Nadia District Details Description | Know your District | Daily Gk 2022 For competitive Exams

Nadia District Details Description

Nadia District Details Description | Know your District | Daily Gk 2022 For competitive Exams:- District Nadia is a very famous district not only in West Bengal But also in India. Today in this Topic Smart Knowledge is here with a details description about our district ” Nadia. Nabadwip and Mayapur are two Unique places where people from different countries only to look at the Diversity of human beings in one place.

 

Nadia District Details Description: নদীয়া জেলার ইতিহাস

Nadia District Map


 

  • জেলার নাম নদিয়া হল কেন সে বিষয়ে বিভিন্ন জনশ্রুতি আছে। কেউ কেউ বলেন নয়টি দ্বীপের সমষ্টি নবদ্বীপ বা নতুন (নব) দ্বীপ অর্থাৎ নবদ্বীপ থেকে নদিয়া নামের উৎপত্তি।
  • আবার কারো মতে ‘নয়টি দিয়া’ অর্থাৎ নয়টি ‘প্রদীপ’ থেকে নবদ্বীপ বা নদিয়া নামের উৎপত্তি।
  • ঐতিহাসিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ জেলা নদিয়া। নদিয়ার নবদ্বীপ ছিল বঙ্গেশ্বর লক্ষ্মণ সেনের (দ্বাদশ শতাব্দীর) রাজধানী।
  • বাংলায় মুসলমান যুগের সূচনা হয় ১২০৪ সালে বখতিয়ার খিলজির নদিয়া জয়ের মধ্য দিয়ে।
  • এইখানে রাজত্ব করতেন নদিয়ার রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা ভবানন্দ মজুমদারের বংশধর মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্র।
  • ১৭৫৭ সালে বাংলার স্বাধীনতার সূর্য অস্ত গিয়েছিল এই নদিয়ারই পলাশির প্রান্তরে।
  • এই নদিয়াতেই ইংরেজ অত্যাচারের বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছিলেন ১৮৩১ সালে কৃষক বিদ্রোহের নায়ক তিতুমীর। নদিয়ায় নীলবিদ্রোহ শুরু হয়েছিল ১৮৬০ সালে।
  • এই নদিয়ার সম্ভান ছিলেন ভক্তি আন্দোলনের নায়ক চৈতন্যদেব (১৪৮৫-১৫৩৩)।
  • নদিয়া জেলার মানুষের সভ্যতা, শিষ্টাচার, সুরসিকতা, শিল্প-কুশলতা, সাহিত্যানুরাগ প্রভৃতির খ্যাতি সর্বত্র প্রচার হয়েছিল।  (Nadia District Details Description)

বিদ্যাচর্চা ও বিদ্যাসমাজ

  • প্রাচীন যুগে নদিয়া লোকসংস্কৃতি ও সাহিত্যচর্চার পীঠস্থান ছিল।
  • হুসেন শাহের আমলে বৃন্দাবন দাসের ‘শ্রীচৈতন্য ভাগবত’ অনুসারে নবদ্বীপের চতুষ্পাঠী ও টোলগুলিতে হাজার হাজার ছাত্র পড়াশোনা করত।
  • চৈতন্যযুগে নবদ্বীপ সংস্কৃত ভাষায় বিদ্যাচর্চা ও বিদ্যাসমাজ গড়ে উঠেছিল। তাই সেইযুগের নবদ্বীপকে ‘বাংলার অক্সফোর্ড’ বলা হত। নদিয়ার বোলান গান, জারি গান বিখ্যাত।
  • মুসলমানদের মধ্যে জারি গান প্রচলিত। জারি শব্দের অর্থ ‘জাহির’।
  • এখানে উল্লেখ্য ১৯৪৭ সালে ভারত স্বাধীনতা অর্জন করে।
  • এই সময় স্যার সিরিল র‍্যাডক্লিফের রায় পরিষ্কার বোঝা না যাওয়ায় ১৫ আগস্ট তারিখে নদিয়া ভারতভুক্ত হয়নি, তিনদিনের জন্য পাকিস্তানভুক্ত ছিল।

♠ তারপর ১৮ আগস্ট তারিখে নদিয়া ভারতের অন্তর্ভুক্ত হয়। এজন্য আজও অনেক স্থানে ১৮ আগস্ট এই জেলার প্রতিষ্ঠা দিবস পালিত হয়।

স্বাধীনতার সময় স্যার সিরিল র‍্যাডক্লিফের রায় পরিষ্কার বোঝা না যাওয়ায় ১৫ আগস্ট তারিখে মানচিত্রের গোলমালে তিন দিন পাকিস্তানের অন্তর্ভুক্ত ছিল –

নদিয়া, মালদহ, মুর্শিদাবাদ, অবিভক্ত ২৪ পরগনা ও দিনাজপুর জেলার কিছু অংশ।

১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট তাই এই জেলাগুলি স্বাধীনতা দিবস পালন করতে পারেনি। তিনদিন পর অর্থাৎ ১৮ আগস্ট ঘোষণা করা হয় এই জেলাগুলি ভারতেরই অংশ।

সেই হিসেবে এই দিনটি স্বাধীনতা দিবসের মর্যাদা পায় ওই সকল জেলাগুলি।

একনজরে নদিয়া জেলা

 স্থাপনকাল  ১৭৮৭ সাল (ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানী ঘোষিত বাংলার প্রথম জেলা)। স্বাধীনতার পর ১৯৪৭ সালের ১৮ আগস্ট ভারত অধিরাজ্যের অন্তর্ভুক্ত হয়।

 ভৌগোলিক অবস্থান : উত্তর অক্ষাংশ ২৪°১১ এবং ২২°৫৩’-এর মধ্যে বিস্তৃত এবং

দ্রাঘিমাংশ ৮৮°৪৮″ পূর্ব থেকে ৮৮°০৯′ পূর্বের মধ্যে অবস্থিত।

সীমানা : উত্তরে মুর্শিদাবাদ, দক্ষিণে উত্তর ২৪ পরগনা, পূর্বে বাংলাদেশ ও পশ্চিমে। ভাগীরথী ও পূর্ব বর্ধমান।

আয়তন:  ৩,৯২৭ বর্গকিমি।

■ জেলা সদর : কৃষ্ণনগর।

সংখ্যা : ৪টি। কল্যাণী, রানাঘাট, কৃষ্ণনগর, তেহট্ট।  (Nadia District Details Description)

ভূ-প্রকৃতি ও মৃত্তিকা

  এই জেলাটি মূলত পলি দ্বারা গঠিত সমতলভূমি। গঙ্গার পরিণত ব-দ্বীপের অংশ এই নদিয়া। নদিয়ার প্রধান নদী জলঙ্গী ও চূর্ণী।

  • এই নদীগুলির গতিপথ সর্পিল হওয়ায় জায়গায় জায়গায় অনেক বিল তৈরি হয়েছে। ক্রমাগত পলি পড়ে ও মজে গিয়ে এই নদীগুলির প্রবাহ ক্রমশ বন্ধ হয়ে গেছে।
  • তাই বর্ষার সময় এই জেলার বহু অঞ্চলে বন্যা হয়। কর্কটক্রান্তি রেখার উপর অবস্থিত হওয়ায় এই জেলাটিতে গ্রীষ্মকালে প্রচণ্ড গরম অনুভূত হয়।
  • প্রধানত পলি ও দোঁআশ মৃত্তিকা দ্বারা এই গাঙ্গেয় সমভূমি অঞ্চলটি গঠিত।

জলবায়ু

কর্কটক্রান্তি রেখা এই জেলার মধ্যাংশের (মাজদিয়ার ওপর দিয়ে) উপর অবস্থিত হওয়ায় গ্রীষ্মে প্রচণ্ড গরম এবং শীতে প্রচণ্ড ঠাণ্ডা অনুভূত হয় (স্বাভাবিকের চেয়ে ২ থেকে ৩ ডিগ্রি বেশি বা কম)।

  • তাই এখানকার জলবায়ু উষ্ণ আর্দ্র ক্রান্তীয় মৌসুমি প্রকৃতির। বার্ষিক বৃষ্টিপাত ১২০০-১৪০০ মিলিমিটার।

■ উদ্বৃতা: সর্বোচ্চ ৪৩° সেলসিয়াস ও সর্বনিম্ন ০৯° সেলসিয়াস।  (Nadia District Details Description)

নদ-নদী

প্রধান নদী জলঙ্গী ও চূর্ণী। জেলার পশ্চিম সীমানায় ভাগীরথী (গঙ্গা) নদী প্রবহমান। অন্যান্য নদীগুলি হল ইছামতি, ভৈরব ও মাথাভাঙা।

  • ভীমপুরের উপর দিয়ে বয়ে গেছে ঝোড় নদী। নদীগুলির প্রবাহ পরিবর্তনের ফলে এখানে অনেক অশ্বক্ষুরাকৃতি হ্রদ, জলাভূমি ও বিল গড়ে উঠেছে।

■ অভয়ারণ্য : নদিয়ার বেথুয়াডহরিতে একটি অভয়ারণ্য আছে। এখানে প্রচুর হরিণ, বনবিড়াল ও পাখির সমারোহ দেখা যায়। এই অরণ্যে শাল, মেহগনি গাছের সমারোহ দেখা যায়।

কৃষিজ উৎপাদন

কৃষিপ্রধান জেলা নদিয়া। জেলার প্রধান কৃষিফসল ধান। এরপরের স্থানেই আছে পাট। এছাড়া ডাল, তৈলবীজ এবং সবজির চাষ হয়।

  • এই জেলায় আখ, আলু ও বিভিন্ন মশলার চাষও হয়। চাষের জমিতে সেচের ব্যবস্থা করা হয় সাধারণত নলকূপ, খাল, বিল ও বাঁওড়ের সাহায্যে।
  • রাজ্যে দুধ উৎপাদনে প্রথম, ডিম উৎপাদনে ষষ্ঠ, গম উৎপাদনে দ্বিতীয়, ধান উৎপাদনে সপ্তম স্থান অধিকার করে আছে এই জেলা।  (Nadia District Details Description)

■ স্বাভাবিক উদ্ভিদ: আম, জাম, তাল, সুপারি, শাল, সেগুন, কাঁঠাল ইত্যাদি।

জনসংখ্যা : ৫১,৬৮,৪৮৮ জন (রাজ্যের মোট জনসংখ্যার ৫.৭৪ শতাংশ)।

পুরুষ: ২৬,৫৫,০৫৬ জন।

■ মহিলা : ২৫,১৩,৪৩২ জন।

■ জনঘনত্ব:  প্রতি বর্গ কিমিতে ১,৩১৬ জন।

■ জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার:  ১২.২৪ শতাংশ।

■ লিঙ্গ অনুপাত: ৯৪৭ জন (প্রতি ১০০০ জন পুরুষে)।

■ সাক্ষরতার হার : মোট ৭৫.৫৮ শতাংশ; পুরুষ ৭৯.৫৮ শতাংশ ও মহিলা ৭১.৩৫ শতাংশ।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান

  বিশ্ববিদ্যালয় ১টি। কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয় (স্থাপিত ১৯৬০)। মোট কলেজের সংখ্যা ২৯টি। ডিগ্রি কলেজ ২১টি, প্রযুক্তিবিদ্যা কলেজ ৩টি।

  • এছাড়া এই জেলায় টেগোর স্কুল অব রুরাল ডেভেলপমেন্ট এন্ড এগ্রিকালচার কলেজ,

কে. আর. অধিকারী কলেজ অব অপটোমেট্রি এন্ড প্যারামেডিকেল টেকনোলজি কলেজ, স্নেহাংশু কান্ত আচার্য ইনস্টিটিউট অব ল কলেজ ও জে.আর.এস.ই.টি কলেজ অব ল অবস্থিত।

■ পুরসভা : ১১টি। রানাঘাট (১৮৬৪), কৃয়নগর (১৮৬৪), শান্তিপুর (১৮৬৫), বীরনগর (১৮৬৯), নবদ্বীপ (১৮৬৯), চাকদা (১৮৮৬),

কল্যাণী (১৯৯৫), গয়েশপুর (১৯৯৫), কুপার্স ক্যাম্প (১৯৯৭), তাহেরপুর (১৯৯৩), তেহট্ট (২০১০)।

গ্রাম পঞ্চায়েত : ১৮৭টি।

■ পঞ্চায়েত সমিতি : ১৭টি।

ব্লক : ১৭টি। চাকদহ, চাপড়া, হাঁসখালি, হরিণঘাটা, কালিগঞ্জ, করিমপুর-১, করিমপুর-২, কৃষ্ণগঞ্জ, কৃষ্ণনগর-১, কৃষ্ণনগর-২, নবদ্বীপ, রানাঘাট-১, রানাঘাট-২, নাকাশিপাড়া, শান্তিপুর, তেহট্ট-১, তেহট্ট-২।

■ থানা : ২০টি।

লোকসভা আসন : ২টি। রানাঘাট (তপশিলি জাতি), কৃষ্ণনগর।

বিধানসভা আসন : ১৭টি। পলাশিপাড়া, নাকাশিপাড়া, করিমপুর, চাপড়া, কৃষ্ণগঞ্জ (তপশিলি জাতি), কালীগঞ্জ, নবদ্বীপ, শান্তিপুর, কৃষ্ণনগর উত্তর, কৃষ্ণনগর দক্ষিণ, রানাঘাট উত্তর-পূর্ব (তপশিলি জাতি),

রানাঘাট উত্তর-পশ্চিম, রানাঘাট দক্ষিণ (তপশিলি জাতি), হরিণঘাটা (তপশিলি জাতি), চাকদহ, তেহট্ট, কল্যাণী (তপশিলি জাতি)।  (Nadia District Details Description)

যোগাযোগ ও পরিবহণ

 পূর্ব রেলের শিয়ালদহ শাখা থেকে জেলার উল্লেখযোগ্য স্টেশন পলাশি, বেথুয়াডহরি, কৃষ্ণনগর, রানাঘাট, শাস্তিপুর, বগুলা, গেদে চাকদহ, কল্যাণী প্রভৃতি স্থানের যোগাযোগ রয়েছে।

  • ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে ‘মৈত্রী এক্সপ্রেস’ ট্রেন ২০০৮ সালের ১৪ এপ্রিল চালু হয়েছে। এটি কলকাতা স্টেশন থেকে ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট পর্যন্ত চলে।
  • ২০১৭ সালের ৯ নভেম্বর দ্বিতীয় ট্রেন ‘বন্ধন’ চালু হয়েছে। এই ট্রেনে গেদে হয়ে বাংলাদেশের দর্শনায় যাওয়া যায়। এটি চলে কলকাতা থেকে খুলনা পর্যন্ত।
  • জাতীয় সড়ক NH-34 ও NH 81 এই জেলার ওপর দিয়ে গেছে। কল্যাণী হাইওয়ে কল্যাণী থেকে বেলঘরিয়া ও বিরাটির মাঝে যুক্ত হয়েছে।
  • দুই দিক থেকেই সড়কপথে কলকাতায় প্রবেশ করা যায়।

■ বাণিজ্য কেন্দ্র : চাকদহ, রানাঘাট, কৃষ্ণনগর, বেথুয়াডহরি ও পলাশি, শান্তিপুর, চাপড়া, করিমপুর।

শিল্প : এখানকার প্রধান প্রধান শিল্প কৃষ্ণনগরের মৃৎশিল্প ও টেরাকোটা শোলাশিল্প, ফুলিয়া ও শান্তিপুরের তাঁতের শাড়ি জগদ্বিখ্যাত।  (Nadia District Details Description)

অর্থনীতি

 নদিয়ায় রাজ্যসরকার পরিচালিত কয়েকটি বিখ্যাত প্রতিষ্ঠান হল –

কল্যাণী স্পিনিং মিল, ওয়েস্ট বেঙ্গল ডেয়ারি অ্যান্ড পোলট্রি ডেভেলপমেন্ট করপোরেশন লি. (কল্যাণী), হরিণঘাটা গভর্নমেন্ট ডেয়ারি ফ্যাক্টরি (হরিণঘাটা)।

  • চাকদহে নৌকা তৈরির শিল্প বহু প্রাচীনকালের। এছাড়াও এই জেলায় কয়েকটি ভারী শিল্প গড়ে উঠেছে। দীর্ঘদিনের বস্তুবয়ন শিল্প নদিয়ার ঐতিহ্যমন্ডিত শিল্প।
  • আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে নদিয়ার কৃষ্ণনগরের মৃৎশিল্পের খ্যাতি আছে। নবদ্বীপ ও রানাঘাটের কাঁসার বাসনপত্রের খ্যাতি রয়েছে।
  • নদিয়ার মৃৎশিল্পী রাম পাল পুরস্কৃত হয়েছিলেন ১৮৫১ সালে লন্ডনে অনুষ্ঠিত ‘এগজিবিশন অফ্ দ্য ওয়ার্কস অব ইন্ডাস্ট্রি অফ্‌ অল নেশনস্’ প্রদর্শনীতে।
  • পরবর্তীকালে আরও অনেক আন্তর্জাতিক পুরস্কার পেয়েছেন এখানকার মৃৎশিল্পীরা। কৃষ্ণনগরের কিছু মাটির কাজ সংরক্ষিত আছে আমেরিকার পিয়াবডি মিউজিয়ামে।
  • মৃৎশিল্পীদের বসবাস জলঙ্গী নদীর তীরবর্তী কৃষ্ণনগর শহরের ঘূর্ণি, ষষ্ঠীতলা-কুমোড়পাড়া এবং আনন্দময়ী-রথতলা, নতুনবাজার অঞ্চলে।
  • বস্তুবয়ন শিল্প প্রসিদ্ধ গঙ্গার তীরবর্তী শান্তিপুর ও ফুলিয়ায়। ফুলিয়ার অপর নাম ‘গ্রামরত্ন’।
  • টাঙ্গাইল শাড়ির জন্য বিখ্যাত ফুলিয়ার কাপড় কেনা-বেচা হয় রামনগর, চাকদহ ও বেলডাঙ্গা প্রভৃতি হাটে।

■ হাসপাতালের সংখ্যা : সরকারি হাসপাতাল ৮টি। স্বাস্থ্যকেন্দ্রের সংখ্যা ৪৫৯টি।

  • কল্যাণীতে নির্মিত হতে চলেছে এই রাজ্যের প্রথম এইমস (অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সেস) হাসপাতাল।  (Nadia District Details Description)

■ আদালতের সংখ্যা : কৃষ্ণনগর ও কল্যাণীতে কোর্ট আছে।

■ গ্রন্থাগারের সংখ্যা : ১১০টি।

ক্রীড়াঙ্গন :  কল্যাণী স্টেডিয়াম ও কৃষ্ণনগর স্টেডিয়াম।

থিয়েটার হল : কল্যাণীতে ঋত্বিক সদন, বিদ্যাসাগর মঞ্চ।

■ প্রধান উৎসব:   শান্তিপুরের রাসযাত্রা, কৃষ্ণনগরের জগদ্ধাত্রী পূজা ও বারোদোলের মেলা বিখ্যাত।

  • বাদকুল্লার কাছে পাটুলী গ্রামে ডাকাতেকালীর পূজা হয় এবং মায়াপুরের ইসকন মন্দিরে দোলযাত্রা, আড়ংঘাটার যুগলকিশোর মেলা, অগ্রদ্বীপের মেলা বিখ্যাত।

Read More:- WB PSC Recruitment 2022|Nursing Department|Notification released|Apply online & Other Details

প্রধান আঞ্চলিক মেলা♦

 

সতীমার মেলা,  কল্যাণী

 প্রতি বছর দোল পূর্ণিমায় সতীমাতার মেলা কল্যাণীর ঘোষপাড়ায় অনুষ্ঠিত হয়। তৎকালের অলৌকিক মাহাত্মের কিংবদন্তী নারী।

  • ঘোষপাড়ায় তাঁর পীঠস্থান। তাঁর আসল নাম ছিল সরস্বতী পাল। ঘোষপাড়া বৈষুব ধর্মের উপশাখা কর্তাভজা সম্প্রদায়ের প্রধান কেন্দ্র তথা পীঠস্থান।
  • এখানে কর্তাভজা সম্প্রদায়ের প্রবর্তক আউলচাঁদের প্রথম ও প্রধান শিষ্য রামশরণ পালের বাস্তুভিটায় এক ডালিম গাছের নীচে রামশরণের ধর্মপ্রাণা স্ত্রী সরস্বতী পাল সিদ্ধিলাভ করেন বলে জনশ্রুতি।
  • তিনি কর্তাভজা সম্প্রদায়ের কাছে সতীমা নামে পরিচিতা।

শীতলা মেলা, রানাঘাট

প্রতি বছর দোলের সাতদিন পর থেকে রানাঘাটের ১২নং ওয়ার্ডের শীতলাতলায় এই মেলা অনুষ্ঠিত হয়।

  • প্রায় ২০০ বছরের পুরনো এই মেলার সূচনা করেন হরিদাস চক্রবর্তী। বর্তমানে সেই পুজোর ঐতিহ্য বহন করে নিয়ে চলেছে তাঁর বংশধরেরা।
  • চৈত্র মাসে গাজনের মুখে সারা বাংলাতেই এই ধরনের নানা মেলা হয়। নানা লোকায়ত দেবদেবী সেই মেলার প্রধান আকর্ষণ।
  • স্থানীয় এই মেলা উপলক্ষ্যে প্রচুর লোকসমাগম হয়। চারদিন ধরে এই মেলায় মানুষ গৃহস্থালীর প্রয়োজনীয় জিনিষপত্র কেনে।  (Nadia District Details Description)

লালন মেলা, কৃষ্ণনগর

নদিয়ার আমাননগর, ভীমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কদমখালিতে এলাকার মানুষ লালনের সুরে বাঁধা পড়ে প্রতিবছর ১-৪ নভেম্বর।

  • পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য লালন মেলা সমিতি পরিচালিত এই লালন মেলার খ্যাতি জেলার গন্ডি ছাড়িয়ে রাজ্য স্তরে পৌঁছে গেছে।
  • ২০১৬ সালে এই মেলা ২৭ বছরে পদার্পণ করেছে। ভিন রাজ্য ও স্ব-রাজ্যের সাধক বাউলেরা এখানে তাঁদের সাধনার ক্ষেত্র খুঁজে পান।
  • তারই টানে দুর-দূরান্ত থেকে এখানে ছুটে আসেন বাউল-ফকিররা। এই উপলক্ষ্যে মেলার চারদিন জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে মেতে ওঠেন হাজার হাজার মানুষ।
  • তৈরী হয় এক মহা মিলনের ক্ষেত্র। চারদিকে শুধু ধ্বনিত হয় লালনের মানব প্রেমের বাণী।

অপরাধ-ভগুন মেলা

নদিয়া জেলার কল্যাণীতে কৃষ্ণ একাদশীতে আয়োজিত এই মেলায় এসে পুজো দিলে সব পাপ ধুয়ে যায়।

  • এমনই বিশ্বাস করে স্থানীয় গয়েশপুরের তুলিয়ার মানুষ।

প্রতি বছর ডিসেম্বর মাসের কৃষ্ণ একাদশীতে এখানে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ আসেন পুজো দিতে।

  • লোকশ্রুতি যে এই মেলার বয়স পাঁচশো তিরিশ বছর এবং চপল-গোপাল কুলিয়ায় এসে চৈতন্যদেবের শরন নিয়ে পাপমুক্ত হয়েছিলেন।
  • এখানেই রয়েছে রাধা গোবিন্দ এবং শিবের মন্দির। স্থানীয় মানুষের বিশ্বাস এই মন্দিরে পুজো দিলে পাপমুক্ত হওয়া যায়।
  • এখানকার যমুনা খালে স্নান করে মন্দিরে পুজো দিতে হয়।  (Nadia District Details Description)

পাটুলির (রানাঘাট) মেলা

 নদিয়া জেলার রানাঘাটের পাটুলির পীরবাবার মেলার বয়স ১০০ বছর পেরিয়েছে।

  • প্রচলিত গল্প আছে যে জনাব আলি মোল্লা নামে এক ধর্মপ্রাণ ব্যক্তিকে পীরসাহেব স্বপ্নে দেখা দিয়েছিলেন।
  • বলেছিলেন, তাঁর উদ্দেশ্যে একটি নিমগাছ লাগাতে। সেইসঙ্গে আরও কিছু গাছের সন্ধান তিনি দিয়েছিলেন যা দিয়ে ওষুধ তৈরি করে অসুস্থদের মধ্যে বিতরণ করতে।
  • মাঘ মাসের শেষ সপ্তাহে শুরু হয় এই মেলা। চলে সাতদিন। পীরবাবার কাছে মানতের উদ্দেশ্যে এই মেলায় আসেন হিন্দু-মুসলমান দুই সম্প্রদায়েরই মানুষ।
  • দর্শনার্থীরা মেলা প্রাঙ্গনের নিমগাছের ডালে মাটির ঘোড়া ঝুলিয়ে মানত করে। গাছের গোড়ায় মোমবাতি ও ধুপধুনো জ্বালানো হয়।  (Nadia District Details Description)
  • মেলায় মুরগি ও খাসি কুরবানি দেওয়া হয়। বলির মাংস প্রসাদ হিসেবে বিলি করা হয়। মেলা চালান ফকিররা।

লোকগান

হালুই গান:

হালুই গান

 হাতে লাঠি, গায়ের শীতের পোশাক। হ্যারিকেন বা হ্যাজাক নিয়ে শীতের রাতে গ্রামের বাড়িতে বাড়িতে এই গানের ঐতিহ্য এখনও বহন করে নদিয়ার গ্রামে গ্রামে। নাম হালুই গান।

  • এই গানের বিশেষত্ব হল রাতে গাওয়া হয়। হারমোনিয়াম ও ঢোলের সঙ্গতের সঙ্গে থাকে তালে তালে লাঠি ঠোকা। গানের পর মেলে চাল, সব্জি ও নগদ টাকা।
  • এই গান বাঙালির লোকসংস্কৃতির অঙ্গ।

নদিয়ার বহিরগাছি, বিশ্বনাথপুর, কৈখালি, হাজরা খাল, মালশাদহ, ভোলমারি, ভায়না, রূপদহ, কুলগাছিতে এখনও রাত নামলে আট-দশ জনের হালুই গানের দল গ্রামে ঢোকেন।

  • বিভিন্ন পৌরাণিক ঘটনা নিয়ে গান বেঁধে পরিবেশিত করা হয়। বর্তমানে মানুষকে সচেতন করার গানও বাঁধা হচ্ছে। এই গানের সুর মাদকতাময়।
  • শীতের রাতে হালুই গান শুভ লক্ষণ বলে বিবেচিত। এই গান প্রাচীন বাংলার একটি ধারা বহন করছে। এই গানের ঐতিহ্য বাঁচিয়ে রাখতে শিল্পীরা সদা সচেষ্ট।  (Nadia District Details Description)

বোলান গান:

Bolan gan(Atkula) - YouTube

   হাকৃষ্ণগঞ্জ থানার কৃষ্ণপুরে গাজন উৎসবের অঙ্গ হিসাবে ‘বোলান’ পালা বিখ্যাত। গাজন সন্ন্যাসীদের বলা হয় ‘বালা’। বালাদের গানই বোলান। গানের মূল উপজীব্য। পুরাণের কাহিনি।

জারি গান :

jari gaan Top 20 Videos

নদিয়ার নিজস্ব লোকসংস্কৃতির ধারাটি বরাবরই সমৃদ্ধ, তাই জারি এখানে দারুনভাবে জনপ্রিয়।

  • অবিভক্ত বাংলাদেশের ময়মনসিংহ অঞ্চলে ‘মর্সিয়া’ জারির উদ্ভব যা পরবর্তী কালে ছড়িয়ে পড়ে সংলগ্ন নদিয়া ও মুর্শিদাবাদে।
  • ফারসি ভাষায় ‘জারি’ কথার অর্থ শোক, বিলাপ বা কান্না।

‘কারবালার ঘটনা নিয়ে বাংলার গ্রামীণ শোকগাথা’ হল জারি। সাধারণত মহরমের সময় এই গান গাওয়া হয়।

  • মহরমের ইতিহাস প্রায় চোদ্দোশো বছর আগের।  (Nadia District Details Description)

কারবালার মাঠে ফুরাত নদীর তীরে মহরম মাসের দশ তারিখে এজিদের সেনাবাহিনীর হাতে হজরত মহম্মদের দৌহিত্র হোসেনের সপরিবারে নৃশংস মৃত্যু হয়।

  • তার আগে এজিদ কৌশলে বিষ প্রয়োগ করে হজরত মহম্মদের অপর দৌহিত্র ইমাম হাসানকে হত্যা করে।

এই মৃত্যুর স্মৃতিতে মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ স্মরণ উৎসব পালন করেন মহরমে।

  • সেই কারবালার মাঠেরই কাহিনি ছোট ছোট গানে তুলে ধরা হয় জারিতে।

বিশেষ ধরনের নাচের মুদ্রা ব্যবহার করে জারি গায়কের দল। কারুণ্য মহরমের একমাত্র সুর।

  • জারিগানে ‘শাহেরবানু’ বা ‘সাকিনাবানু’র কান্নাকে গানের মাধ্যমে উপস্থাপনা করা হয়।
  • কারবালার মাঠে একরত্তি পাপাসার্ত শিশুকেও এজিদের সৈন্যরা বিষাক্ত তীরে হত্যা করেছিল।

এই সকল ঘটনাবলীর স্মরণেই মহরম পালিত।  (Nadia District Details Description)

 

দর্শনীয় স্থান

 নবদ্বীপে মহাপ্রভু শ্রীচৈতন্যদেবের জন্মস্থান, ফুলিয়ায় কবি কৃত্তিবাস ওঝার (রামায়ণের বাঙলা অনুবাদ করেন) জন্মস্থান,

কৃষ্ণনগর রাজবাড়ি, মায়াপুরের ইস্‌কন প্রতিষ্ঠিত চন্দ্রোদয় মন্দির (এখানে প্রতি বছর দেশি বিদেশি বহু কৃষ্ণভক্তের সমাগম হয়),

  • মায়াপুরে সেনরাজা বল্লাল সেনের স্মৃতিবিজড়িত ‘বল্লাল ঢিবি’ প্রাচীন ইতিহাসের সাক্ষ্য বহন করে, নবদ্বীপের পশ্চিমে পাড়ভাঙায় উঁচু ঢিবি বৌদ্ধস্তুপ হিসেবে চিহ্নিত, যা ‘পাহাড়পুর’ নামে পরিচিত,
  • ফুলিয়ায় যবন হরিদাস ঠাকুরের সাধন পীঠস্থান ‘ভজন গোফা’ বর্তমান, শিবনিবাসে রাজা রাঘব রায়ের প্রতিষ্ঠিত এশিয়ার বৃহত্তম শিবলিঙ্গ,
  • কল্যাণীর সতীমায়ের মন্দির, রামতনু লাহিড়ী ও নাট্যকার দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের জন্মস্থান কৃষ্ণনগর (অষ্টাদশ শতাব্দীর প্রথমভাগে কৃষ্ণনগর দক্ষিণবঙ্গের রাজধানী ছিল),
  • পলাশির আমবাগান ও মনুমেন্ট, রাসযাত্রায় শান্তিপুর এবং বেথুয়াডহরির অভয়ারণ্য (হরিণের জন্য বিখ্যাত) উল্লেখযোগ্য।
  • ১৭৫৭ খ্রিস্টাব্দের ২৩শে জুন ভাগীরথীর তীরে নদিয়ার পলাশির প্রান্তরে সিরাজদ্দৌলার সঙ্গে ইংরেজদের যুদ্ধে সিরাজের পরাজয়ের সঙ্গে সঙ্গে ভারতে স্বাধীনতার সূর্য অস্ত যায়।

 জেলার বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব 

 

পবনদূত ধোয়ী কবি  

সেন যুগের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কবি পবনদূত ধোয়ী দ্বাদশ শতাব্দীতে নবদ্বীপে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর রচিত কাব্যগ্রন্থের নাম ‘পবনদূত’। তিনি ‘কবিক্ষ্মাপতি’ উপাধি প্রাপ্ত ছিলেন।

কৃত্তিবাস ওঝা (১৪৪৩ খ্রিস্টাব্দের ৬ই জানুয়ারি-১৪৯৩) 

ফুলিয়া, শান্তিপুর। পিতার নাম বনমালী। তাঁর সঠিক জন্মতারিখ বা মূল রচনা পাওয়া যায়নি। তিনি কাব্য ছন্দে রামায়ণ লেখেন।  (Nadia District Details Description)

  • তাঁর বাংলায় রচিত রামায়ণই বাঙলার ঘরে ঘরে রামের কাহিনি প্রচার করছে।

চৈতন্যদেব (১৪৮৫-১৫৩৩) 

শ্রীচৈতন্য দেব: যাঁর অন্তরে রাধা, বহিরঙ্গে কৃষ্ণ - ইমন জুবায়ের এর বাংলা  ব্লগ । bangla blog | সামহোয়্যার ইন ব্লগ - বাঁধ ভাঙ্গার আওয়াজ

নবদ্বীপ। নদিয়ার প্রাণপুরুষ শ্রীচৈতন্য ছিলেন ভক্তি আন্দোলনের হোতা। তিনি ছিলেন পরম বৈষ্ণব। পিতার নাম জগন্নাথ মিশ্র। মাতা শচীদেবী।

  • প্রথম স্ত্রীর নাম লক্ষ্মীপ্রিয়া। সর্পদংশনে লক্ষ্মীপ্রিয়ার মৃত্যু হলে বিষ্ণুপ্রিয়াকে বিবাহ করেন।
  • গোড়ীয় বৈষ্ণব ধর্মের প্রবর্তক এই মহাপুরুষ নিমাই, গৌরাঙ্গ, মহাপ্রভু, চৈতন্যদেব প্রভৃতি নামে উল্লিখিত। ঈশ্বরপুরীর নিকট দীক্ষা গ্রহণ করেন।
  • ২৪ বছর বয়সে তিনি কাটোয়ায় কেশব ভারতীর নিকট সন্ন্যাস দীক্ষা নিয়ে (১৫১০) নীলাচল (পুরী) ভ্রমণে যান এবং সেখানেই প্রয়াত হন।

 

রাজা কৃষ্ণচন্দ্র (১৭১০ – ১৭৮৩)

মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায় এর জীবনী,History of raja krishna chandra roy

কৃষ্ণনগর। রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের রাজত্বকালে বাংলায় ইংরেজ শাসন প্রবর্তিত হয়। ইংরেজ মিত্রতার জন্য তিনি মহারাজা উপাধি পান।

  • গোপাল ভাঁড়, ভারতচন্দ্র, রামপ্রসাদ সেন প্রভৃতি গুণীজনের সমাবেশ ঘটে তাঁর রাজসভায়। তিনি নাটোর থেকে মৃৎশিল্পী নিয়ে আসেন।

তাতেই পরে কৃষ্ণনগরের মৃৎশিল্পের খ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে।

  • অষ্টাদশ শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ কবি ভারতচন্দ্র রায়গুণাকর (অন্নদামঙ্গল কাব্যের রচয়িতা) রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের সভাকবি ছিলেন।

লালন ফকির (১৭৭৪-১৮৯০)

শারদ সংখ্যা ২০২০ || লালন ফকির মূল্যায়ন || বরুণ চক্রবর্তী

  • জন্মগ্রহণ করেন অবিভক্ত নদিয়ার ঘোড়াই গ্রামে।
  • পল্লীগ্রামের অসাধারণ গানের স্রষ্টা। তিনি সহজ সরল কবিত্বময় গানের মাধ্যমে জীবনের আদর্শ, মানব প্রেম, অসাম্প্রদায়িক দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ করেন।
  • তাঁর গানে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরও আকৃষ্ট হয়েছিলেন।  (Nadia District Details Description)

রামতনু লাহিড়ী (১৮১৩-১৮৯৮) 

কৃষ্ণনগর। সমাজ সংস্কারক। ‘আর্নল্ড অব বেঙ্গল’ নামে খ্যাত এই শিক্ষক প্রথম জীবনে ইয়ং বেঙ্গলের অন্যতম সদস্য ছিলেন।

  • ‘জ্ঞানান্বেষণ’ সমিতির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা। বাংলার নবজাগরণে তাঁর ভূমিকা ছিল অপরিসীম।
  • বিধবা বিবাহের পক্ষে মত প্রকাশ করে ও উপবীত ত্যাগ করে ‘একঘরে’ হন।

মদনমোহন তর্কালঙ্কার (১৮১৭-১৮৫৭)

ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের সতীর্থ নদিয়ার বিশ্বমঙ্গল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।

  • ‘পাখি সব করে রব রাতি পোহাইল’ কবিতাটির স্রষ্টা শিক্ষাবিদ-পণ্ডিত মদনমোহন তর্কালঙ্কার।

তাঁর অসাধারণ কবিত্ব শক্তির জন্য তিনি  কাব্যরত্নাকর’ উপাধি লাভ করেন।

  • বন্ধুবর্গ তাঁকে ‘তর্কালঙ্কার’ উপাধিতে ভূষিত করেন। তিনি ‘শিশুশিক্ষা’ নামে একটি পাঠ্যপুস্তক রচনা করেন।

দীনবন্ধু মিত্র, রায়বাহাদুর (১৮৩০-১৮৭৩) 

চৌবেড়িয়া। বিশিষ্ট নাট্যকার, সাহিত্যিক। ১৮৭১ খ্রিঃ সরকার তাঁকে ‘রায়বাহাদুর’ উপাধি দেন। ১৮৬০ খ্রিস্টাব্দে। রচিত ‘নীলদর্পণ’ নাটকের জন্য বিখ্যাত।

  • এই নাটকের ইংরেজি অনুবাদ করেন মাইকেল মধুসুদন দত্ত এবং লঙ সাহেবের নামে প্রকাশিত হয়।
  • এছাড়াও তাঁর উল্লেখযোগ্য নাটক ‘সধবার একদশী’, ‘বিয়ে পাগলা বুড়ো’, ‘যমালয়ে জীবন্ত মানুষ’, ‘দ্বাদশ কবিতা’, ‘কমলে কামিনী’, ‘নবীন তপস্বিনী’ ইত্যাদি।

দ্বিজেন্দ্রলাল রায় (১৮৬৩-১৯১৩) 

কৃষ্ণনগর। প্রখ্যাত কবি, নাট্যকার ও হাসির গানের রাজা। পিতার নাম কার্তিকেয় চন্দ্র রায়।

  • তাঁর প্রহসন নাটকগুলি হল—’একঘরে’ (১৮৮৯), ‘তারাবাঈ’ (১৯০৩), ‘রানা প্রতাপ সিংহ’ (১৯০৫), ‘মেবার পতন’ (১৯০৮), ‘সাজাহান’ (১৯০৯), ‘আনন্দ বিদায়’ (১৯১২), ‘পরপারে’ (১৯১২), ‘বঙ্গনারী’ (১৯১৫) প্রমুখ।  (Nadia District Details Description)
  • এছাড়াও তাঁর উল্লেখযোগ্য রচনা ‘কালিদাস ও ভবভূতি’, ‘চন্দ্রগুপ্ত’, ‘হাসির গান’ প্রভৃতি। তিনি পাঁচশোরও বেশি গান লিখেছেন, যা ‘দ্বিজেন্দ্রগীতি’ নামে পরিচিত।
  • তাঁর রচিত ‘ধনধান্যে পুষ্পভরা আমাদের এই বসুন্ধরা’ ও ‘বঙ্গ আমার জননী আমার’ গানগুলি ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিল।
  • ১৯০৫ সালে কলকাতায় ‘পূর্ণিমা সম্মেলন’ নামে একটি সাহিত্য সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। ১৯১৩ সালে ‘ভারতবর্ষ’ পত্রিকার সম্পাদকের দায়িত্ব নিয়েছিলেন।
  • মাত্র ৫০ বছর বয়সে ১৯১৩ সালের ১৭ মে তিনি প্রয়াত হন। ২০১৩ সালে তাঁর জন্মের সার্ধশতবর্ষ পালিত হয়।

রাজশেখর বসু, পরশুরাম (১৮৮০-১৯৬০) 

বীরনগরের উলাগ্রাম। বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী। বেঙ্গল কেমিক্যালের পরিচালক হিসেবে কাজ করার পাশাপাশি নিজের গবেষণা চালান।

  • তবে তিনি অনেক বেশি পরিচিত তাঁর ‘পরশুরাম’ ছদ্মনামে রসরচনার জন্য। ‘গড্ডলিকা’, ‘কজ্জলী’, ‘হনুমানের স্বপ্ন’ প্রভৃতি বিখ্যাত রচনা।
  • এছাড়াও ‘লঘুগুরু’, ‘বিচিত্তা’, ‘কুটির শিল্প’, ‘চলত্তিকা’, ‘রামায়ণ’ ও ‘মহাভারত’ প্রভৃতি প্রবন্ধ গ্রন্থও রচনা করেন। পদ্মভূষণ, রবীন্দ্র পুরস্কার ও আকাদেমি পুরস্কার লাভ করেন।

যতীন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত (১৮৮০-১৯৫৪) 

শান্তিপুর। খ্যাতনামা কবি। গদ্য ও পদ্য উভয় ধরনের রচনাতেই দক্ষতা ছিল।

  • নিজস্ব কাব্যধারায় উজ্জ্বল ছিলেন। রচিত গ্রন্থ—’মরীচিকা’ (১৯২৩), ‘মরুশিখা’ (১৯২৭), ‘মরুমায়া’ (১৯৩০), ‘ত্রিজামা’ (১৯৪৮), ‘অনুপূর্বা’ (১৯৪৬), ‘কাব্য সম্ভার’ (১৯৬৬) প্রভৃতি।

দেবিকারানি চৌধুরী (১৯০৮-১৯৯৪) 

অভিনেত্রী। ‘ফার্স্ট লেডি অব ইন্ডিয়ান স্ক্রিন খ্যাত অভিনেত্রী। পদ্মশ্রী (১৯৫৮) এবং দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার (১৯৭০) পুরস্কারে ভূষিত হয়েছিলেন।  (Nadia District Details Description)

কবি সুভাষ মুখোপাধ্যায় (১২-০২-১৯১৯-০৮-০৭-২০০৩) 

  • নদিয়ার কৃষ্ণনগরে। জন্মগ্রহণ করেন। পিতা ক্ষিতীশচন্দ্র মুখোপাধ্যায় ও মাতা জানকীবালা দেবী।
  • ১৯৮০ খ্রিস্টাব্দে ছাত্রাবস্থায় ‘পদাতিক’ নামে প্রথম কাব্যগ্রন্থ প্রকাশ করেন।
  • তার উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ চিরকূট, অগ্নিকোণ, কাল মধুমাস, একটু পা চালিয়ে, ফুল ফুটুক, ছেলে গেছে। বনে ইত্যাদি।

সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় (জন্ম ১৯৩৫ খ্রি.) 

  • ঘূর্ণি, কৃষ্ণনগর। চলচ্চিত্র ও নাট্য জগতের প্রখ্যাত অভিনেতা কৃষ্ণনগরে জন্মগ্রহণ করেন।

তাঁর অভিনীত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র হল অপুর সংসার, সাঁত পাকে বাঁধা, কোনি, অগ্রদানী, দেবদাস, মাল্যদান ইত্যাদি।

  • তিনি একজন বিশিষ্ট আবৃত্তিকারও বটে। তাঁর কয়েকটি কাব্যগ্রন্থ হল জলপ্রপাদের ধারে দাঁড়াবো বলে, ব্যাক্তিগত নক্ষত্রমালা প্রভৃতি। তাঁর রচিত নাটক ‘রাজকুমার’।

সতীনাথ ভাদুড়ি 

পৈত্রিক বাড়ি ছিল কৃষ্ণনগর। স্বাধীনতা সংগ্রামী। রাজনৈতিক আন্দোলনের পটভূমিকায় লিখিত ‘জাগরী’ (১৯৪৬) প্রথম উপন্যাস।

  • এরজন্য তিনি রবীন্দ্র পুরস্কার (১৯৫০) পান। অন্যান্য উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ হল ‘ঢোড়াই চরিতমানস’ (দুটি খন্ড ১৯৪৯, ১৯৫১), ‘চিত্রগুপ্তের ফাইল’ (১৯৪৯), ‘অপরিচিতা’ (১৯৫৪), ‘গণনায়ক’ (১৯৪৮), ‘দিকভ্রান্ত’, ‘সংকট’ (১৯৫৭)।

তিনি “চিত্রগুপ্ত’ ছদ্মনামে লিখতেন।

♦ এছাড়াও জেলার অন্যান্য উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্বরা হলেন –

  1. গোপাল ভাঁড় (নদিয়ার রাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায়ের সভাকবি, জন্মস্থান ঘূর্ণি, কৃষ্ণনগর),

2. গীতগোবিন্দ রচয়িতা জয়দেব (লক্ষ্মণ সেনের সভাকবি),

3.বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী (ব্রাহ্মসমাজের অন্যতম আচার্য, ধর্মপ্রচারক, নদিয়ার শান্তিপুরে জন্মগ্রহণ করেন),

4. বাঘাযতীন (বর্তমান বাংলাদেশের কুষ্টিয়ায়),

5. স্বাধীনতা সংগ্রামী বীণা দাস (কৃষ্ণনগর, ১৯১১-১৯৮৬),

এছাড়াও, 

অনন্তহরি মিত্র, বসন্ত বিশ্বাস, প্রমোদরঞ্জন সেনগুপ্ত,

যতীন্দ্রমোহন বাগচী (জন্ম : করিমপুরের পার্শ্বস্থ যমশেরপুর গ্রামে। ‘মাগো আমার শোলোক -বলা কাজলা দিদি কই’-এর বিখ্যাত রচয়িতা),

রামচন্দ্র বিদ্যাবাগীশ (তিনি বাংলাভাষায় প্রথম অভিধান বঙ্গভাষাভিধান রচনা করেন), খ্যাতমান কবি করুণানিধান বন্দ্যোপাধ্যায় (শান্তিপুর),

কবি হেমচন্দ্ৰ বাগচি, সাহিত্যিক বিমল ঘোষ (মৌমাছি ছদ্মনামে খ্যাত), সাহিত্যিক বিমল রায় (উল্লেখযোগ্য রচনা:-

সাহেব বিবি গোলাম, কড়ি দিয়ে কিনলাম, একক দশক শতক, পুতুল দিদি। ১৯৬৪ সালে রবীন্দ্র পুরস্কার লাভ করেন)।

কবি হেমচন্দ্র বাগচী (গোকুলনগর, ১৯০৪-১৯৮৬), সাহিত্যিক মির মশারফ হোসেন (১৮৪৭-১৯১১, ‘বিষাদ সিন্ধু’ তাঁর উল্লেখযোগ্য রচনা),

সাংবাদিক, কবি ও বাউল গায়ক কাঙ্গাল হরিনাথ মজুমদার (১৮৩৩-১৮৯৬), ইতিহাসবিদ ও প্রাবন্ধিক অক্ষয়কুমার মৈত্রেয় (১৮৬১-১৯৩০), মোজম্মেল হক (সাহিত্যিক),

বিকাশ রায় (অভিনেতা), কৌতুক অভিনেতা তুলসী চক্রবর্তী, আবৃত্তিকার পার্থ ঘোষ (গল্পদাদুর আসর পরিচালনা করতেন),

জ্যোতিময়ী শিকদার (দেবগ্রাম, অ্যাথলিট ও প্রাক্তন সাংসদ), সোমা বিশ্বাস (অ্যাথলিট),

ঝুলন গোস্বামী (চাকদহ, ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়িকা। বর্তমানে মহিলাদের একদিবসীয় ক্রিকেটে সর্বোচ্চ উইকেট প্রাপক)।  (Nadia District Details Description)

বর্তমান রাজ্য সরকারের মন্ত্রী রত্না ঘোষ (ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্প) এই জেলার বাসিন্দা।

এক নজরে জেলার গুরুত্বপূর্ণ তথ্যাবলী 

  • নবদ্বীপ শহরের পত্তন করেন তৎকালীন অধিপতি লক্ষণ সেন। লক্ষণ সেনের সভাকবি। ছিলেন বিখ্যাত ‘গীতগোবিন্দ’ কাব্যের রচয়িতা কবি জয়দেব।
  • নদিয়ার রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা :- ভবানন্দ মজুমদার। তাঁর বংশধর মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্র।
  • এই জেলার পলাশির আমবাগানে ১৭৫৭-তে স্বাধীন সিরাজউদ্দৌলার পতন হয়।
  • ১৮৬০ খ্রিস্টাব্দে যে নীলবিদ্রোহ হয়েছিল তার নেতৃত্ব দিয়েছিলেন বিষ্ণুচরণ বিশ্বাস ও দিগম্বর বিশ্বাস।
  • ১৮৫৯-৬১ খ্রিস্টাব্দে নদিয়ায় নীল চাষের জন্য হাঙ্গামা শুরু হয়। ইংরেজরা নীলচাষীদের উপর অকথ্য অত্যাচার করে।

ফলে নীলচাষীরা বিদ্রোহী হয়ে ওঠে। কৃষ্ণনগরের অনুরে আশানগর গ্রাম সেই নীল বিদ্রোহীদের একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান ছিল।

নাম নবদ্বীপ

  • ১৯৪৭-এ ভারত ভাগের সময় নদিয়ার নাম নবদ্বীপ রাখা হয়েছিল।
  • কৃষ্ণনগরের প্রাচীন নাম ছিল ‘রেউই গ্রাম’।
  • রাজা কৃষ্ণচন্দ্র সিরাজের বিরুদ্ধে ইংরেজদের পক্ষে পলাশির যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন।
  • স্বাধীনতা আন্দোলনের শহীদ অনন্তহরি মিত্র, বসন্ত কুমার বিশ্বাস (১৮৯৫ খ্রিস্টাব্দের ৬ ফেব্রুয়ারি নদিয়া জেলার পোড়াগাছা গ্রামে জন্ম।
  • ১৯১২ সালের ২৩ ডিসেম্বর লর্ড হার্ডিঙের দিকে বোমা নিক্ষেপ করেন। ১৯১৫ সালের ১১ মে পাঞ্জাবের আম্বালা জেলে তাঁর ফাঁসি হয়) ও বাঘাযতীন এই জেলার অধিবাসী ছিলেন।
  • মধ্যযুগের নবদ্বীপকে ‘বাংলার অক্সফোর্ড’ বলা হত।
  • নদিয়ার নবদ্বীপের পারমেদিয়া মৌজায় সংস্কৃত সাহিত্য চর্চা ও গবেষণা কেন্দ্র স্থাপিত হয়েছে।

এখানে সংস্কৃত সাহিত্যের উপর গবেষণা, সংস্কৃত ভাষার চর্চা ও বিস্তারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

দুষ্প্রাপ্য এবং গুরুত্বপূর্ণ পাণ্ডুলিপি ইত্যাদির সংরক্ষণ করা হবে। এখানে।

  • নদিয়ার রাজা শ্রীশচন্দ্র কৃষ্ণনগর কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন (১৮৪৫ খ্রিস্টাব্দে)। ডিরোজিওর শিষ্য রামতনু লাহিড়ী ও মৃত্যুঞ্জয় তর্কালংকার এই কলেজের অধ্যাপক ছিলেন।
  • বেথুয়াডহরিতে নদিয়ার একমাত্র অভয়ারণ্য আছে। এখানে চিতল হরিণ, বার্কিংডিয়ার, বনবিড়াল, শিয়াল প্রভৃতি জন্তু আছে।  (Nadia District Details Description)
  • কল্যাণীর ব্রিটিশ আমলে নাম ছিল ‘রুজভেল্ট নগর’। এখানে অনেকগুলি হাসপাতালের সমাবেশ দেখা যায় –

(১) জওহরলাল নেহরু মেমোরিয়াল হাসপাতাল,

(২) হ, এস. আই. হাসপাতাল,

(৩) গান্ধি মেমোরিয়াল হাসপাতাল (হার্ট সার্জারি),

(৪) নেতাজি সুভাষ স্যানেটোরিয়াম (টি. বি. হাসপাতাল)।

  • কল্যাণীতে ভাগীরথী নদীর উপর অবস্থিত ঈশ্বরগুপ্ত সেতু যার সাহায্যে হুগলিতে বেশিবেরিয়াতে) যাতায়াত করা যায়।

বর্তমানে এখানে চার লেনের রাস্তার কাজ চলছে।

ভারতের প্রথম ‘নির্মল জেলা’ হিসেবে নদিয়া জেলাকে স্বীকৃতি প্রদান করা হয়েছে।

মৈত্রী এক্সপ্রেস

  • বাংলাদেশ যাওয়ার জন্য ‘মৈত্রী এক্সপ্রেস’ এই জেলার প্রান্তিক স্টেশন গেদে দিয়ে অতিক্রম করে। চালু হয় 14 এপ্রিল 2008 সালে।

ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে ৪৩ বছর পর পুনরায় ট্রেন চলাচল শুরু হল।

পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা স্টেশন থেকে চালু হয়ে ভারতীয় সীমানার প্রান্তিক স্টেশন গেদে এবং বাংলাদেশ সীমানার প্রান্তিক স্টেশন দর্শনা হয়ে ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট পর্যন্ত ট্রেনটি চলাচল করে।

সপ্তাহে চলে। ট্রেনটি মোট 393 কিমি দূরত্ব অতিক্রম করে।  (Nadia District Details Description)

২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে সপ্তাহে পাঁচদিন (কলকাতা স্টেশন থেকে শনিবার, সোমবার, মঙ্গলবার, বুধবার ও শুক্রবার) এই ট্রেন চলাচল করে।

2015 সালে চৈতন্যধাম নবদ্বীপকে ‘হেরিটেজ শহর’ হিসাবে ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈষ্ণব আন্দোলনের পীঠস্থান নবদ্বীপ।

  • বিদেশি পর্যটকদের টানার উদ্দেশ্যে মুখ্যমন্ত্রীর এই উদ্যোগ।

বিদ্বজ্জনেরা মনে করেন নবদ্বীপ শুধু বৈষ্ণব আন্দোলনের পীঠস্থানই নয়, এখানে গড়ে উঠেছিল শাক্ত আন্দোলন।

শাক্ত ধর্মের অন্যতম কৃষ্ণানন্দ আগমবাগীশের জন্মস্থানও নবদ্বীপ।

আজকের কালী মূর্তির ভাবনা তাঁরই। পাল যুগে নবদ্বীপে বৌদ্ধধর্ম চর্চা শুরু হয়েছিল।

তৈরি হয়েছিল সুবর্ণ বিহার।

এখানে রয়েছে বল্লালঢিবি যা সেন বংশের নিদর্শন বহন করে। এই সকল ইতিহাসকেই পর্যটকদের কাছে তুলে ধরতে চায় রাজ্য সরকার।

  • ভারত ও বাংলাদেশের দ্বিতীয় ট্রেন ‘বন্ধন’-এর শুভ সূচনা হয় 9 নভেম্বর 2017 সালে।

16 নভেম্বর থেকে যাত্রী নিয়ে সপ্তাহে দু’দিন (রবি, বৃহস্পতিবার) এই ট্রেন যাতায়াত করে। এটি কলকাতা স্টেশন (চিৎপুর স্টেশন) থেকে খুলনা স্টেশন পর্যন্ত চলাচল করে।

ভারতের পেট্রাপোল সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশের বেনাপোলে প্রবেশ করে খুলনা। পর্যন্ত চলাচল করে। ট্রেনটি মোট 172 কিমি দূরত্ব অতিক্রম করে।

 

Read More:- DM office Jhargram Recruitment 2022 |Support staff Recruitment Notification released| Juvenile justice board

Related Articles

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Latest Articles