতিষ্ঠা বছর) : ২টি। আসানসোল (১৯৯৪), দুর্গাপুর (১৯৯৬)।
গ্রাম পঞ্চায়েতঃ ৬২টি।
পঞ্চায়েত সমিতি: ৮টি।
ব্লক: ৮টি। বরাবনী, ফরিদপুর-দূর্গাপুর, জামুরিয়া, কনকসা, অন্ডাল, পাণ্ডবেশ্বর, রানিগঞ্জ, সালানপুর।
থানা : ২৪টি। রাজ্যের প্রথম মহিলা থানা আসানসোলে চালু হয়।
লোকসভা আসন: ১টি। আসানসোল।
Read More:- CTET 2022 NOTIFICATION (RELEASED)| APPLICATION FROM, EXAM DATE|SYLLABUS,CRITERIA
বিধানসভা আসন : ১১টি। বারাবনী, হিরাপুর, রানিগঞ্জ, আসানসোল দক্ষিণ, আসানসোল উত্তর, জামুরিয়া, দুর্গাপুর পূর্ব, দুর্গাপুর পশ্চিম, কুলটি, কনকসা, পাণ্ডবেশ্বর।
যোগাযোগ ও পরিবহণ : জিটি রোড এই জেলার ওপর দিয়ে গেছে। দুর্গাপুর আসানসোল, চিত্তরঞ্জন, বরাকর, অন্ডাল রেল স্টেশন এই জেলায়। এছাড়া জাতীয় সড়ক ২, ১৯, ১৪ এই জেলার ওপর দিয়ে গেছে।
বাণিজ্য কেন্দ্রঃ আসানসোল, কুলটি, দুর্গাপুরর, বরাকর (ঝাড়খন্ডের সীমানায়)।
শিল্প:
শিল্পে এই জেলা বিখ্যাত। বার্নপুরের ইসকো স্টিল প্ল্যান্ট স্টিল উৎপাদনের জন্য বিখ্যাত। রেলইঞ্জিন তৈরির কারখানা আছে চিত্তরঞ্জনে (চিত্তরঞ্জন লোকোমোটিভ ওয়ার্কস) এবং বাইসাইকেল তৈরির কারখানা আছে কল্যাণপুরে। দুর্গাপুর অঞ্চলে সরকারি এবং বেসরকারি উদ্যোগে শিল্প সম্প্রসারণ ঘটে পশ্চিমবঙ্গ সরকার পরিচালিত দুর্গাপুর প্রজেক্ট লিমিটেড প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর। এই শিল্প সমৃদ্ধির জন্য দুর্গাপুরকে ‘ভারতের রূঢ়’ বলা হয়। এছাড়া বেঙ্গল পেপার মিল, বার্ন স্ট্যান্ডার্ড (বর্তমানে বন্ধ) এই জেলায় অবস্থিত।
অর্থনীতি : শিল্পে উন্নত হওয়ায় এই জেলার অর্থনীতি উন্নতমানের।
ক্রীড়াঙ্গন : দুর্গাপুর ক্রীড়াঙ্গন।
প্রধান উৎসব : দুর্গাপূজা, ঈদ, মহরম ইত্যাদি। রানিগঞ্জের পীর মেলা ঃ ফেব্রুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহে মাজার শরিফকে কেন্দ্র করে এই মেলা অনুষ্ঠিত হয়। হজরত গাউস বেঙ্গল দরগায় এই মেলা মুসলিমদের এক প্রধান উৎসব।
দর্শনীয় স্থান : দিশেরগড় বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র পশ্চিম বর্ধমান জেলায় পুরুলিয়া সীমান্তে অবস্থিত। এটি কয়লা খনির জন্যও বিখ্যাত। বরাকর নদীর তীরে বরাকর শহরে সিদ্ধেশরভারা মন্দির বিখ্যাত। ১৯৫৫ খ্রিস্টাব্দে ডিভিসি দ্বারা নির্মিত দুর্গাপুর বাঁধ (১৯৫৫ সালে নির্মিত, মোট গেট ৩৪টি)।
এক নজরে জেলার গুরুত্বপূর্ণ তথ্যাবলী
- পশ্চিম বর্ধমান জেলার পশ্চিমাংশের মাটি রুক্ষ ও উর্বর ল্যাটেরাইট ও গণ্ডোয়ানা শিলা দ্বারা গঠিত।
- এই জেলার রানিগঞ্জ ও আসানসোলে প্রথম বাণিজ্যিকভাবে কয়লাখনি উত্তোলন করা হয় ১৮২০ খ্রিস্টাব্দে।
- ১৯৩১ সালে বার্ণপুর ও কুলটিতে লৌহ-ইস্পাত কারখানা ও অন্ডালে রেলওয়ে কলোনি স্থাপিত হয়।
- দুর্গাপুর লৌহ ও ইস্পাত শিল্পকেন্দ্রকে ‘ভারতের রূঢ় বলা হয়।
- পশ্চিমবঙ্গের ইস্পাতনগরী বলা হয় দুর্গাপুরকে।
- পশ্চিমবঙ্গের তথা ভারতের প্রথম সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র আসানসোলের জামুরিয়ায় ২ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন।
- ভেরেন্ডা গাছ থেকে জৈব জ্বালানি উৎপাদন করার জন্য আসানসোলে প্রায় ১০০ একর জমিতে এই চাষ করা হয়।
Read More:- Indian History MCQ 2022 | Indian National Movement For WBCS Preliminary Exam