WB GOVERNMENT PRAKALPA 2022|পশ্চিমবঙ্গের কয়েকটি উন্নয়নমূলক সরকারী প্রকল্প

WB GOVERNMENT PRAKALPA 2022:Several developmental government projects in West Bengal (পশ্চিমবঙ্গের কয়েকটি উন্নয়নমূলক সরকারী প্রকল্প): When Mamata Banerjee became Chief Minister of West Bengal started various developmental government prakalpa for development of human life. WB GOVERNMENT PRAKALPA 2022

Smart Knowledge is provided in this article for all prokalpa ( projects) at a glance. we think it is helping our readers in their preparation for Government jobs.

DETAILS OF WB GOVERNMENT PRAKALPA 2022:

জল ধরো, জল ভরো 

  • ২০১১-১২ বৃষ্টির জল সংরক্ষণ।
  • বিশেষত রাজ্যের শুষ্ক, কম বর্ষণের অঞ্চলে বৃষ্টির জল সংরক্ষণ করে চাষাবাদ করার প্রকল্প।

 কন্যাশ্রী

  • 1st October 2013
  • নারীশিক্ষার প্রসার, বাল্যবিবাহ ও নারীপাচার রোধে আর্থিক অনুদান। এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল (যে পরিবারের বার্ষিক আয় ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা) সংসারের কন্যাসন্তানদের ভবিষ্যৎ সুনিশ্চিত করতে তাদের উন্নত জীবনযাত্রা উপহার দিতে এই প্রকল্প।
  • শিশুকন্যার ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করার আবেদন জানিয়ে বারবার সতর্ক করা হয়েছে রাজ্যের মানুষকে। প্রকল্পে ১৩-১৮ বছরের অবিবাহিত কন্যাসন্তানদের জন্য বছরে ১০০০ টাকা বৃত্তি ও ১৮ বছরের উপরে অবিবাহিত কন্যাসন্তানদের (যারা পড়াশোনা চালিয়ে যাবে) এককালীন ২৫ হাজার টাকা অনুদান দেবে রাজ্য।
  • প্রতিবছর ১৪ আগস্ট কন্যাশ্রী দিবস হিসেবে পালিত হবে বলে জানায় রাজ্য সরকার।

 যুবশ্রী

  • 2013
  • বেকার যুবক-যুবতীদের জন্য ভাতা। অষ্টম শ্রেণি উত্তীর্ণ ও ১৮-৪৫ বছরের মধ্যে যাদের বয়স এবং যারা এমপ্লয়মেন্ট এক্সচেঞ্জে নাম নথিভুক্ত করেও উপযুক্ত কাজ পাননি তাদের মাসে ১,৫০০ টাকা ভাতা দেওয়া হবে।

সবলা

  • 2013
  • ১১ থেকে ১৮ বছরের কন্যাদের পুষ্টিগুণ ও স্বাস্থ্য উন্নতিকল্পে এই প্রকল্প ঘোষিত হয়। এছাড়া স্কুলছুট মহিলারা যেন পুনরায় পড়শোনা করতে পারে তার নিশ্চয়তা প্রদান করা।

মিশন নির্মল বাংলা

  • 2013
  • গ্রাম্য বাংলায় প্রতিটি বাড়িতে শৌচাগার নির্মাণে সরকারি সহায়তা এবং বিভিন্ন অঞ্চলে শৌচাগার নির্মাণ। নদিয়া জেলা রাজ্যের প্রথম ‘মুক্ত শৌচহীন’ জেলা হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে। ১৯ নভেম্বর বিশ্ব শৌচাগার দিবসে এই প্রকল্পের উদ্বোধন হয়।

শিক্ষাশ্রী 

  • 2014
  • এই প্রকল্পে তপশিলি উপজাতিভুক্ত ছাত্রছাত্রীরা ১৩ জুন (পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত) বার্ষিক ৮০০ টাকা ও তপশিলি জাতিভুক্ত ছাত্রছাত্রীরা (পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত) বার্ষিক ৫০০-৮০০ টাকা পর্যন্ত অনুদান পাবে।

মুক্তির আলো

  • 2014
  • যৌনকর্মীদের বৃত্তিমূলক শিক্ষা-বৃদ্ধাবাস-আবাসিক ১৩ জুন স্কুলের জন্য ‘মুক্তির আলো’ প্রকল্প শুরু হল।

গতিধারা

  • 5th August 2014
  • পরিবহণ পরিষেবায় স্বনির্ভর হতে চাইলে বেকার যুবক-যুবতীদের পরিবহণ শিল্পে উৎসাহিত করতে এই প্রকল্প। এই প্রকল্পে এক লক্ষ টাকা পর্যন্ত অনুদান ও গাড়ি কেনার সহজ শর্তে ঋণ দেবে রাজ্য সরকার।

ছোট গাড়ি কিনে যাত্রী পরিষেবা দিতে পারবে ২০ থেকে ৪৫ বছর বয়স্ক পর্যন্ত পুরুষরা। ‘যুবশ্রী’ প্রকল্পে যারা ভাতা পাচ্ছেন তারাও এই প্রকল্পে আবেদন করতে পারবেন।

সবুজ সাথী

  • 2014
  • ছাত্রছাত্রীদের স্কুলে যাতায়াতের জন্য সাইকেল প্রদান। এই প্রকল্পে রাজ্যের দশম, একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণিতে পাঠরত ছাত্রছাত্রীদের স্কুলে যাতায়াতের জন্য সাইকেল প্রদান করা হয়।

স্বামী বিবেকানন্দ স্বনির্ভর কর্মসংস্থান প্রকল্প

  • 2015
  • এটি পশ্চিমবঙ্গ সরকারের স্বনির্ভর গোষ্ঠী ও স্বনিযুক্তি দপ্তরের অধীন একটি প্রকল্প।
  • ১৮ থেকে ৪৫ বছর বয়স্ক ব্যক্তি যাদের পারিবারিক আয় মাসে ১৫ হাজার টাকার নীচে তারা স্বনির্ভর কর্মসংস্থান প্রকল্পের সাহায্য নিতে পারেন। প্রকল্প মূল্য সর্বাধিক ১০ লক্ষ টাকা। সরকারি অনুদান প্রকল্প মূল্যের ৩০ শতাংশ বা সর্বাধিক ১.৫০ লক্ষ টাকা, নিজেকে দিতে হবে ৫ শতাংশ এবং বাকিটা ব্যাঙ্ক ঋণ। ঋণ পেতে নিজ এলাকার ব্লক, পৌরসভা, পৌরনিগম অফিসে যোগাযোগ করতে হবে।

    সুকন্যাশ্রী

  • 2016
  • মেয়েদের ভবিষ্যৎ নিশ্চিত ও তাদের উচ্চশিক্ষিত। করে স্বাবলম্বী করার লক্ষ্যে এই প্রকল্প। এই প্রকল্পে শূন্য থেকে পাঁচ বছর বয়সি শিশুকন্যার পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে ১০১টি গাছের চারা।
  • যাদের পরিবারের এক বিঘে চাষের জমি রয়েছে, তারই প্রথম এই প্রকল্পের আওতায় আসবেন। চারাগাছের পরিচর্যা ও রক্ষণাবেক্ষণ সবই সরকারি খরচে হবে। লেবু, তেজপাতা, পেয়ারা প্রভৃতির চারা দেওয়া হবে।
  • এই প্রকল্পে ১৮ বছর বয়সে সেই শিশু প্রায় ৬ লক্ষ টাকা পাবে। জমি থেকে যা আয় হবে তা দিয়েই কন্যাসন্তানের ভবিষ্যৎ নিশ্চিত হবে। নদিয়া জেলায় এই প্রকল্প প্রথম চালু হয়। ৫ জুলাই

    উৎকর্ষ বাংলা

  • 6th February, 2016
  • মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই প্রকল্পের সূচনা করেন। কারিগরি ও বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণের শেষে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করার লক্ষ্যে এই প্রকল্প চালু করা হয়। এই উদ্দেশ্যে রাজ্যের প্রতিটি ব্লকে কারিগরি শিক্ষাকেন্দ্র গড়ে তুলতে উদ্যোগী হয়েছে রাজ্য।

     ‘খাদ্যসাথী’ 

  • 2016 সালে চালু হয়।
  • পশ্চিমবঙ্গের সাড়ে সাত কোটি বাসিন্দা ‘খাদ্যসাথী প্রকল্পের আওতায় এল। এর ফলে রেশন দোকান থেকে বিভিন্ন ধরনের কার্ড অনুযায়ী খাদ্যশস্য পাওয়া যাবে।

স্বাস্থ্যসাথী

  • 28th December, 2016
  • মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের নিম্ন ২০১৬ মধ্যবিত্তদের জন্য ‘স্বাস্থ্যসাথী’ নামে এক স্বাস্থ্যবিমা ঘোষণা করলেন।
  • এতে সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের কাজে যুক্ত বেসরকারি সংস্থার ঠিকা কর্মী, অঙ্গনওয়াড়ি ও আশা কর্মীদের জন্য সর্বোচ্চ দেড় লক্ষ টাকার বিমা করা হবে। প্রিমিয়ামের পুরো টাকাই দেবে রাজ্য সরকার।

 রূপশ্রী 

  • 2018
  • দরিদ্র পরিবারের (যাদের বার্ষিক আয় ১.৫ লক্ষ টাকা) মেয়েদের ১৮ বছরের পর বিবাহ হলে বিবাহের সময় এককালীন ২৫,০০০ টাকা সহায়তা দেওয়া হবে।

    পথসাথী

  • 2018
  • রাজ্যের সড়কগুলিতে সফররত মানুষ, বিশেষত মহিলাদের জন্য ৫০ কিমি অন্তর ‘পথসাথী’ নামে মোটেল নির্মাণ করা হচ্ছে। এতে শৌচাগার, যাত্রী প্রতীক্ষালয়, নৈশাবাস ও রেস্তরাঁর ব্যবস্থা থাকবে।

    স্বয়ংসিদ্ধা

  • 2018
  • নিব পাচার, বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ, পাচারের পর ফিরে আসা মেয়েদের পুনর্বাসন প্রতিরোধ করতে এই প্রকল্প চালু করা হয়। রাজ্য পুলিশ এই প্রকল্পটি কার্যকর করবে।
  • বাল্যবিবাহ ও মানব পাচারের বিরুদ্ধে তরুণ-তরুণীদের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করবে এই প্রকল্প। স্কুল ও কলেজে ১২-২১ বছর বয়সের ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে স্বয়ংসিদ্ধা গ্রুপ তৈরি করা হবে।

    লোকপ্রসার প্রকল্প

  • 2017
  • বাংলার ঐতিহ্যপূর্ণ লোকশিল্পের পুনরুজ্জীবন। রাজ্যের দুঃস্থ লোকশিল্পীদের স্বীকৃতি প্রদান মাসে ১০০০ টাকা করে ভাতা প্রদান। এছাড়া সরকারি অনুষ্ঠানে পারফর্ম করলে দৈনিক ১০০০ টাকা করে প্রদান করা হয়।

    নিজ-গৃহ নিজ-ভূমি

  •  2011
  • গ্রামের গরিব বাসিন্দাদের জন্য এই প্রকল্প চালু করা হয়। এর মাধ্যমে তাঁদের বাড়ি তৈরি করে দেওয়া বা বাড়ি সংস্কার করে দেওয়া হয়। এই প্রকল্প গরিধ মানুষদের গরীবি থেকে উন্নত হতে এবং সসম্মানে বাঁচতে সাহায্য করবে।

     ঐক্যশ্রী প্রকল্প

  •  2020
  • সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের (বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, জৈন, মুসলিম, পার্সি এবং শিখ) মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য প্রি-ম্যাট্রিক স্কলারশিপ, পোস্ট-ম্যাট্রিক স্কলারশিপ, মেরিট কাম মিনস স্কলারশিপ।
  • প্রি-ম্যাট্রিক স্কলারশিপ—পশ্চিমবঙ্গ সরকার স্বীকৃত প্রতিষ্ঠানে প্রথম থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছে। পরিবারের বার্ষিক আয় ২ লাখ টাকার নীচে। বাৎসরিক ১,১০০ টাকা থেকে ১১,০০০ টাকা বৃত্তি প্রদান করা হবে।
  • পোস্ট-ম্যাট্রিক স্কলারশিপ—যারা উচ্চমাধ্যমিক, আইটিআই, ডিপ্লোমা, স্নাতক, স্নাতকোত্তর, এমফিল, বিএড কোর্সে পড়াশোনা করছে। পরিবারের বার্ষিক আয় ২ লক্ষ টাকার মধ্যে। বাৎসরিক ১৬,৫০০ টাকা পর্যন্ত বৃত্তি প্রদান করা হবে।
  • মেরিট কাম মিনস স্কলারশিপ- পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা পেশাদার/কারিগরি কোর্সে পড়াশোনা করছে এবং পশ্চিমবঙ্গের বাইরে তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করছে। পরিবারের বার্ষিক আয় ২.৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত। বাৎসরিক সর্বাধিক ৩৩,০০০ টাকা পর্যন্ত বৃত্তি প্রদান করা হবে।

     মাটির সৃষ্টি প্রকল্প

  • 2020
  • মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে এই প্রকল্প করোনায় লক ডাউনের পর রাজ্যে চালু হয়। যে জমি এতদিন শুকনো বন্ধ্যা হয়ে পড়েছিল সেখানে চাষের মাধ্যমে ফসল ফলানো এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য।
  • পশ্চিমাঞ্চলের ছয় জেলার পতিত, অনাবাদী, বন্ধ্যা জমিগুলিতে এই প্রকল্প গড়ার পরিকল্পনা করা হয়। সরকারের পড়ে থাকা জমিতেই এই প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। পতিত জমিতে শাল, মহুয়া, আম, জামের মতো অর্থকরী গাছের চারা লাগানোর পাশাপাশি সব্জি চাষেরও ব্যবস্থা করা হয়।

Read More: science & technology | আমরা কোথা থেকে এসেছি?

খেলশ্রী  আনন্দধারা, আলোশ্রী, সামাজিক সুরক্ষা যোজনা, শিশুসাথী, সমর্থন, মুক্তিধারা, আমার ফসল আমার গোলা, জলতীর্থ, সুফল বাংলা, সেচবন্ধু, মাভৈঃ, সবার ঘরে আলো, জলস্বপ্ন ইত্যাদি সামাজিক উন্নয়নমূলক প্রকল্প রাজ্যে বর্তমানে চালু রয়েছে।

পশ্চিমবঙ্গে বাল্যবিবাহ রুখতে টোল ফ্রি নম্বর ১০৯৮ রয়েছে এবং নারী পাচার রোধে ১০৯১ নম্বর পরিষেবা রয়েছে।

Related Articles

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Latest Articles