Murshidabad District Details Description | Know Your District | Most Important Daily GK 2022

Murshidabad district Details Description

Murshidabad District Details Description | Know Your District | Most Important Daily GK 2022: Murshidabad is one of the most famous Historical Regions in our State. As a member of this District, everyone has to know the details of it. And We will help you a little to satisfy your Curiosity. Basically, this is a district of the Emperor, Nawab, etc. Today in this Topic Smart Knowledge is with you to show your City cum District in your own views.

Murshidabad District Details Description: মুর্শিদাবাদ জেলার ইতিহাস 

Murshidabad Tehsil Map, Blocks in Murshidabad

  •  সপ্তম শতাব্দীতে গৌড়ের কেন্দ্রভূমি ছিল মুর্শিদাবাদ অঞ্চল। সেইসময় গৌড়ের রাজা ছিলেন শশাঙ্ক। মুর্শিদাবাদ জেলার রাঙামাটি অঞ্চলের ‘কর্ণসুবর্ণ’ ছিল তাঁর রাজধানী।

বাংলায় মুসলমান যুগের শুরুতে গৌড় নামে অভিহিত ছিল মালদার লক্ষণাবতী।

  •  মুসলমান যুগের শেষদিকে গৌড় বলতে সমস্ত বাংলাকেই বোঝাত। বাংলার মুসলমান শাসকদের শেষ স্বাধীন রাজধানী মুর্শিদাবাদ।

বাংলার দেওয়ান মুর্শিদকুলি খাঁ ১৭০৪ খ্রিস্টাব্দে সুবে বাংলার রাজধানী ঢাকা থেকে মুকসুদাবাদ নামে মুর্শিদাবাদের এক গণ্ডগ্রামে স্থানান্তরিত করেন।

  •  কলকাতা থেকে ১৯৭ কিমি দূরে শিয়ালদহ-লালগোলা রেলপথে মুর্শিদাবাদ স্টেশন থেকে দু-কিমি পশ্চিমে ভাগীরথীর পূর্বতীরে অবস্থিত ছিল মুকসুদাবাদ।

সুলতান হোসেন শাহকে রোগমুক্ত করে মুত্সুদন দাস উপহারস্বরূপ একটি পরগনা পান।

  • ক্রমে সেই পরগনা হয়ে ওঠে মুকসুদাবাদ। পরবর্তীকালে মুর্শিদকুলি খাঁর নামানুসারে মুকসুদাবাদের নাম হয় মুর্শিদাবাদ। মুর্শিদকুলি খাঁ দেওয়ান থেকে নবাব হন।

মুর্শিদকুলি খাঁর আমলে এখানে বহু প্রাসাদ, দরবার গৃহ, কেল্লা, মসজিদ নির্মিত হয়।

  •  গঙ্গা-ভাগীরথী এই জেলার প্রধান নদী। এছাড়াও রাঢ় অঞ্চলের নদী ব্রাহ্মণী, বাঁশলাই, দ্বারকা ও ময়ূরাক্ষী আর বাগড়ির নদী ভৈরব ও জলঙ্গি।

অনেক জায়গায় নদী মজে গিয়ে। রাঢ় ও বাগড়ি অঞ্চলে বিল ও বদ্ধ জলাশয়ের সৃষ্টি হয়েছে।

  • পাট ও আউশের চাষ হয় বাগড়ি অঞ্চলের পলিগঠিত উর্বর মাটিতে। রাঢ় অঞ্চলে জলসেচের ভালো ব্যবস্থা না থাকায় রুক্ষ শুষ্ক জমিতে ফসল ফলাতে বৃষ্টিই একমাত্র ভরসা।
  • সেচের উন্নয়ন, বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও কৃষি সম্প্রসারণের উদ্দেশ্যে রচিত ‘কান্দী মাস্টার প্ল্যান’ আজও রূপায়ণের অপেক্ষায়।  (Murshidabad District Details Description)
  • নদী বিধৌত পলিমাটি, বেতি দেখা যায় ভাগীরথীর তীরবর্তী পাঁচ-ছয় কিমি দূর পর্যন্ত। বিল অঞ্চলের মাটি উর্বর এবং রং কালো।

একনজরে মুর্শিদাবাদ জেলা

 স্থাপনকাল:

১৮ এপ্রিল ১৭৮৬ সালে ইংরেজরা এটিকে পূর্ণাঙ্গ জেলা রূপে ঘোষণা করে।

  • পরবর্তীতে স্বাধীনতার সময় স্যার সিরিল র‍্যাডক্লিফ ব্রাউনের রায় পরিষ্কার বোঝা না যাওয়ায় ১৫ আগস্ট

তারিখে মানচিত্রের গোলমালে তিন দিন পাকিস্তানের অন্তর্ভুক্ত ছিল নদিয়া, মালদহ, মুর্শিদাবাদ, অবিভক্ত ২৪

পরগনা ও দিনাজপুর জেলার কিছু অংশ।

  • ১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট তাই এই জেলাগুলি স্বাধীনতা দিবস পালন করতে পারেনি। তিনদিন পর অর্থাৎ ১৮

আগস্ট ঘোষণা করা হয় এই জেলাগুলি ভারতেরই অংশ।

সেই হিসেবে ১৮ আগস্ট দিনটি স্বাধীনতা দিবসের মর্যাদা পায় ওই সকল জেলাগুলি।

♦ ভৌগোলিক অবস্থান:

উত্তর অক্ষাংশ ২৪°৫০´২০ এবং ২৩°৪৩′৩০-এর মধ্যে বিস্তৃত এবং দ্রাঘিমাংশ ৮৮°৪৬′০০″ পূর্ব থেকে ৮৭°৪৯′১৭″ পূর্বের মধ্যে অবস্থিত।

♦ সীমানা:

উত্তরে মালদহ ও গঙ্গানদী, পূর্বে বাংলাদেশ, পশ্চিমে বীরভূম ও ঝাড়খন্ড এবং দক্ষিণে পূর্ব বর্ধমান ও নদিয়া জেলা।

♦ আয়তন : ৫,৩২৪ বর্গকিমি।
♦ জেলা সদর: বহরমপুর।

মহকুমার সংখ্যা:

৫টি। লালবাগ, বহরমপুর, জঙ্গিপুর, ডোমকল ও কান্দি।

ভূ-প্রকৃতি ও মৃত্তিকা:

মুর্শিদাবাদকে ভাগীরথী নদী পূর্ব ও পশ্চিম এই দুইভাগে ভাগ করেছে। পূর্বভাগ ‘বাগড়ি’ ও পশ্চিমভাগ ‘রাঢ়’ নামে পরিচিত।

  • বাগড়ি অঞ্চল পলিগঠিত, নিম্নভূমি, বন্যাপ্লাবিত, অতি উর্বর।
  • অন্যদিকে রাঢ় বাংলার অন্য অংশের সঙ্গে মুর্শিদাবাদের রাঢ়কে তুলনা করলে বৈশিষ্ট্যগত পার্থক্য খুব একটা দেখা যায় না।

কঠিনে কোমলে রাঢ়। ঢেউ খেলানো, শুকনো, নিরস জমির সঙ্গে সমতল বা প্রায় সমতল দো-আঁশ মাটি।

♦ জলবায়ু: নাতিশীতোয়। বার্ষিক বৃষ্টিপাত ১,৫৮৯ মিলিমিটার।

♦ উষ্ণতা: সর্বোচ্চ ৪১° সেন্টিগ্রেড ও সর্বনিম্ন ৯° সেন্টিগ্রেড।

 নদ-নদী:

গঙ্গা দুভাগে বিভক্ত হয়ে ভাগীরথী নামে দক্ষিণ দিকে হুগলি শহর পর্যন্ত গিয়ে নাম বদলে হুগলি নদী নাম নিয়ে দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরে পড়েছে।

  • আর একটি শাখা পদ্মা নাম নিয়ে দক্ষিণ-পূর্ব দিকে বাংলাদেশে ঢুকে বঙ্গোপসাগরে পড়েছে।
  • ভাগীরথী নদী এই জেলার মাঝ বরাবর প্রবাহিত হয়ে। জেলাটিকে দুভাগে ভাগ করেছে।
  • এছাড়া বাংলাদেশের পদ্মা থেকে উৎপন্ন হওয়া ব্রাহ্মণী, দ্বারকা, জলঙ্গী, ময়ূরাক্ষী, ভৈরব, বাঁশলাই, বাবলা নদী মুর্শিদাবাদ জেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।
  • রাঢ় অঞ্চলের নদী বাঁশলাই, ব্রাহ্মণী, দ্বারকা ও ময়ূরাক্ষী।

♦ উল্লেখযোগ্য বাঁধ প্রকল্প:

জলসেচ ও কলকাতা বন্দরের নাব্যতা বাড়ানোর জন্য গঙ্গা নদীর উপর ফারাক্কা বাঁধ (১৯৭৫ সালের ২১ এপ্রিল নির্মিত, দৈর্ঘ্য : ২,২৪৫ মিটার, ১০৯টি লকগেট আছে) তৈরি হয়েছে।

♦ কৃষিজ উৎপাদন :

আখ উৎপাদনে প্রথম, ধান উৎপাদনে নবম, গম উৎপাদনে প্রথম, দুধ উৎপাদনে ষষ্ঠ, ডিম উৎপাদনে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে আছে এই জেলা।

  • এছাড়াও পাট, তৈলবীজ, ডাল, আলু, লংকা, আম প্রভৃতির চাষ হয়। স্বাভাবিক উদ্ভিদ : আম, জাম, তাল, সুপারি, শাল, সেগুন, কাঁঠাল tsইত্যাদির।

♦ জনসংখ্যা : ৭১,০২,৪৩০ জন (রাজ্যের মোট জনসংখ্যার ৭.৩২ শতাংশ)।

♦ পুরুষ: ৩৬,২৯,৫৯৫ জন।

♦ মহিলা: ৩৪,৭২,৮৩৫ জন।

♦ জনঘনত্ব: প্রতি বর্গ কিমিতে ১,৩৩৪ জন।

♦ জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার: ২১.০৭ শতাংশ।

♦ লিঙ্গ অনুপাত: ৯৫৭ জন (প্রতি ১০০০ জন পুরুষে)।

♦ সাক্ষরতার হার: মোট ৬৭.৫৩ শতাংশ; পুরুষ ৭১.০২ শতাংশ ও মহিলা ৬৩.৮৮ শতাংশ

♦ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান: মোট কলেজের সংখ্যা ১১টি। ডিগ্রি কলেজ ১০টি, প্রযুক্তিবিদ্যা কলেজ ১টি।

♦ পুরসভা:

৭টি। মুর্শিদাবাদ (১৮৬৯), কান্দি (১৮৬৯), জিয়াগঞ্জ-আজিমগঞ্জ (১৮৮৬), জঙ্গিপুর (১৮৬৯), বহরমপুর (১৮৬৯), ধুলিয়ান (১৯০৭), বেলডাঙা (১৯৮১)।

♦ গ্রাম পঞ্চায়েত: ২৫৪টি।

♦ পঞ্চায়েত সমিতি: ২৬টি।

ব্লক :

২৬টি। ফারাক্কা, হরিহরপাড়া, জলঙ্গী, জিয়াগঞ্জ, ভগবানগোলা-১, ভগবানগোলা-২, ভরতপুর-১,

ভরতপুর-২, বারওয়ান ডোমকল, কান্দি, খড়গ্রাম, লালগোলা, নবগ্রাম, নওদা, রঘুনাথগঞ্জ-১, রঘুনাথগঞ্জ-২,

সাগরদিঘি, সামসেরগঞ্জ, সুতি-১, সুতি-২, বহরমপুর, বেলডাঙ্গা-১, বেলডাঙ্গা-২, রানিনগর-১, রানিনগর-২।

♦ থানা : ২৫টি।  (Murshidabad District Details Description)

♦ লোকসভা আসন : ৩টি। মুর্শিদাবাদ, বহরমপুর ও জঙ্গিপুর।

 বিধানসভা আসন :

২২টি। ফারাক্কা, সাগরদীঘি, সুতি, লালগোলা, জঙ্গিপুর, নবগ্রাম (তপশিলি জাতি), মুর্শিদাবাদ, ভগবানগোলা,

ডোমকল, জলঙ্গি, হরিহর পাড়া, বহরমপুর, নওদা, কান্দি, বেলডাঙা, বড়ঞা (তপশিলি জাতি), ভরতপুর,

খড়গ্রাম (তপশিলি জাতি), রেজিনগর, রানিনগর, শামসেরগঞ্জ, রঘুনাথগঞ্জ।

Read More:- WBMSC Assistant Engineer Recruitment 2022| Apply online Mode| Application last date| Salary & Other Details

♦ যোগাযোগ ও পরিবহণ :

মোট ২৯৩ কিমি রেলপথ আছে এই জেলায়। নলহাটি -আজিমগঞ্জ এবং নলহাটি-কাটোয়া স্টেশনে ব্ৰডগজ রেল চলাচল করে।

  • জেলার প্রাচীনতম রেললাইন আজিমগঞ্জ-নলহাটি লাইন গঙ্গার পশ্চিম পাড়ে চলাচল করে (চালু হয় ১৯৬৩ খ্রিস্টাব্দের ২১ ডিসেম্বর)।
  • শিয়ালদহ-লালগোলা রেল গঙ্গার পূর্বপারে চলাচল করে।
  • প্রধান রেলস্টেশন বহরমপুর , মুর্শিদাবাদ, লালগোলা। এছাড়া জেলার মধ্য দিয়ে ৩৪ নং জাতীয় সড়ক গেছে।

♦ বাণিজ্য কেন্দ্র:

বহরমপুর, কান্দি, জঙ্গীপুর, বেলডাঙ্গা। বেলডাঙ্গার কাপড়ের হাট বিখ্যাত।

♦ শিল্প :

রেশম চাষ মুর্শিদাবাদের প্রধান কৃষিভিত্তিক গ্রামীণ শিল্প। ঐতিহ্যমণ্ডিত বালুচরী শাড়ি উৎপন্ন হয় জিয়াগঞ্জে।

  • এছাড়া খাগড়া, বহরমপুর, কান্দি, বরানগর ও জঙ্গীপুরে কাঁসা পিতলের শিল্প ও তাঁতবস্ত্র এবং হাতির দাঁতের শিল্প রয়েছে। বেলডাঙায় একটি চিনির কল আছে।  (Murshidabad District Details Description)

♦ অর্থনীতি:

রেশম চাষ মুর্শিদাবাদ জেলার অন্যতম গ্রামীণ অর্থকরী শিল্প। তাঁতশিল্প এই জেলায় উল্লেখযোগ্য স্থান দখল করেছে। পিতল, কাঁসার বাসন তৈরি হয় বহরমপুর, কান্দি ও জঙ্গীপুরে।

♦ হাসপাতালের সংখ্যা :

হাসপাতাল ১৬টি (এর মধ্যে ১টি জেলা হাসপাতাল, ৩টি মহকুমা হাসপাতাল ও ১টি মানসিক হাসপাতাল)। স্বাস্থ্যকেন্দ্রের সংখ্যা ৬৯টি, স্বাস্থ্য উপকেন্দ্রের সংখ্যা ৭০৪টি এবং পরিবার কল্যাণকেন্দ্র ৩০টি।

♦ আদালতের সংখ্যা: বহরমপুর কোর্ট।

♦ গ্রন্থাগারের সংখ্যা: ১৫২টি।

♦ ক্রীড়াঙ্গনঃ বহরমপুর ক্রীড়াঙ্গন।

♦ প্রধান উৎসব : দুর্গাপূজা, ঈদ, মহরম ইত্যাদি।

♦ লোকসংস্কৃতিঃ জেলার বৈশিষ্ট্যসূচক লোকগান-আলকাপ, বোলান, ভাবোল।

 দর্শনীয় স্থান

হাজারদুয়ারি (১৮২৯-১৮৩৮ সাল এই সময় ধরে ইতালীয় স্থাপত্যরীতি অনুযায়ী নির্মিত ১১৪টি ঘরবিশিষ্ট, ৯০০টি আসল ও ১০০ নকলসহ মোট ১০০০টি দরজা।

  • এর নকশা করেন ব্রিটিশ স্থপতি স্যার ডানকান ম্যাকলিয়ড এবং নির্মাণ করেন নবাব হুয়ামুন জা), মতিঝিল,

লালবাগ (নবাবের সমাধি), জগৎশেঠের বাড়ি, কান্দিতে সাহিত্যিক রামেন্দ্রসুন্দর ত্রিবেদীর বাড়ি, গোলাপবাগ,

কাশিমবাজারে মহারাজা মনীন্দ্রচন্দ্রের জন্মস্থান, ইমামবাড়া, তোপখানা (মুর্শিদকুলি খাঁর অস্ত্রাগার ছিল এখানে।

  • বর্তমানে এখানে আছে জাহানকোষা কামান। সম্রাট শাহজাহানের আমলে ১৬৩৭ খ্রিস্টাব্দে ঢাকার জাহাঙ্গীর

নগরের জনার্দন কর্মকার অষ্টধাতুর এই কামান তৈরি করেন), কাটরা মসজিদ (১৭২৩-২৪ সালে এটি নির্মিত

হয়।

  • ১৭২৫ খ্রিস্টাব্দে মুর্শিদকুলি খাঁর মৃত্যুর পর তাঁকে এখানে সমাধিস্থ করা হয়), আজিমগঞ্জে লিঙ্গনাথজির

মন্দির (শহরটি জৈন অধ্যুষিত। বহু চুড়োওয়ালা মন্দির দর্শনীয়), জিয়াগঞ্জের আদিনাথ, বিমলানাথ ও

শম্ভুনাথজীর জৈন মন্দির ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।  (Murshidabad District Details Description)

  • গঙ্গার পশ্চিমপারের দ্রষ্টব্য স্থানগুলো খোসবাগ (এখানে আলিবর্দি, সিরাজ ও লুৎফার সমাধি আছে), রোশনাইবাগ, তাহাপাড়া ও কিরীটেশ্বরীর (সতীর কিরীট বা মুকুট পড়েছিল এখানে) মন্দির।
  • আজিমগঞ্জের বড়োনগরে নাটোরের রানি ভবানী প্রতিষ্ঠিত মন্দিরগুলির স্থাপত্য ও টেরাকোটার কাজ শিল্পের সর্বোচ্চ নমুনা দেয়।
  • বিশেষ করে যোগাসনে উপবিষ্ট শিবের মূর্তিটির নান্দনিক আবেদন স্বাতন্ত্র্যের দাবী রাখে ও দর্শকদের মনে এক শিল্প সুষমা রূপ ফুটিয়ে তোলে।
  • মুর্শিদাবাদ জেলার চিরুটিতে রক্তমৃত্তিকা মহাবিহারের সন্ধান পাওয়া গেছে।
  • এটি বৌদ্ধ নিদর্শন। আজিমগঞ্জ থেকে ১৮ কিমি. পশ্চিমে মহীপালে কাটাসাগর নামে একটি বিশাল দিঘি আছে।

জেলার বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব 

♦ রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায় (১৮৮৫-১৯৩০):

বহরমপুর। প্রখ্যাত প্রত্নতত্ত্ববিদ। মহেঞ্জোদাড়োর ধ্বংসাবশেষ আবিষ্কার করেন। এছাড়া পাহাড়পুরের খননকার্যের

পরিচালক ছিলেন। কণিষ্ক ও পালরাজাদের সম্পর্কেও তিনি মূল্যবান তথ্য সংগ্রহ করেন।

♦ রামেন্দ্রসুন্দর ত্রিবেদী (১৮৬৪-১৯১৯) :

  • কান্দি। পেশায় বিজ্ঞান বিষয়ে অধ্যাপক ও পরবর্তীকালে সাহিত্যিক হলেও, বঙ্গভঙ্গ আন্দোলনে তাঁর অবদান

অনস্বীকার্য। রচিত গ্রন্থ ‘প্রকৃত জিজ্ঞাসা’, ‘কর্মকথা’ ইত্যাদি।

  • এছাড়াও জেলার অন্যান্য উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্বরা হলেন মনীশ ঘটক (সাহিত্যিক), সৈয়দ মুজতবা সিরাজ

(সাহিত্যিক), রাধারানি দেবী (চিত্রাভিনেত্রী), মুর্শিদাবাদ জেলার কান্দি মহকুমার জেমো গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন

বাংলা ভাষায় বিজ্ঞানচর্চার অন্যতম পথিকৃত বিশিষ্ট বিজ্ঞান লেখক রামেন্দ্রসুন্দর ত্রিবেদী, নলিনীকান্ত সরকার,

তপন সিংহ ও বাসু ভট্টাচার্য (চিত্র পরিচালক), আবুল বাশার (ঔপন্যাসিক), শরৎ পণ্ডিত ও শেখ গুমানি

দেওয়ান (চারণ কবি) প্রমুখ। বর্তমান রাজ্য সরকারের মন্ত্রী জাকির হোসেন (শ্রম প্রতিমন্ত্রী) এই জেলার।

এক নজরে জেলার গুরুত্বপূর্ণ তথ্যাবলী

  • এই জেলার রাঙামাটি অঞ্চলের ‘কর্ণসুবর্ণ’ ছিল শশাঙ্কের রাজধানী। মুর্শিদাবাদ মুসলমান যুগের শেষ রাজধানী।
  •  ভাগীরথী নদী মুর্শিদাবাদকে দুই ভাগে বিভক্ত করেছে। পূর্বভাগকে বলা হয় ‘বাগড়ি’ ও ‘পশ্চিমভাগকে বলা

হয় ‘রাঢ়’। রাঢ় অঞ্চল ঢেউ খেলানো, শুকনো এবং নীরস জমির সঙ্গে প্রায় সমতল দো-আঁশ মাটি উর্বর। আর

বাগড়ি অঞ্চল পলিগঠিত, বন্যাপ্লাবিত।

  • মহারাজা নন্দকুমারকে সিরাজউদ্দৌলা হুগলির ফৌজদার করে পাঠান কিন্তু তিনি ইংরেজদের সহায়তা

করেন। মোঘল সম্রাট শাহ আলম তাঁকে ১৭৬৪ খ্রিস্টাব্দে “মহারাজা’ উপাধি দেন। নন্দকুমার পদচ্যুত হলে

মিরজাফর তাঁকে দেওয়ান নিযুক্ত করেন। কিন্তু হেস্টিংস মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে তাঁকে ফাঁসি দেন।

  •  বাগড়ি অঞ্চলের প্রধান ফসল ধান, পাট ইত্যাদি। রাঢ় অঞ্চলের প্রধান ফসল ধান, গম, আলু, আখ, ইত্যাদি।
  • বীরভূম সংলগ্ন অঞ্চলের মাটি লাল। এখানে জন্মায় শাল, মহুয়া, পিয়াশাল ইত্যাদি। বাগড়ি অঞ্চলের লালগোলা ও ভগবান গোলায় আমবাগান সবচেয়ে বেশি।
  •  ফরাক্কায় ন্যাশনাল থারমাল পাওয়ার কর্পোরেশন (NTPC) তাপবিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র আছে। স্থাপিত হয় ৭ নভেম্বর ১৯৭৫ সালে। বর্তমানে এর বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ২, ১০০ মেগাওয়াট। ৯৬ শতাংশ মানুষের মাতৃভাষা বাংলা। কিন্তু মুসলিমরাই এই জেলার সংখ্যা গরিষ্ঠ।
  •  ভাগীরথীর পশ্চিমপারে আছে কিরীটেশ্বরীর মন্দির, খোসবাগ, রোশনিবাস, রানি ভবানী প্রতিষ্ঠিত মন্দির।

পূর্বপারের দর্শনীয় স্থান হল–১৮৩৭-এ নির্মিত নবাব হুমায়ুনজার দ্বারা নির্মিত প্রাসাদ হাজারদুয়ারি, তোপখানা,

জগৎ শেঠের বাড়ি, মোতিঝিল ও রাধামাধবের মন্দির। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের আদলে তৈরি বহরমপুরের

কৃষ্ণনাথ কলেজ (স্থাপিত ১৮৫৩ খ্রিস্টাব্দে)। জেলার বড়োনগর গ্রামকে ‘বাংলার বারাণসী’ বলা হয়।

 

Read More:- Energy Flow In Ecosystem | Environmental Science question answer for WB Primary Tet, CTET

Related Articles

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Latest Articles