Mid Day Meal Scheme | মিড ডে মিলের নাম বদলে ‘প্রধানমন্ত্রী পোষণ যোজনা’ রেখেছে মোদি সরকার | কমানো হয়েছে 1200 কোটি টাকা: মিড ডে মিলের নাম বদলে ‘প্রধানমন্ত্রী পোষণ যোজনা’ রেখেছে মোদি সরকার। আর তারপরই এই খাতে বরাদ্দ কমানো হয়েছে প্রায় ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা। চলতি আর্থিক বছরের বাজেটে পড়েছে এই কোপ। রাজ্য পিছু বরাদ্দও কমেছে। এ নিয়ে কম সমালোচনা হয়নি। তবে সমস্যার সেখানেই শেষ নয়। গোদের উপর বিষফোঁড়ার মতো সেই খর্বকৃত বরাদ্দের ছিঁটেফোটাও রাজ্যের কপালে জোটেনি। কারণ, কেন্দ্রীয় পোর্টালের ব্যর্থতা। তার জেরে চলতি অর্থবর্ষের পাঁচ মাস কাটতে চললেও মিড ডে মিলে কেন্দ্রীয় বরাদ্দের অংশের কোনও টাকাই পায়নি বাংলা।
Mid Day Meal Scheme: মিড ডে মিলের নাম বদলে ‘প্রধানমন্ত্রী পোষণ যোজনা’
মিড ডে মিলের নাম বদলে ‘প্রধানমন্ত্রী পোষণ যোজনা’ রেখেছে মোদি সরকার।
- আর তারপরই এই খাতে বরাদ্দ কমানো হয়েছে প্রায় ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা।
- চলতি আর্থিক বছরের বাজেটে পড়েছে এই কোপ। রাজ্য পিছু বরাদ্দও কমেছে।
- এ নিয়ে কম সমালোচনা হয়নি।
- তবে সমস্যার সেখানেই শেষ নয়। গোদের উপর বিষফোঁড়ার মতো সেই খর্বকৃত বরাদ্দের ছিঁটেফোটাও রাজ্যের কপালে জোটেনি।
- কারণ, কেন্দ্রীয় পোর্টালের ব্যর্থতা।
- তার জেরে চলতি অর্থবর্ষের পাঁচ মাস কাটতে চললেও মিড ডে মিলে কেন্দ্রীয় বরাদ্দের অংশের কোনও টাকাই পায়নি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাংলা।
মিড ডে মিল এবং পোর্টাল সংক্রান্ত ‘সমস্যা’
১০০ দিনের কাজে রাজ্যের প্রাপ্য টাকা দিচ্ছে না কেন্দ্র—এই অভিযোগে বারবার সরব হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
- সরাসরি তোপ দেগেছেন মোদি সরকারের বিরুদ্ধে। তারপরও অবশ্য খুব একটা কাজের কাজ কিছু হয়নি।
- উল্টে ১০০ দিনের কাজে বারবার সর্বাধিক কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করা পশ্চিমবঙ্গেই হানা দিয়েছে কেন্দ্রীয় দল।
- জুড়েছে মিড ডে মিল এবং পোর্টাল সংক্রান্ত ‘সমস্যা’। (Mid Day Meal Scheme)
পাবলিক ফিনান্সিয়াল ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম
যাবতীয় বেতন, প্রকল্পের বরাদ্দ এই ‘পাবলিক ফিনান্সিয়াল ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম’ (পিএফএমএস) পোর্টালের মাধ্যমে দিতে শুরু করেছে কেন্দ্র।
- পোর্টালটি ঠিকমতো তৈরিই ছিল না। ফলে নানাবিধ সমস্যা তৈরি হয়েছে প্রথম থেকেই। কখনও বেতন আটকে গিয়েছে, আবার কখনও বরাদ্দ।
- সেই তালিকায় পড়েছে মিড ডে মিলও। রাজ্যের এক আধিকারিক জানান, এই প্রকল্পের মধ্যে বিভিন্ন খাতে যে বরাদ্দ কেন্দ্র পাঠায়, সেগুলি পিএফএমএস পোর্টালে খাপ খাচ্ছে না।
- দীর্ঘদিন ধরে এই প্রযুক্তিগত ত্রুটি সমাধানের চেষ্টা করছে পিএফএমএস কর্তৃপক্ষ। সমস্যা মিটলে টাকা পাওয়ার ব্যাপারে অবশ্য আশাবাদী তিনি। (Mid Day Meal Scheme)
সাবান, স্যানিটাইজার, মাস্ক প্রভৃতি বাড়তি জিনিস
করোনাকালে স্কুল বন্ধ থাকলেও নিয়মিত মিড ডে মিলের সামগ্রী বণ্টন থামায়নি সরকার।
- রান্নার খরচ বেঁচে যাওয়ায় সেই টাকায় দেওয়া হয়েছে সাবান, স্যানিটাইজার, মাস্ক প্রভৃতি বাড়তি জিনিস।
- চলতি অর্থবর্ষের রাজ্য বাজেটে মিড মে মিল খাতে ধার্যের পরিমাণ ২৩৮৬ কোটি ৬৩ লক্ষ টাকা।
- এর মধ্যে নিয়ম মেনে কেন্দ্রীয় বরাদ্দ আসার কথা ১৫০০ কোটি টাকারও বেশি। আর তা দিতে গিয়েই নাজেহাল হচ্ছে মোদি সরকার।
পড়ুয়া পিছু বরাদ্দও বাড়ানোর দাবি
শুধু অর্থ নয়, মিড ডে মিলে পড়ুয়া পিছু বরাদ্দও বাড়ানোর দাবি উঠছে দীর্ঘদিন ধরে। ২০১৬ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত অল্প হলেও তা বৃদ্ধি করেছিল কেন্দ্র।
- কিন্তু ২০২১ থেকে তারা সেই পথ তারা মাড়ায়নি। এপ্রসঙ্গে রাজ্যের ওই আধিকারিক বলেন, মিড ডে মিলের খরচ কেন্দ্র ও রাজ্যের মধ্যে ৬০:৪০ অনুপাতে ভাগ হওয়ার কথা।
দৈনিক বরাদ্দ ৪ টাকা ৯৭ পয়সা
রাজ্য চাইলেই পড়ুয়া পিছু বরাদ্দ বাড়িয়ে দিতে পারে না। কেন্দ্রকে এব্যাপারে উদ্যোগী হতে হবে।
- প্রসঙ্গত, মিড ডে মিলের জন্য প্রাথমিকে ছাত্রছাত্রী পিছু দৈনিক বরাদ্দ ৪ টাকা ৯৭ পয়সা। উচ্চ প্রাথমিকে সেটা ৭ টাকা ৪৫ পয়সা।
- এই সামান্য টাকায় মূল্যবৃদ্ধির বাজারে মাছ-মাংস তো ছাড়, ডিম, সয়াবিন, ডালের মতো পুষ্টিকর খাবার জোগাতেই হিমশিম খেতে হচ্ছে আধিকারিক ও শিক্ষকদের