Soil Erosion: Reason, Types | Effect of Soil Erosion on Environment and Human life | Wbcs Exam Preparation

Soil Erosion: Reason, Types

Soil Erosion: Reason, Types | Effect of Soil Erosion on Environment and Human life | Wbcs Exam Preparation: Soil erosion is a very complex process. It depends on soil properties, ground slope, vegetation, rainfall amount, and intensity. According to Montgomery, one of the most impactful ways of accelerating soil erosion is modifications in land use. These changes then have a very large effect as the loss of fertile topsoil cover sends millions of tons of sediments into lakes and reservoirs, changing ecosystems and impacting agricultural production and water quality.

Soil Erosion: Reason, Types:ভূমিক্ষয় (Soil Erosion) বা মৃত্তিকা ক্ষয় 

Hello Aspirants, welcome back to our channel ” Smart Knowledge”. Today We are discussing about Soil Erosion: Reason, Types.

1.ভূমিক্ষয় (Soil Erosion) মৃত্তিকা ক্ষয় বা ভূমিক্ষয় কাকে বলে ?

নদী, বৃষ্টির জল, বায়ুপ্রবাহ প্রভৃতি প্রাকৃতিক কারণে এবং চাষবাস, বনহনন, অতিরিক্ত পশুপালন ইত্যাদি মানুষের নানা কাজের প্রভাবে কমজোরি, দুর্বল মাটির অস্বাভাবিক অপসারণকে ভূমিক্ষয় বা সয়েল ইরোশন। (Soil erosion) বলে।

2. মৃত্তিকা ক্ষয় বা ভূমিক্ষয়ের কারণ কী ?

মাটির স্তর ক্রমাগত অস্বাভাবিক হারে ক্ষয়ে যাওয়ার অনেক কারণ আছে। এর কিছুটা প্রাকৃতিক কারণ আর কিছুটা মানুষের কর্মফল।  (Soil Erosion: Reason, Types)

ভূমিক্ষয়ের প্রাকৃতিক কারণ 

(I) খাড়া ঢাল : খাড়াই পাহাড়ি ঢালের ওপর প্রচুর বৃষ্টিপাত হলে ওই বৃষ্টির জালে মাটি ধুয়ে যায়। ভূমিক্ষয় হয়।

(2) ঘন বনভূমির অভাব : মাটির ওপর গাছপালার ঘন আবরণ না থাকলে বৃষ্টির জল, নদীর জল, বায়ুপ্রবাহ ও সমুদ্রের ঢেউ-এর আঘাতে ভূমিক্ষয় হয়।

(3) আলগা মাটি : মাটিতে চটচটে আঠালো ভাব না থাকলে, ভূমিক্ষয় সহজ হয়। সে কারণে সমুদ্রের ধারে, মরুভূমির কাছে, মালভূমির ঢালে মাটি তাড়াতাড়ি ক্ষয়ে যায়। কেন না, এই সব এলাকার মাটিতে বালির ভাগ বেশি। তাই মাটির বাঁধন আলগা।

মানুষের তৈরি কারণে ভূমিক্ষয় ভূমিক্ষয়ের পিছনে মানুষেরও হাত আছে। যেমন –

(1) বনভূমির বিলোপ: নির্বিচারে গাছ কেটে ফেলার জন্য মাটির দানাগুলি আলগা হয়ে যায়। ফলে গাছের শিকড় আর তখন মাটিকে আঁকড়ে রাখতে পারে না।

(2) পাহাড়ে ধাপ না কেটে চাষ: পাহাড়ি ঢালের ওপর চাষ-আবাদ করার জন্য ধাপ কাটা (terrace) উচিত। এই ধাপগুলি জমির সমোন্নতি রেখা (contour) বরাবর তৈরি করা না হলে বৃষ্টির জলের আঘাতে বা জলপ্রবাহের মাধ্যমে মাটি ক্ষয়ে যায়।

(3) অনিয়ন্ত্রিত পশুপালন: পাহাড়ি অঞ্চলে অতিরিক্ত পশুচারণ করা হলেও ভূমিক্ষয় হয়। কারণ গবাদি পশু মাটির ওপরের ঘাসের আবরণকে খেয়ে প্রায় নির্মূল করে ফেলে। গঠন ও বাঁধন নষ্ট হয়।

(4) ত্রুটিপূর্ণ জলসেচ ব্যবস্থা: জলসেচ ব্যবস্থা অবৈজ্ঞানিক হলে মাটির ফলে ভূমিক্ষয়ের হার বৃদ্ধি পায়।

(5) জমির বেঠিক ব্যবহার: জমিকে বিজ্ঞানসম্মতভাবে ব্যবহার না করা হলে মাটির ক্ষয় হয়।

3. পৃথিবীতে ভূমিক্ষয়ের গড় পরিমাণ কত?

ওয়ার্ল্ড ওয়াচ ইন্সটিটিউট-এর সমীক্ষায় অনুসারে প্রতি বছর পৃথিবীর প্রধান কৃষি অঞ্চলগুলি থেকে বছরে প্রায় 2,500 কোটি টন উর্বর মাটি ক্ষয়ে নষ্ট হয়ে যায়। আর সারা পৃথিবীতে বিভিন্ন কারণে ভূমিক্ষয়ের মোট পরিমাণ হল প্রতি বছর প্রায় 7,700 কোটি টন।  (Soil Erosion: Reason, Types)

4. মৃত্তিকা ক্ষয় বা ভূমিক্ষয়ের পরিবেশগত গুরুত্ব কী ?  ভূমিক্ষয় পরিবেশকে কীভাবে প্রভাবিত করে?

প্রাকৃতিক পরিবেশের ওপর ভূমিক্ষয়ের প্রভাব –

(1) ভূমিক্ষয় হলে মাটির উর্বরতা কমে ও মাটির ওপর গাছপালার ঘনত্ব কমে যায়।

(2) ভূমিক্ষয় হলে মাটির মধ্যে জলের জোগান কমে যায়। ভৌম জলস্তর নেমে যায়।

(3) মাটি বৃষ্টির জল ধারণ করে এবং সূর্যের তাপে কিছুটা জল মাটি থেকে বাষ্পীভূত হয় যা পরে ঘনীভূত হয়ে বৃষ্টিপাতে সাহায্য করে। তাই ভূমিক্ষয়া হলে জলচক্র ব্যাহত হয়।

(4) ভূমিকা হলে ছত্রাক, ব্যাকটেরিয়া ইত্যাদি বিয়োজকদের আবাস নষ্ট হয় এবং খাদ্যশৃঙ্খল ব্যাহত হয়।

(5) ভূমিক্ষয় হলে নদী খাতে পলি জমে নদীর নাব্যতা হ্রাস পায়। নদীতে বন্যা দেখা দেয়।

(6) ভূমিক্ষয়ের জন্য বন্যা নিয়ন্ত্রণের জন্য নদীর ওপর নির্মিত জলাধারের জলধারণ ক্ষমতা হ্রাস পায়।

মানুষ ও পরিবেশের ওপর ভূমিক্ষয়ের প্রভাব ভূমিক্ষরের জন্য মানুষের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কাজকর্মে সমস্যা দেখা দেয়। যেমন –

(1) উর্বর মাটি ক্ষয়ে যাওয়ার ফলে কৃষি উৎপাদন হ্রাস পায়।

(2) ভূমিক্ষয় বেশি হলে নদী নৌ-পরিবহনের অযোগ্য হয়ে ওঠে।

(3) ভূমিক্ষয়ের ফলে জলসেচ ব্যবস্থার ক্ষতি হয়।

(4) ভূমিক্ষয়ের ফলে নদী মজে গেলে নদীর মোহনায় গড়ে তোলা বন্দরের ক্ষতি হয়।

5. মৃত্তিকা ক্ষয় বা ভূমিক্ষয় কয় প্রকার?

ভূমিক্ষয়া তিন ধরনের। যেমন-

(1) শিট ভূমিক্ষয় (Sheet erosion) : বৃষ্টির জলে ভূমির ঢাল বরাবর জমির ওপরের পাতলা মাটির আস্তরণ চাদরের মতো সরে গেলে শিট ভূমিক্ষয় হয়।

(2) বিল ভূমিক্ষয় (Rill erosion):  মাটির ওপর বর্ষার জলে সরু লম্বা অগভীর গর্ত তৈরি হয়। এই গর্ত বা খাত বরাবর মাটি ধুয়ে যায়। একে রিল ভূমিক্ষয় বলে। ইংরেজি Rill শব্দের মানে বৃষ্টির জলে তৈরি অগভীর খাত।

(3) নালি ভূমি (Gully erosion):  রিলগুলি গভীর ও আরও লম্বা হয়ে নালি তৈরি করে এবং ওই নালি বরাবর বৃষ্টির জল মাটি ধুয়ে সাফ করে দেয়। একে নালি ভূমিক্ষয় বলে।  (Soil Erosion: Reason, Types)

6. মৃত্তিকা ক্ষয় বা ভূমিক্ষয় নিয়ন্ত্রণ করার উপায় কী ?

ভূমিক্ষয় নিয়ন্ত্রণ করার অনেকগুলি উপায় আছে। জমি অনুসারে, জমির ব্যবহার অনুসারে এবং ভৌগোলিক পরিবেশ অনুসারে উপযুক্ত পদ্ধতি বেছে নিতে হয়।

ভূমির নিবারণ করা ও মাটি সংরক্ষণ করার মূল কয়েকটি পদ্ধতি হল-

(I) পাহাড়ি এলাকায় ধাপ চাষ, বলয় কৃষি এবং জমির উচ্চতা অনুসারে সমোন্নতি কৃষি ব্যবস্থা চালু করা।

(2) স্থানান্তর কৃষি, যেমন জুম চাষ বন্ধ করা।

(3) বনসৃজন করা, জমিতে ঘাসের আচ্ছাদন তৈরি করা।

(4) পশুচারণ নিয়ন্ত্রণ করা।

(5) ভূমিক্ষয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় বিভিন্ন ধরনের পাঁচিল বা রিটেনিং ওয়াল (Retaining Wall) নির্মাণ করা। যেমন- কংক্রিটের পাঁচিল, জাল দিয়ে মোড়া পাথরের পাঁচিল ধাপ চাষ গাছের গুড়ি বা বালির বস্তা দিয়ে তৈরি করা পাঁচিল ইত্যাদি।  (Soil Erosion: Reason, Types)

(6) জলনিকাশির বিজ্ঞানসম্মত ব্যবস্থা করা

(7) উন্মুক্ত জমিকে ঢেকে দেওয়ার জন্য ‘মাচ” (mulch) ব্যবহার করা। প্রসঙ্গত, কাটা ঘাস, কাটা খড় পুরোনো কাগজ, কম্পোস্ট সার ফাঁকা জমিতে বিছিয়ে দিয়ে ‘মাল্‌চত করা যায়।

7. কোন্ কোন্ প্রাকৃতিক পরিবেশে মৃত্তিকা ক্ষয় বা ভূমিক্ষয় বেশি হয়?

(1) পাহাড়ি অঞ্চলে, (2) গাছপালার ঘন আবরণ নেই এমন মালভূমি এলাকায়, (3) নদী ও সমুদ্রের ধারে, (4) মরুভূমির কাছাকাছি অঞ্চলে ভূমিক্ষয় বেশি হয়।

8. ভারতের কোন্ কোন্ অঞ্চলে মৃত্তিকা ক্ষয় বা ভূমিক্ষয়ের প্রবণতা বেশি ?

ভারতে হিমালয়ের পার্বত্য অঞ্চলে, উপকূল অঞ্চলে, ছোটোনাগপুরের মালভূমি এলাকায়, দাক্ষিণাত্যের মালভূমি অঞ্চলে, উত্তরপ্রদেশের দক্ষিণাংশে, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড় এবং রাজস্থানের রুক্ষ মাটিতে ভূমিক্ষয়ের প্রবণতা বেশি।  (Soil Erosion: Reason, Types)

জমির অবক্ষয় (Land Degradation)

9. জমির অবক্ষয় বা ল্যান্ড ডিগ্রেডেশন কী ?

জমির অবক্ষয় বা ল্যান্ড ডিগ্রেডেশন (land degradation) বলতে মানুষের অবৈজ্ঞানিক কাজের ফলে জমির ভৌত-রাসায়নিক গুণ, উর্বরতা ও উৎপাদিকা শক্তি হ্রাস পাওয়ার ঘটনাকে বোঝায়।

10. জমির অবক্ষয় হয় কেন? জমির অবক্ষয়ের কারণ কী ?

জমির অবক্ষয়ের প্রধান কারণ হল বনহনন বা অরণ্য ধ্বংস করার কাজ। এর ফলে মাটি আলগা হয়। ভূমিক্ষয় বাড়ে। মাটির উর্বর উর্ধ্বস্তর ক্ষয় হয়ে যায়। মাটিতে হিউমাসের জোগান কমে যায়। বায়ুপ্রবাহের ফলেও তখন মাটি সহজে ক্ষয় হয়ে যায়। এইভাবে মাটির গুণ ও মান নষ্ট হয়।

11. ভারতের কোথায় জমির অবক্ষয় বা ল্যান্ড ডিগ্রেডেশন সমস্যা বেশি ?

ভারতের মধ্যপ্রদেশ, ছত্রিশগড়, গুজরাট, রাজস্থান, দক্ষিণ উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, পশ্চিমবঙ্গ, ঝাড়খণ্ড প্রভৃতি রাজ্যে জমির অবক্ষয়জনিত সমস্যা বাড়ছে।  (Soil Erosion: Reason, Types)

12. মানুষ ভূমি সম্পদের বিকাশ কীভাবে ঘটায় ?

মানুষ ভূমি সম্পদের বিকাশ ঘটায়। চাষ-আবাদ, শিল্প স্থাপন, জলসেচের সুযোগ বৃদ্ধি, জনবসতি স্থাপন, পরিবহন ব্যবস্থা প্রভৃতি গড়ে তোলার মাধ্যমে মানুষ ভূমি বা জমিকে সম্পদে পরিণত করে। যেমন, ভারতের সুন্দরবন অঞ্চলে চাষ-আবাদের জমিকে সমুদ্রের লোনা জল থেকে বাচানোর জন্য নদী বা খাড়ির দু-পাশে ও উপকূল বরাবর বাঁধ দেওয়া হয়েছে। রাজস্থানের বিভিন্ন এলাকায় থর মরুভূমি যাতে চাষের জমিকে গ্রাস করতে না পারে, সেজন্য ব্যাপক হারে গাছপালা লাগানো হয়েছে। ফলে মানুষ ভূমি সম্পদের বিকাশ ঘটাতে সাহায্য করেছে।

 

Read More:- North 24 Pargana District | জানুন আপনার নিজের জেলার ইতিহাস | Daily Gk 2022 For Govt Jobs

Related Articles

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Latest Articles