Malda District Details Description | Know Your District Completely | Important For Upcoming All Exam’s Syllabus

Malda District Details Description

Malda District Details Description | Know Your District Completely | Important For Upcoming All Exam’s Syllabus: বহু পূর্বে ‘মলদ’ নামে এক গোষ্ঠী এই অঞ্চলে বাস করত। মনে করা হয় মালদা, মালদহ ইত্যাদি নামগুলি এই ‘মলদ’ শব্দ থেকেই সৃষ্টি। অন্য মতে ফারসি শব্দ ‘মাল’ (অর্থ ‘সম্পদ) এবং বাংলা ‘দহ’ (অর্থ ‘সাগর’) এই দুই শব্দের মিলনেই মালদহ নামের জন্ম। অর্থাৎ এই নামের ব্যবহার এক সমৃদ্ধ জনপদ বোঝাতেই করা হত।

প্রাচীন গৌড় জনপদের অন্তর্ভুক্ত ছিল মালদা। গৌড় জনপদের আদি কেন্দ্র ছিল। মুর্শিদাবাদ, বারভূম। পরে এর সঙ্গে যুক্ত হয় মালদহ এবং বর্ধমান। বর্তমানের এই জেলাগুলি নিয়ে প্রাচীন গৌড় গঠিত ছিল।

Malda District Details Description: মালদহ জেলার ইতিহাস

বাংলার অজানা ইতিহাস: মালদহ জেলা » বাংলা খবর।

গুপ্ত সাম্রাজ্যের পতনের কিছু আগে ইতিহাসে গৌড়ের উদয় ঘটে।

  • খ্রিস্টিয় ষষ্ঠ শতাব্দীতে বরাহমিহির তাঁর ‘বৃহৎসংহিতা’ গ্রন্থে গৌড়কে বাংলার অংশবিশেষ বলে উল্লেখ করে গেছেন।
  • একসময় বাংলাদেশে প্রচুর পরিমাণে গুড় তোর হত। কেউ কেউ মনে করেন গৌড় নামের উৎপত্তি এই গুড় থেকেই।
  • গৌড়দেশের পণ্যের উল্লেখ পাওয়া যায় কৌটিল্যের অর্থশাস্ত্রে (চতুর্থ খ্রিস্টপূর্বাব্দে রচিত)।

(Malda District Details Description)

[মালদহ বিভাগ: মালদা, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর ও মুর্শিদাবাদ এই চারটি জেলা নিয়ে মাহদহ বিভাগ গঠিত।]

মালদার উল্লেখযোগ্য নদীগুলো হল—গঙ্গা, মহানন্দা, কালিন্দী, ফুলহার প্রভৃতি।

  • গঙ্গা মালদায় এসে দুটি শাখায় বিভক্ত হয়েছে একটি শাখা ভাগীরথী নাম নিয়ে মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, হুগলি, কলকাতা হয়ে বঙ্গোপসাগরে মিশেছে।
  • আর অন্য শাখাটি বাংলাদেশে (রাজশাহি পদ্মা নাম নিয়েছে। দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, বিহার হয়ে মালদায় প্রবেশ করেছে মহানন্দা নদী।
  • মহানন্দা মালদাকে সমদ্বিখণ্ডিত করে পদ্মায় গিয়ে মিশেছে।

এক নজরে মালদা জেলা

ফজলি আমের নাম বললেই এই জেলার কথা আসে - জিয়ো বাংলা

স্থাপনকাল

১৮ আগস্ট ১৯৪৭ সাল।

  • স্বাধীনতার সময় স্যার সিরিল র‍্যাডক্লিফের রায় পরিষ্কার বোঝা না যাওয়ায় ১৫ আগস্ট তারিখে মানচিত্রের গোলমালে তিন দিন পাকিস্তানের অন্তর্ভুক্ত ছিল নদিয়া, মালদহ, মুর্শিদাবাদ, অবিভক্ত ২৪ পরগনা ও দিনাজপুর জেলার কিছু অংশ।
  • ১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট তাই এই জেলাগুলি স্বাধীনতা দিবস পালন করতে পারেনি।
  • তিনদিন পর অর্থাৎ ১৮ আগস্ট ঘোষণা করা হয় এই জেলাগুলি ভারতেরই অংশ।
  • সেই হিসেবে এই দিনটি স্বাধীনতা দিবসের মর্যাদা পায় ওই সকল জেলাগুলি।

ভৌগোলিক অবস্থান

উত্তর অক্ষাংশ ২৫°৩২৮ এবং ২৪°৪০ ২০”-এর মধ্যে বিস্তৃত এবং দ্রাঘিমাংশ ৮৮°২৮′১০″ পূর্ব থেকে ৮৭°৪৫′৫০” পূর্বের মধ্যে অবস্থিত। (Malda District Details Description)

সীমানা: উত্তরে বিহারের পূর্ণিয়া, উত্তর দিনাজপুর ও দক্ষিণ দিনাজপুর, দক্ষিণে মুর্শিদাবাদ ও বাংলাদেশ, পূর্বে বাংলাদেশ ও পশ্চিমে ঝাড়খন্ডের সাঁওতাল পরগনা।

আয়তন: ৩,৭৩৩ বর্গকিমি।

জেলা সদর: ইংরেজবাজার। মহকুমার সংখ্যা : ২টি। মালদা সদর, চাঁচোল ।

ভূ-প্রকৃতি ও মৃত্তিকা: মালদায় ভূ-প্রকৃতি দেখা যায় তিন ধরনের—(১) বারিন্দ বা বরেন্দ্র, (২) তাল এবং (৩) দিয়ারা।

(১) বারিন্দ অঞ্চল

বারিন্দ অঞ্চল মহানন্দা নদীর পূর্বপ্রান্তে। এই অঞ্চল গাজোল, হবিবপুর এবং বামনগোলা নিয়ে। এই অঞ্চলের জমি উঁচু নিচু এবং মাটি লাল। ঢেউ খেলানো গ্রানাইট পাথরের স্তর রয়েছে এই অঞ্চলের মাটির নীচে। একে ‘বেঙ্গল বেসিন বলা হয়। গ্রানাইটের স্তর গারো, খাসি পাহাড়ের রূপ নিয়েছে মেঘালয় পর্যন্ত বিস্তৃত হয়ে। আধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার করেও এই স্তরকে ভেদ করা সম্ভব হয়নি বলে এই অঞ্চলে গভীর বা অগভীর কোনো নলকূপই বসানো যায়নি। বিশেষজ্ঞদের ধারণা এই অভেদ্য স্তরের নীচে খনিজ তেলের ভাণ্ডার মজুত রয়েছে। তাল অঞ্চল রয়েছে মহানন্দার পশ্চিমপাড়ে। কালো এবং নীল এখানকার মাটির রং।

(২) তাল অঞ্চল

তাল অঞ্চলটি খরবা, হরিশচন্দ্রপুর ও রতুয়ার কিছু অংশ নিয়ে। এখানকার জমি নিচু বলে সহজেই বন্যা কবলিত হয়। তাল অঞ্চল দিয়ারা অঞ্চলের সঙ্গে মিশেছে ক্রমশ দক্ষিণে ও পশ্চিমে ঢালু হয়ে।

(৩) দিয়ারা অঞ্চল

দিয়ারা অঞ্চল বিস্তৃত কালিন্দী নদীর দক্ষিণে এবং মহানন্দার পশ্চিমে। মালদার সবচেয়ে উর্বর ও জনবহুল অঞ্চল দিয়ারা। দিয়ারা আসলে গঙ্গার চর। দিয়ারা গঠিত হয়েছে ইংলিশবাজার, কালিয়াচক, রতুয়া থানার কিছু অংশ নিয়ে।

জলবায়ু : চরমভাবাপন্ন (অর্থাৎ গ্রীষ্মকালে প্রচন্ড গরম ও শীতকালে প্রচন্ড শীত)।

উচ্চতা : সর্বোচ্চ ৩৮° সেলসিয়াস ও সর্বনিম্ন ৮° সেলসিয়াস।

নদ-নদী: গঙ্গা, টাঙ্গন, মহানন্দা, কালিন্দী, ফুলহার, পুনর্ভবা, নাগর।

অভয়ারণ্য: ও ১টি। আদিনা ডিয়ার পার্ক। এখানে চিতল হরিণ, নীলগাই বিখ্যাত।

কৃষিজ উৎপাদন: ফজলি আম চাষের জন্য মালদা ভারত বিখ্যাত। গম উৎপাদনে তৃতীয়, ধান উৎপাদনে দশম, দুধ উৎপাদনে একাদশ ও ডিম উৎপাদনে নবম স্থান অধিকার করে আছে এই জেলা। এছাড়া আনারস, ছোলা, পাট, আখ ও ডাল চাষ হয়।  (Malda District Details Description)

স্বাভাবিক উদ্ভিদ : আম, জাম, কাঠাল, নারকেল, শাল, সেগুন ইত্যাদি। মালদার ফজলি আম বিখ্যাত।

জনসংখ্যা : ৩১,১৭,৯৭০ জন (রাজ্যের মোট জনসংখ্যার ৪.১০ শতাংশ)

পুরুষ: ২০,৬১,৫৯৩ জন।

মহিলা : ১৯,৩৬,৩৭৭ জন।

জনঘনত্ব: প্রতি বর্গ কিমিতে ১,০৭১ জন।

জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার : ২১.৫০ শতাংশ। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ।

লিঙ্গ অনুপাত : ১৩৯ জন (প্রতি ১০০০ জন পুরুষে)।

সাক্ষরতার হার : মোট ৬২.৭১ শতাংশ। পুরুষ ৬৭.২৭ শতাংশ ও মহিলা ৫৭.৮৪ শতাংশ।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান : বিশ্ববিদ্যালয় ১টি। রবীন্দ্রভবনে গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় (স্থা: ২০০৮)।

  • মোট কলেজের সংখ্যা ১৩টি।
  • ডিগ্রি কলেজ ১২টি, প্রযুক্তিবিদ্যা কলেজ ১টি।

পুরসভা: ২টি। পুরাতন মালদা (১৮৬৯), ইংরেজবাজার (১৮৬৯)।

গ্রাম পঞ্চায়েত : ১৪৭টি।

পঞ্চায়েত সমিতি : ১৫টি।

ব্লক 

১৫টি। বামনগোলা, চাঁচল -১, চাঁচল -২, ইংলিশবাজার, গাজোল, হাবিবপুর, হরিশ্চন্দ্রপুর-১, হরিশ্চন্দ্রপুর-২, কালিয়াচক-১, কালিয়াচক-২, কালিয়াচক-৩, পুরাতন মা, মানিকচক, রতুয়া-১, রতুয়া-২।

থানা : ১৪টি।

লোকসভা আসন: ২টি। মালদা উত্তর, মালদা দক্ষিণ।

বিধানসভা আসন 

১২টি। মালদা (তপশিলি জাতি), হাবিবপুর (তপশিলি উপজাতি), ইংরেজবাজার, মানিকচক, সুজাপুর গাজল (তপশিলি জাতি), রতুয়া, হরিশচন্দ্রপুর, চাঁচল, মালতীপুর, মোথাবাড়ি, বৈবনগর।

যোগাযোগ ও পরিবহণ 

সড়কপথ ৬২৮ কিমি, যার মধ্যে পাকা রাস্তা ৬২০ কিমি, কাঁচা রাস্তা ৮ কিমি। কলকাতা থেকে ৩৪নং জাতীয় সড়ক দ্বারা মালদা জেলা যুক্ত। হাওড়া এবং শিয়ালদহ শাখা থেকে রেলপথে মালদা সরাসরি যুক্ত। মালদহের উল্লেখযোগ্য রেলস্টেশন ওল্ড মালদা এবং মালদা।  (Malda District Details Description)

বাণিজ্য কেন্দ্র: মালদা, চাচোল, রতুয়া, গাজোল, হাবিবপুর, কালিয়াচক।

শিল্প : আধুনিক কলকারখানা কিছুই নেই। তবে এখানকার রেশম শিল্প, ফল প্রক্রিয়াকরণ ও তামাক চাষ বিখ্যাত। নবাবগঞ্জের কাঁসার শিল্প, কালিয়াচক ও ইংলিশ বাজার রেশম শিল্পের জন্য বিখ্যাত।

অর্থনীতি

মালদা জেলার অধিকাংশ মানুষ আম চাষের ওপর নির্ভরশীল। এখানে কিছু অংশে রেশম শিল্পও আছে। তাছাড়া পশ্চিমবঙ্গের ৬৫ শতাংশ তুঁত এই জেলায় চাষ হয়। জেলার ইংরেজবাজার, ওল্ড মালদা, রতুয়া প্রভৃতি জায়গায় ফজলি আমের চাষ বেশি হয়। মালদায় আধুনিক কারখানা তেমন কিছু নেই।

হাসপাতালের সংখ্যা: সরকারী হাসপাতাল ১টি। স্বাস্থ্যকেন্দ্রের সংখ্যা ৪২৭টি।

গ্রন্থাগারের সংখ্যা: ১০৫টি।

প্রধান উৎসব: মালদার রামকেলি উৎসব প্রায় ৪০০ বছরের পুরোনো।

প্রধান আঞ্চলিক মেলা

রামকেলির মেলা 

প্রায় ৫০৪ বছরের পুরনো চৈতন্যদেবের স্মৃতি বিজরিত বৈয়বদের এই মেলা জুন মাসে অনুষ্ঠিত হয়। চলে সাতদিন ধরে।

  • এই মেলা গুপ্ত বৃন্দাবন নামে প্রসিদ্ধ। ইতিহাস থেকে জানা যায় ১৫১৫ সালের ১৫ জুন জ্যৈষ্ঠ সংক্রান্তিতে মালদার রামকেলিতে পা রেখেছিলেন চৈতন্য মহাপ্রভু।
  • এখানকার তমাল গাছে নীচে মহাপ্রভু আড়াই দিন কাটিয়েছিলেন। সেই সময় বাংলার রাজধানী গৌড়ের শাসনকর্তা ছিলেন হুসেন শাহ।
  • তিনি চৈতন্যদেবকে সমাদর করার জন্য তাঁর মন্ত্রীসভার দুই সদস্য দবির খাস ও সাকর মল্লিককে দায়িত্ব দেন।
  • পরবর্তীতে এই দুজনই হিন্দু ধর্মে দীক্ষিত হন এবং দুজনের নাম হয় রূপ গোস্বামী ও সনাতন গোস্বামী।
  • বেয়বরা মনে করেন রামকেছি। থেকেই শ্রীচৈতন্যদেব নীলাচলের উদ্দেশ্যে রওনা হন। সেখানে মাত্র ৪৩ বছর বয়সে। সমুদ্রে বিলীন হয়ে যান।

(Malda District Details Description)

  • তাঁর আগমণের স্মৃতিকে স্মরণে রাখার জন্য তাঁর ওই দুই শিষ তখন থেকে মেলার আয়োজন করেন।
  • মালদার রামকেলি মেলা লাগোয়া গোরিশের থান মাতৃপিন্ড দানের জন্য প্রসিদ্ধ।
  • এছাড়া জহরা কালীর মেলা (মহাকালি, মহালক্ষ্মী ও মহা সরস্বতীর মূর্তি নিয়ে জহর মন্দির মালদার অন্যতম প্রসিদ্ধ ।
  • এটি গাজলে অবস্থিত), রথের মেলা, গাজন মেলা, সজনাদিঘির মেলা ইত্যাদি।

লোকসংস্কৃতি: মালদার সবচেয়ে লোকপ্রিয় দেবতা হল শিব। ‘গম্ভীরা’ মালদহের বিশিষ্ট। লোকগান ও উৎসব।

দর্শনীয় স্থান 

বাংলার রাজা শশাঙ্কের রাজধানী গৌড়, পাণ্ডুয়া (মালদা থেকে ১৭.৫ কিমি দূরে পান্ডুয়া বাংলার সুলতানি আমলের রাজধানী ছিল), পান্ডুয়ার আদিনা মসজিদ (১৩৬৮ সালে সিকান্দার শাহ এই মসজিদের নির্মাণকার্য শুরু করেন) জেলার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন, একলাখি সালামি মসজিদ, বড়দরগা, ছোটদরগা, সালিশি দরওয়াজা, দাখিল দরওয়াজা, চিল্লাখানা, কুতুবশাহী মসজিদ, হামাম, ডিয়ার পার্ক,

সুলতান নসরত শাহ কর্তৃক নির্মিত বড়সোনা মসজিদ (স্থাপিত : ১৫২৬ খ্রিস্টাব্দ) চিকা মসজিদ, দাখিল দরওয়াজা, তিনতলা বিশিষ্ট লুকোচুরি দরওয়াজা (১৬৫৫ খ্রিস্টাব্দে শাহ সুজা এটি নির্মাণ করেন), তাঁতীপাড়া মসজিদ (১৪০০ খ্রিস্টাব্দে মিরশাদ খান কর্তৃক নির্মিত), লোটন মসজিদ (১৪৭৫ খ্রিস্টাব্দে) সুলতান ইউসুফ খান নির্মাণ করেন), কোতওয়ালি দরওয়াজা (প্রথম নাসিরুদ্দিন মহম্মদ কর্তৃক চতুর্দশ শতাব্দীর দ্বিতীয়ার্ধে নির্মিত),

ফিরোজ মিনার (স্থাপিত : ১৪৮৬, উচ্চতা : ৮৪ ফুট): হজরত মহম্মদের চরণচিহ্ন সম্বলিত পবিত্র কদমরসুল (১৫৩১ খ্রিস্টাব্দে এটি নির্মাণ করেন নসরত শাহ), জহুরাতলার জহুরাদেবীর মন্দির ইত্যাদি এখানকার দ্রষ্টব্য স্থান। জগজীবনপুর যাওয়ার পথে বুলবুলচণ্ডী শহরে মা চণ্ডীর মন্দির রয়েছে। মালদহের জগজীবনপুরে নন্দদীর্ঘিকা মহাবিহারের এক বৌদ্ধ নিদর্শন পাওয়া গেছে।

জেলার বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব 

 আবু বরকত আতাউল গণিখান চৌধুরী (১৯২৬-২০০৬) 

মালদা। অবিসংবাদী কংগ্রেস নেতা। ১৯৫২ সালের প্রথম বিধানসভায় নির্বাচিত হন। ১৯৬৭, ১৯৬৯, ১৯৭১, ১৯৭২, ও ১৯৭৭ সালেও বিধানসভা নির্বাচনে জয়ী হন।

  • ১৯৮০ সাল থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত লোকসভার আটটি নির্বাচনেই তিনি জয়ী হয়েছিলেন। সিদ্ধার্থশঙ্ক রায়ের মন্ত্রীসভার সদস্য ও ইন্দিরা গান্ধীর প্রধানমন্ত্রীত্বে কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী হয়েছিলেন।
  • এছাড়াও জেলার অন্যান্য উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্বরা হলেন বল্লাল সেন (সেন রাজা), বিনয় কুমার সরকার (অর্থনীতির অধ্যাপক), শিবরাম চক্রবর্তী (রস সাহিত্যিক)।

এক নজরে জেলার গুরুত্বপূর্ণ তথ্যাবলী 

  • মালদার প্রাচীন নাম গৌড়। এখানে একসময় প্রচুর গুড় উৎপন্ন হত বলেই এরকম নামকরণ হয়েছিল বলেও মনে করা হয়।
  • মলদার পান্ডুয়াই হল প্রাচীন পুণ্ড্রবর্ধন। গৌড়ের অধিপতি শশাঙ্ক প্রথম বাঙালি সার্বভৌম নৃপতি ছিলেন।
  • লক্ষণ সেন ছিলেন প্রাচীন গৌড়ের শেষ হিন্দু রাজা। ১২০৪ খ্রিঃ রাজত্বের অবসান ঘটান।
  • বখতিয়ার খলজি সেন (শাসনকাল : ১৩৩৮-৪৯) তাঁর আমলেই মরোক্কোর পর্যটক ইবন বতুতা বাংলায় আসেন।
  •  লক্ষণ সেনের রাজধানী লক্ষ্মণাবতী হল লখনৌতি যা বর্তমান ইংরাজ বাজারের কাছে ১৯ বাংলার স্বাধীন সুলতান ছিলেন মুবারক শাহী বংশের ফখরুদ্দিন মুবারক শাহ
  • মামুদ শাহী বংশের সুলতান রুকনুদ্দিন বারবক শাহ (রাজত্বকাল ১৪৫৫-৭৬) আমলের বিখ্যাত ব্যক্তিরা ছিলেন—পণ্ডিত বৃহস্পতি মিশ্র; ‘শ্রীকৃষ্ণবিজয় কাব্যের রচয়িতা মালাধর বসু; চিকিৎসক অনন্ত সেন; মন্ত্রী বিশ্বাস রায়।
  • হোসেন শাহী বংশের আলাউদ্দিন হোসেন শাহর আমলে চৈতন্য মহাপ্রভু গৌড়িয় বৈষ্ণব ধর্ম প্রচার করেন। মালদায় চৈতন্যের বিখ্যাত শিষ্য ছিলেন নিত্যানন্দ মহাপ্রভু।
  • মালদায় তিন ধরনের ভূমিরূপ দেখা যায়- বারিন্দ, তাল ও দিয়ারা।
  • মালদায় রসকদম ও কানসাট নামের মিষ্টি বিখ্যাত।  (Malda District Details Description)
  • এখানে মৈথিলী ব্রাহ্মণরা বাস করেন। তাঁরা খোট্টা ভাষায় কথা বলেন।
  • রসসাহিত্যিক শিবরাম চক্রবর্তী ছিলেন চাঁচলের রাজবাড়ির ছেলে। সেখানে এখন মালদা কলেজ। তাঁর উল্লেখযোগ্য রচনা ‘ঈশ্বর পৃথিবী ভালবাসা’ ও ‘ভালবাসা পৃথিবী ঈশ্বর’।
  • গৌড় পাণ্ডুয়ার ধ্বংসাবশেষ এখনও দ্রষ্টব্য স্থান। গৌড়ে রয়েছে বারদুয়ারি মসজিদ; দাখিল দরওয়াজা; ফিরোজ মিনার; চামকাঠি মসজিদ, লুকোচুরি দরজা, কদম রসুল, চিকা মসজিদ, রাজপ্রাসাদ ইত্যাদি।

Read More:- Food Corporation Of India | Recruitment Notification Out For 129 Posts | Age Limit, Eligibility, Salary, Selection Processes

Related Articles

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Latest Articles