South 24 Pargana District | Know Your Own District In Details | Daily GK Update For Govt Jobs

South 24 Pargana District

South 24 Pargana District | Know Your Own District In Details | Daily GK Update For Govt Jobs: South 24 Parganas Or South Twenty Four Parganas is one of the very well-known districts in West Bengal. The headquarters is Alipur. This is the largest district in West Bengal. It is also the Second largest district by its population. The literacy rate in South 24 Parganas district is 77.51% according to the census of  2011. The literacy rate of Alipore Sadar subdivision is 81.14%, Baruipur subdivision (77.45%), Canning subdivision (70.98%), Diamond Harbour subdivision (76.26%), and Kakdwip subdivision (82.04%).

South 24 Pargana District:

Hello Aspirants, welcome back to our channel ” Smart Knowledge “. Today in this topic we are providing the history of South 24 Pargana District. 

SOUTH 24 PGS

 

একনজরে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা

ভৌগোলিক অবস্থান

উত্তর অক্ষাংশ ২২°৩৩´৪৫ এবং ২১°২১ ০০৮-এর মধ্যে বিস্তৃত এবং রাঘিমাংশ ৮০০ পূর্ব থেকে ৮৮°৪৫ পূর্বের মধ্যে অবস্থিত।

স্থাপনকাল: ১ মার্চ ১৯৮৬।

সীমানা : উত্তরে কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগনা, পশ্চিমে হুগলি নদী, পূর্বে প্রতিবেশি দেশ বাংলাদেশ ও দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর।

আয়তন : ১,৯৬০ বাকিমি। আয়তনে পশ্চিমবঙ্গের বৃহত্তম জেলা।

জেলা সদর : আলিপুর।

মহকুমার সংখ্যা:  ৫টি। আলিপুর সদর, ক্যানিং, ডায়মন্ডহারবার, কাকদ্বীপ, বারুইপুর।

ভূ-প্রকৃতি ও মৃত্তিকা: পলিগঠিত সমভূমি এবং সুন্দরবনের অন্তর্গত লবণাক্ত মৃত্তিকা।

জলবায়ু:  নাতিশীতোষ্ণ

উষ্ণতা: সমুদ্র তীরবর্তী হওয়ায় জলবায়ু সমাভাবাপন্ন।

তবে সমুদ্র থেকে দূরে উত্তরাংশে গ্রীষ্মকালে তাপমাত্রা প্রায় ৪০ ডিগ্রি ও শীতকালে ১০ ডিগ্রি হয়।

নদ-নদী

হুগলি, বিদ্যাধরী, মাতলা, পিয়ালী, ইছামতি, সপ্তমুখী, ও জামাল, রায়মঙ্গল, জামিরা, কালিন্দী, ঠাকুরান, বাজামিরা, মুড়ি, গোসাবা, হাড়িয়াভাঙা হাতানিয়া-দোয়ানিয়া।

  • নদীগুলো জোয়ারের জলে পুষ্ট।

সাগর: বঙ্গোপসাগর (কলকাতা থেকে ৪৮ কিমি দক্ষিণে)।

দ্বীপ 

পশ্চিমবঙ্গের একমাত্র এই জেলাতেই দ্বীপ দেখা যায়। রাজ্যের সবচেয়ে বড় দ্বীপ ‘সাগর দ্বীপ’।

  • এছাড়াও জম্বু দ্বীপ, ভাঙাপুনি দ্বীপ, লোথিয়ান দ্বীপ, নিউমুর দ্বীপ, বুলচেরী দ্বীপ, ডালহৌসি দ্বীপ, হ্যালিডে দ্বীপ, হেনরি দ্বীপ, পূর্বাশা দ্বীপ, মৌসুনি দ্বীপ উল্লেখযোগ্য।

অভয়ারণ্য 

মোট ৭টি। সুন্দরবন অভয়ারণ্য প্রধান। এখানকার রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার পৃথিবীবিখ্যাত।

এছাড়া নরেন্দ্রপুর, সজনেখালি, লোথিয়ান দ্বীপ, হ্যালিতে দ্বীপ, ভগবতপুর, চিন্তামণি কর অভয়ারণ্য বিখ্যাত।

কৃষিজ উৎপাদন 

ধান উৎপাদনে পঞ্চম স্থান, গম উৎপাদনে দশম, দুধ উৎপাদনে সপ্তম এবং ডিম, তরমুজ ও লংকা উৎপাদনে পশ্চিমবঙ্গে প্রথম স্থান অধিকার করে আছে এই জেলা।

এছাড়া পাট, আলু ও বিভিন্ন রকমের সবজির চাষও হয়। বর্তমানে ‘ইন্টিগ্রেটেড ফার্মিং সিস্টেম’-এ চাষের মাধ্যমে একই সঙ্গে একই জমিতে ধান ও বিভিন্ন বিভিন্ন মাছ চাষ করা হচ্ছে।

এছাড়া ধানের সঙ্গে বিভিন্ন আনাজ চাষ করা হচ্ছে। এই বিকল্প চাষ ইতিমধ্যেই জনপ্রিয় হয়েছে ক্যানিং, বাসন্তী ও গোসাবায়।

স্বাভাবিক উদ্ভিদ

আম, জাম, নারকেলসহ সুন্দরবন অঞ্চলের ম্যানগ্রোভ অরণ্যের সুন্দরী, গরান, বাণী গর্জন, গেঁওয়া, কেওড়া (একে কেতকী ও কেয়া নামেও ডাকা হয়।

এই গাছে গাছে ঠেসমূল আছে), বাইন, কাকড়া, বকুল কাকড়া, হেঁতাল, গোলপাতা, পিটুলি প্রভৃতি চিরসবুজ বৃক্ষ এখানকার প্রধান উদ্ভিদ।

জনসংখ্যা: ৮১,৫৩,১৭৬ জন। (রাজ্যের মোট জনসংখ্যার ৮.৯৩ শতাংশ)। জনসংখ্যায় দ্বিতীয়।

পুরুষ: ৪১,৮২,৭৫৮ জন। মহিলা : ৩৯,৭০,৪১৮ জন।

জনঘনত্ব: ৮১৯ জন।

জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার: ১৮.০৫ শতাংশ।

লিঙ্গ অনুপাত:  ৯৪৯ জন (প্রতি ১০০০ জন পুরুষে) ।।

আদিবাসী:  এই জেলার সুন্দরবন অঞ্চলে ওরাওঁ, মাহাতো, মুণ্ডা প্রভৃতি আদিবাসীদের বসবাস।

সাক্ষরতার হার: মোট ৭৮.৫৭ শতাংশ। পুরুষ ৮৪.৭২ শতাংশ এবং মহিলা ৭২.০৯ শতাংশ।

 শিক্ষা প্রতিষ্ঠান: বিশ্ববিদ্যালয় : ২টি।

(১) ডায়মন্ডহারবার মহিলা বিশ্ববিদ্যালয় (স্থা. ২০১৩)

(২) নেওটিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, সরিষা (স্থা, ২০১৫)।

মোট ডিগ্রি কলেজের সংখ্যা ১১টি।

পুরসভা

৮টি। রাজপুর-সোনারপুর (১৮৭৬), বারুইপুর (১৮৬৯), জয়নগর-মজিলপুর (১৮৬৯), বজবজ (১৯০০), ডায়মন্ডহারবার (১৯৮২), মহেশতলা (১৯৯৩), পুজালি (১৯৯৩), ক্যানিং (২০১০)।

গ্রাম পঞ্চায়েত:  ৩১২টি।

পঞ্চায়েত সমিতি:  ২৯টি।

ব্লক 

২৯টি। বারুইপুর, বাসন্তী, ভানগর-১, ভানগর-২, বিষ্ণুপুর-১, বিষ্ণুপুর-২, বজবজ-১, বজবজ-২, ক্যানিং-১, ক্যানিং-২, ডায়মন্ডহারবার-১, ডায়মন্ডহারবার-২, ফলতা, গোসাবা,

  • জয়নগর-১, জয়নগর-২, কাকদ্বীপ, কুলপি, কুলতলি, মগরাহাট-১, মগরাহাট-২, মন্দিরবাজার, মথুরাপুর-১, মথুরাপুর-২,
  • নামখানা, পাথরপ্রতিমা, সাগর, সোনারপুর, ঠাকুরপুকুর-মহেশতলা।

থানা:  ২৭টি।

লোকসভা আসন: ৪টি। ডায়মণ্ডহারবার, যাদবপুর, জয়নগর (তপশিলি জাতি), মথুরাপুর (তপশিলি জাতি)।

বিধানসভা আসন

৩১টি। বাসন্তি (তপশিলি জাতি), গোসাবা (তপশিলি জাতি), ক্যানিং পূর্ব, ক্যানিং পশ্চিম (তপশিলি জাতি), কুলতলি (তপশিলি জাতি),

জয়নগর (তপশিলি জাতি), মগরাহাট পশ্চিম, মগরাহাট পূর্ব (তপশিলি জাতি), মন্দিরবাজার (তপশিলি জাতি), কুলপি, বিষ্ণুপুর (তপশিলি জাতি), কাকদ্বীপ, সাগর, মহেশতলা,

সাতগাছিয়া, বজবজ, ডায়মন্ডহারবার, ফলতা, বারুইপুর পূর্ব (তপশিলি জাতি), বারুইপুর পশ্চিম, ভাঙড়, যাদবপুর, বেহালা পশ্চিম, বেহালা পূর্ব,

পাথরপ্রতিমা, সোনারপুর উত্তর, সোনারপুর দক্ষিণ, কসবা, টালিগঞ্জ, মেটিয়াবুরুজ, রায়দীঘি।

যোগাযোগ ও পরিবহণ: NH ১১৭ এই জেলার ওপর দিয়ে গেছে।

বাণিজ্য কেন্দ্র: সোনারপুর, বারুইপুর, গোসাবা, ক্যানিং, ডায়মন্ডহারবার।

শিল্প: এখানকার প্রধান শিল্পগুলি হল-চর্মশিল্প, রেডিমেড বস্ত্র, বিস্কুটের কারখানা, বাসন তৈরির কারখানা ও শোলার কাজ ইত্যাদি।

অর্থনীতি: কৃষিভিত্তিক। তবে প্রচুর নদী থাকায় মাছচাষ ও ধরা এবং বনজ সম্পদ সংগ্রহ এখানকার প্রধান অর্থনীতির ভিত্তি।

হাসপাতালের সংখ্যা: সরকারি হাসপাতালের সংখ্যা ৯টি। স্বাস্থ্যকেন্দ্রের সংখ্যা ৮৫৩টি।।

গ্রন্থাগারের সংখ্যা: ১৫৫টি।

ক্রীড়াঙ্গন: যাদবপুর ক্রীড়াঙ্গন।

প্রধান উৎসব

বনবিবি উৎসব এ জেলার একটি বিখ্যাত উৎসব। সাগরদ্বীপে মন্ত্র সংক্রান্তির দিনে গঙ্গাসাগর মেলা অনুষ্ঠিত হয়।

এটি পশ্চিমবঙ্গের সবচেয়ে বড় মেলা। এছাড়াও সারা বছর বিভিন্ন ধরনের আঞ্চলিক মেলা অনুষ্ঠিত হয়। ২১ আগস্ট পালিত হয় ‘সুন্দরবন দিবস’ (১৯৭২ সাল থেকে পালিত হয়)।

‘প্রকৃতির সঙ্গে যুদ্ধ নয়, বন্ধুত্ব করো”—এই স্লোগান সামনে রেখে সুন্দরবনের মানুষ ম্যানগ্রোভ গাছের চারা লাগায় সুন্দরবনকে বাঁচাতে।

প্রধান আঞ্চলিক মেলা 

গোঘাট 

ভাদুর অঞ্চলের আদরায় ‘মকদম পীর সাহেবের মেলা’ অনুষ্ঠিত হয়। জানুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে।

কথিত আছে, মোগল আমলে মকদম পীরসাহেব আদরা গ্রামে আস্তানা করেন। কেন্দ্র করে নানা অলৌকিক কাহিনি রয়েছে।

ঘুটিয়ারি শরিফ

ঘুটিয়ারি শরিফ মসজিদ, বেরাচাপা/চন্দ্রকেতুগড়, অসঘরা, হরিনারায়ণপুর প্রভৃতি অঞ্চলে প্রত্নতাত্ত্বিক খননের ফলে পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে।

মাজার কমিটি আয়োজিত এই মেলা প্রতি বৎসর অনুষ্ঠিত হয়। লোককথা অনুযায়ী সৈয়দ শাহ মোবারক গাজি ছিলেন পীর। বিপদে তাঁকে স্মরণ করলে মুশকিল আসান হয়।

তাঁর তিরোধান দিবস উপলক্ষ্যে প্রতি বৎসর এই মেলা অনুষ্ঠিত হয় আগস্ট মাসের প্রথম সপ্তাহে। দেশ-বিদেশ থেকে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষ এখানে মানত করতে আসেন।

গাজি সাহেবের মাজারে লাল সুতোতে ঢেলা বেঁধে মানত করলে মনের ইচ্ছা পূরণ মাজারের পাশে মক্কাপুকুরের পবিত্র জলে রোগভোগ থেকে মুক্তি মেলে।

মেলা এক দিনের হলেও কয়েকদিন আগে থেকেই উৎসব শুরু হয়ে যায়। এই সময় মরশমি পর্যটকদের সুন্দরবন ঘোরানোর কাজে প্রচুর নৌকা/ল/মোটরবোট নিযুক্ত হয়।

সুন্দরবন আদিবাসী কৃষ্টি ও সংস্কৃতি মেলা

সুন্দরবন আদিবাসী কৃষ্টি ও সংস্কৃতি মেলা’ সন্দেশখালির পূর্ব শঙ্করদহ গ্রামে অনুষ্ঠিত হয় প্রতি বছর। জানুয়ারি মাসের মাঝামাঝি এই মেলার আয়োজন করা হয়।

স্থানীয় ঢেকনামারি হাই স্কুলের পাশে এই মেলার আয়োজন করা হয়। মেলা শুরু উপলক্ষে টুসু প্রতিমা নিয়ে শোভাযাত্রা বেরোয়।

মেলায় টুসু, জাদু, ঘুমুর প্রভাত লোকগানের লড়াই হয়। মেলার আয়োজন করে সুন্দরবন বিরসা মুন্ডা আদিবাসী উন্নয়ন সমিতি। এই মেলার উপলক্ষ্য আদিবাসী উন্নয়ন ও তাদের সংস্কৃতি নিয়ে আলোচনা।

লোকসংস্কৃতি

সুন্দরবনের প্রধান দেবী বনবিবি। এখানে বনবিবির গানও প্রচলিত আছে।

Read More:- North 24 Pargana District | জানুন আপনার নিজের জেলার ইতিহাস | Daily Gk 2022 For Govt Jobs

দর্শনীয় স্থান

সুন্দরবন অঞ্চলের বকখালি ও ফ্রেজারগঞ্জের সৈকতভূমি পর্যটকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে।

কাকদ্বীপ, সোনারপুর, ভাঙ্গর প্রভৃতি স্থানগুলি তেভাগা আন্দোলনের স্মৃতি বিজড়িত। নিমপীঠে ‘রানি রাসমনি মিশন’।

ডায়মণ্ডহারবারের পোতাশ্রয়, গঙ্গাসাগরে কপিলমুনির আশ্রম, বজবজের তৈলাধার, গায়ক হেমন্ত মুখোপাধ্যায়, কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায় (জয়নগরের মজিলপুর) ও চলচ্চিত্র পরিচালক সলিল চৌধুরীর জন্মস্থান বহড়ু গ্রাম,

সুন্দরবনের সজনেখালি অভয়ারণ্য ও ফলতার বাণিজ্য অঞ্চল এই জেলার প্রধান প্রধান দ্রষ্টব্য স্থান। এই জেলার সাগরদ্বীপ রাজ্যের বৃহত্তম দ্বীপ ও তীর্থস্থান।

জেলার বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব 

রাজনারায়ণ বসু, ঋষি (১৮২৬-১৮৯৯) 

বরাল। সাহিত্যিক, দেশপ্রেমিক। হিন্দু মেলা, ন্যাশনাল সোসাইটি প্রভৃতির বকলমে প্রতিষ্ঠাতা। পরবর্তীকালে সঞ্জীবনী সভার সভাপতি হন।

এই সভাকে অনেকে বাংলায় জাতীয় চেতনা প্রসারের অগ্রদূত মনে করেন। তিনি কিছু দিনের জন্য রবীন্দ্রনাথের গৃহশিক্ষকও ছিলেন।

হেমন্তকুমার মুখোপাধ্যায় (১৯২০-১৯৮৯)

বহড়ু গ্রাম, সোনারপুর। স্বনামধন্য সঙ্গীতশিল্পী, সুরকার, সঙ্গীত পরিচালক ও ছায়াছবির প্রযোজক। প্রথম জীবনে সাহিত্যচর্চা করেন।

সলিল চৌধুরী (১৯২২-১৯৯৫) 

হরিনাভি। খ্যাতনামা সঙ্গীত শিল্পী, সুরকার ও গীতিকার।

দেশী সুর, মার্গীয় সঙ্গীতের সুর, পাশ্চাত্য লৌকিক বা ক্লাসিকাল গানের সুর নিয়ে তিনি বহু পরীক্ষা নিরীক্ষা করেন।

এছাড়াও জেলার অন্যান্য উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্বরা হলেন শক্তি চট্টোপাধ্যায় (কবি),

প্রভাস রায় (রাজনীতিবিদ) প্রমুখ বর্তমান রাজ্য সরকারের মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (উচ্চশিক্ষা ও স্কুলশিক্ষা), আবদুর রেজ্জাক মোল্লা (খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ও উদ্যান পালন),

জাভেদ আহমেদ খান (বিপর্যয় মোকাবিলা), মন্টুরাম পাখিরা (সুন্দরবন উন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী), গিয়াসউদ্দিন মোল্লা (সংখ্যালঘু উন্নয়ন, মাদ্রাসা শিক্ষা) এই জেলার বাসিন্দা।

এক নজরে জেলার গুরুত্বপূর্ণ তথ্যাবলী 

সুন্দরবনের অপর নাম বাদাবন। বাদাবনই ইংরেজিতে ম্যানগ্রোভ।

ড্যাম্পিয়ার হজেস রেখা’ কি – ১৮৩০ সালে দুই ইংরেজ সার্ভে অফিসার ড্যাম্পিয়ার ও হজেস কর্তৃক নির্ধারিত সুন্দরবনের উত্তর সীমারেখা।

এই সীমারেখার দক্ষিণ এ অবস্থিত ব-দ্বীপের অংশকে সুন্দরবন বলে।

দক্ষিণবঙ্গের প্রবেশদ্বার বলা হয় ক্যানিংকে ।

সুন্দরবনের আতঙ্ক বলা হয় মাতলা নদীকে। এটি সুন্দরবন অঞ্চলের বৃহত্তম জন বহনকারী নদী।

জীবজগতের সংরক্ষণ, বিস্তার এবং তা থেকে কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে ভাঙড়ে দুটি জীববৈচিত্র পার্ক তৈরি হচ্ছে।

ভাঙড়-১ ব্লকের চন্দনেশ্বর-১ পঞ্চায়েতের কাশীনাথপুরে ও চন্দনেশ্বর-২ পঞ্চায়েতের মহেশপুকুরে।

সুন্দরবনে ম্যানগ্রোভ অরণ্য দেখতে পাওয়া যায়। ম্যানগ্রোভ গাছের নিঃশ্বাস নেওয়াতে ‘নিউম্যাটাফোর’ বলে।

বারুইপুরে অবস্থিত হুগলি নদীর মরা খাতকে ‘আদিগঙ্গা’ বলে।

লালমুখো বানর দেখা যায় – সুন্দরবনে এবং জম্বু দ্বীপে পাখীদের সমারোহ দেখা যায়।

সুন্দরবনে দেখা যায় – চিল, চন্দনা, চোখ গেল পাখি । বকখালিতে আছে পাখিরালয়।

পশ্চিমবঙ্গে ডলফিন কোথায় দেখা যায় — সুন্দরবনের খাড়িতে।

ডায়মণ্ডহারবার রোড কোন পর্যন্ত বিস্তৃত- কাকদ্বীপ

এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম মাছের বাজার – ডায়মণ্ডহারবার।

তেভাগা আন্দোলনের উৎপত্তি – কাকদ্বীপ, সোনারপুর, ভাঙর প্রভৃতি অঞ্চলে।

দক্ষিণ ২৪ পরগনার সুন্দরবনে বাঘের দেবতা হিসেবে পূজিত হন—দক্ষিণ রায়।

সুন্দরবনের মানুষের জনপদে বনবিবির এবং গহন বাদাবনে দক্ষিণ রায়ের পুজো হয়।

সুন্দরবনের নদীতে জলজ প্রাণী কামট বা শার্ক দেখা যায়।

বিভিন্ন প্রজাতির কামট রয়েছে সুন্দরবনের নদীগুলোতে। কামটের কামড়ে বহু মানুষের অঙ্গহানি বা মৃত্যু হয়।

দেবী গঙ্গার বাহন মকর।

গঙ্গানদীর মোহনায় যে নতুন দ্বীপের সৃষ্টি হয়েছে – পূর্বাশা।

বকখালিতে হেনরি আইল্যান্ড ও নামখানায় মৌসুনি দ্বীপ অবস্থিত।

এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অপরূপ ও পর্যটক কেন্দ্র। হেনরি আইল্যান্ডে পাখীদের সমারোহ দেখা যায়। তাদের মৌলে বলে।

সুন্দরবনের বহু মানুষ জীবিকা নির্বাহ করেন মূলত মাছ ধরে। বনে মধু সংগ্রহ করে

নামাখানার অমরাবতী গ্রামের কাছে এডওয়ার্ড ক্লিফ নদীর পাশে ফ্রেজারগঞ্জ মৎস্য জীবিকা গড়ে উঠেছে ১৯৯৫ সালে।

প্রতি বছর ২১ আগস্ট পালিত হয় সুন্দরবন দিবস।

কেন্দ্রীয় সরকার কর্তৃক 1973 সালে সুন্দরবনকে ব্যাঘ্র সংরক্ষণের জন্য জাতীয় উদ্যান,

1977 সালে অন্যান্য বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের জন্য অভয়ারণ্য এবং 1989 সালে সুন্দরবনকে বায়োস্ফিয়ার রিজার্ভ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।

1987 সালে ইউনেস্কো সুন্দরবনকে ‘প্রাকৃতিক ঐতিহ্যপূর্ণ স্থান’ (ম্যানগ্রোভ অরণ্যের জন্য) হিসেবে সংরক্ষণ তালিকাভুক্ত ঘোষণা করেছে।

ষষ্ঠ ও সপ্তম শতকের বৌদ্ধবিহারের সন্ধান পাওয়া গেছে সুন্দরবনের রায়দিঘি থেকে সাড়ে তিন কিলোমিটার দূরে কঙ্কণদিঘির মাঝিপাড়ার মঠবাড়িতে।

উমাশঙ্কর মণ্ডল সুন্দরবনের ম্যানগ্রোভ বাঁচাতে অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন। তাঁকে ‘ম্যানগ্রোভ ম্যান’ বলা হয়।

২০১৮ সালের ১৫ এপ্রিল ইউনেস্কোর ‘ম্যান অ্যান্ড বায়োস্ফিয়ার রিজার্ভ প্রোগ্রাম’-এ পৃথিবীর সেরা ৩০টি স্থানের তালিকায় স্থান পেল সুন্দরবন।

দক্ষিণ পরগনার নামখানার কাছে চন্দনপিড়িতে নতুন পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তুলছে মৎস্য উন্নয়ন নিগম।

সপ্তমুখী নদী ও বঙ্গোপসাগরের মোহনা সংলগ্ন এই ইকো ফিস ট্যুরিজম’ প্রকল্পটি ২০২০ সালের শুরুতেই খুলে দেওয়া হবে।

এর আগে হেনরি আইল্যান্ড ও ফ্রেজারগঞ্জেও পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলা হয়েছে।

Read More:- ECIL Recruitment 2022 | Vacancies For ITI Trade Apprentice | Notification out, Apply Online

Related Articles

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Latest Articles