Indian Geography Study Material | Latitude, Longitude, and other Geographical Terms | For WBCS Exam:- Geography plays a vital role in WBCS Exam. Today in this topic Smart Knowledge is here now to provide you with Indian Geography Study Material. So, all the WBCS Aspirants are suggested not to waste any time. Be ready for the Exam. Because you have no time to waste. We are always with you to guide you with suggestive study materials.
Indian Geography Study Material: অক্ষাংশ, দ্রাঘিমাংশ ও কতকগুলি ভৌগোলিক শব্দ
ছায়াপথ:– নিজস্ব মহাকর্ষীয় বলের দ্বারা নক্ষত্ররা যখন একত্রে অবস্থান করে, তখন তাকে ছায়াপথ বা গ্যালাক্সি বলে। উদাহরণ – মিল্কিওয়ে, অ্যান্ড্রেমিডা ইত্যাদি।
তারকাপুঞ্জ বা তারকামণ্ডল:– কতকগুলি তারা আকাশে দল বেঁধে থাকে। এই দলের মধ্যে যে যেখানে থাকে, সে সবসময় সেখানেই থাকে। এই দলবদ্ধভাবে তারাদের অবস্থানকে তারকাপুঞ্জ বা তারকামণ্ডল বলা হয়।
উদাহরণ:- সপ্তর্ষিমন্ডল
সৌরদিন:- পৃথিবীর নিজস্ব মেরুদন্ডের উপর পশ্চিম থেকে পূর্বদিকে একবার আবর্তন করতে মোট 23 ঘন্টা 56 মিনিট সময় লাগে। একে সৌরদিন বলা হয়।
সুমেরু প্রভা ও কুমেরু প্রভা
মেরু অঞ্চলে অন্ধকারের সময় মাঝে মাঝে আকাশে রামধনুর মতন অস্পষ্ট আলো দেখা যায়। এই আলোকে সুমেরু অঞ্চলে বলা হয় সুমেরু প্রভা (Aurora Borealis) এবং কুমেরু অঞ্চলে বলা হয় কুমেরু প্রভা (Aurora Australis) (Indian Geography Study Material)
বিষুব (Equinox): – যেদিন পৃথিবীতে 12 ঘন্টা দিন ও 12 ঘন্টা – রাত্রি হয়, সেদিনকে বিষুব (Equinox) বলা হয়।
নিশীথ সূর্যের দেশ:– উত্তর মেরুতে 6 মাস দিনের সময় নরওয়ের হ্যামারফেস্ট বন্দর থেকে গভীর রাত্রে আকাশে সূর্যকে দেখা যায়, এজন্য নরওয়েকে ‘নিশীথ সূর্যের দেশ’ বলা হয়।
নিরক্ষীয় তল:- নিরক্ষরেখা ও পৃথিবীর কেন্দ্র যে তলের উপর অবস্থিত সেই তলকে নিরক্ষীয় তল বলা হয়।
মূলমধ্যরেখা:- গ্রীনিচের মানমন্দিরের উপর দিয়ে যে কাল্পনিক রেখা সুমেরু ও কুমেরু বিন্দুর সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করে, তাকে মূলমধ্যরেখা (Prime Meridian) বলা হয়।
অক্ষাংশ:– নিরক্ষরেখা থেকে উত্তর বা দক্ষিণে অবস্থিত কোন স্থানের কৌণিক দূরত্বকে সেই স্থানের অক্ষাংশ (Latitude) বলা হয়।
দ্রাঘিমা:– মূলমধ্যরেখা থেকে কোন স্থানের কৌণিক দূরত্বকে সেই। স্থানের দ্রাঘিমা (Longitude) বলা হয়।..
দ্রাঘিমা রেখা:- ভূপৃষ্ঠে যেসব স্থানের দ্রাঘিমা সমান সেইসব স্থানকে কোন কাল্পনিক রেখা দ্বারা পরস্পরকে যুক্ত করা হলে যে রেখা পাওয়া যায়, তাকেই দ্রাঘিমারেখা বা মধ্যরেখা (Meridian) বলা হয়।
[পৃথিবী প্রতি 4 মিনিটে 1° পথ অতিক্রম করে অর্থাৎ প্রতি ঘন্টায় 15° পথ অতিক্রম করে। আবার প্রতি 1° দ্রাঘিমার পার্থক্যে সময়ের পার্থক্য হয় 4 মিনিট।]
- প্রমাণ সময় দেশের প্রায় মধ্যভাগ দিয়ে বিস্তৃত কোন দ্রাঘিমা রেখার সময়কে নির্দিষ্ট সময় ধরে সারা দেশের বা দেশের কোন অংশের প্রচলিত সময় বলে ধরা হয়।
- এই সময়কে প্রমাণ সময় বা প্রমাণ কাল (Standard Time) বলাহয়।
- ফলে একটি দেশের অনেকগুলি প্রমাণ সময় থাকতে পারে। যেমন আমেরিকার 4টি এবং রাশিয়ার 11টি প্রমাণ সময় আছে।
ভারতের প্রমাণ সময়:- 82°30´ পূর্ব দ্রাঘিমারেখা। এই রেখাটি এলাহাবাদের উপর দিয়ে গিয়েছে।
- ভারতের প্রমাণ সময় ও গ্রীনিচের সময়ের পার্থক্য 5 ঘন্টা 30 মিনিট।
- আবার কলকাতার সময় ভারতের সময়ের থেকে 24 মিনিট এগিয়ে আছে। (Indian Geography Study Material)
সূর্য
সূর্য জ্বলন্ত গ্যাসে পরিপূর্ণ। এর সমস্ত অংশকে আলোকমণ্ডল (Photosphere) বলা হয়।
- আবার সূর্যমন্ডলীকে ঘিরে রয়েছে কয়েক হাজার মাইল চওড়া আগুনের শিখা।
এটি বর্ণমন্ডল (Chromosphere) নামে পরিচিত। এই বর্ণমন্ডলকে ঘিরে রয়েছে ছটা মন্ডল (Corona)।
- সূর্যের মধ্যে যে কালো কালো দাগ দেখা যায়, সেটি সৌরকলঙ্ক (Sunspots) নামে পরিচিত।
- সূর্যের আলো পৃথিবীতে আসতে 8.17 সেকেন্ড সময় লাগে। তাপমাত্রার আহ্নিক বিন্যাস কোন নির্দিষ্ট দিনে সর্বাধিক ও ন্যূনতম তাপমাত্রার পার্থক্য।
আন্তর্জাতিক তারিখরেখা
যে দ্রাঘিমা রেখা 180° দ্রাঘিমারেখাকে অনুসরণ করে উত্তর ও দক্ষিণ মেরু পর্যন্ত বিস্তৃত, তাকে আন্তর্জাতিক তারিখরেখা বলে।
(কর্কটক্রান্তি রেখা বয়ে গিয়েছে ভারতের নিম্নলিখিত রাজ্যগুলির মধ্য দিয়ে – গুজরাট, রাজস্থান,
মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, ঝাড়খন্ড, পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা, মণিপুর।)
শিলা ও তার শ্রেণীবিভাগ
- প্রাথমিক অবস্থায় পৃথিবী উত্তপ্ত গ্যাসীয় অবস্থায় ছিল। পরে এটি ঠান্ডা হয়ে কঠিন অবস্থায় পরিবর্তিত হয়েছে।
- ফলে বাষ্প থেকে তরল এবং পরে তরল থেকে কঠিন অবস্থায় আসতে পৃথিবীর উপাদানগুলি স্থান পরিবর্তন করে।
কেন্দ্রমন্ডল (কোর):– ইহা পৃথিবীর সবথেকে নীচের অংশ। ইহা জল অপেক্ষা প্রায় 10 গুণ ভারী। এই মন্ডলটি প্রধানত লোহা ও নিকেল। দ্বারা গঠিত।
গুরুমন্ডল (ম্যান্টল):– ইহা কেন্দ্রমন্ডলের উপর অবস্থিত।
- ইহা জল অপেক্ষা 5 গুণ ভারী।
- এই মন্ডলের উল্লেখযোগ্য উপাদানগুলি হল লোহা (Fe), নিকেল (Ni), সিলিকা (Si), ম্যাগনেশিয়াম (Mg), ক্রোমিয়াম (Cr) ইত্যাদি।
শিলামন্ডল:- ইহা পৃথিবীর সবথেকে উপরের অংশ। এই মন্ডলের প্রধান উপাদানগুলি হল অ্যালুমিনিয়াম, সিলিকা প্রভৃতি।
সিয়াল:- ভূত্বকের উপরে অপেক্ষাকৃত হাল্কা শিলাস্তরকে সিয়াল বলে। এর প্রধান উপাদানগুলি হল সিলিকন, অ্যালুমিনিয়াম, গ্রানাইট প্রভৃতি।
সিমা:- ভূত্বকের উপরে অপেক্ষাকৃত ভারী অংশটি সিমা নামে পরিচিত। এর প্রধান উপাদানগুলি হল সিলিকন (Si) ও ম্যাগনেশিয়াম (Mg) |
উৎপত্তি, বয়স, গঠন ও আকৃতি অনুসারে শিলাকে প্রধানত 3টি ভাগে ভাগ করা যায়। সেগুলি হল—
(i) আগ্নেয় শিলা (Igneous Rocks)
উত্তপ্ত তরল অবস্থা থেকে শীতল ও কঠিন হওয়ার সময় ভূত্বক ও ভূ-অভ্যন্তরের বিভিন্ন উপাদানগুলি জমাট
বেঁধে কঠিন হয় এবং এর ফলে যে শিলার সৃষ্টি হয় তাকে আগ্নেয় শিলা বলা হয়।
- এটি আবার প্রাথমিক শিলা নামেও পরিচিত।
রাসায়নিক গঠন অনুসারে আগ্নেয় শিলাকে আবার 4টি ভাগে ভাগ করা যায়, যথা –
(a) আম্লিক গ্রানাইট
(b) মধ্যবর্তী ইন্টার মিডিয়েট – ডাইওরাইট
(c) ক্ষারকীয় ব্যাসল্ট
(d) অতি ক্ষারকীয় পেরিডোটাইট
(ii) পাললিক শিলা ( Sedimentary Rocks)
পলিসঞ্চিত হয়ে এই শিলার সৃষ্টি হয়। ইহা স্তরীভূত শিলা নামেও পরিচিত।
উদাহরণ – বেলেপাথর, নুড়িপাথর, কাদাপাথর, চুনাপাথর, ডলোমাইট প্রভৃতি। উল্লেখ্য যে এই শিলার মধ্যে
জীবাশ্ম (Fossil) দেখতে পাওয়া যায়। এছাড়া কয়লা, খনিজ তেল, প্রাকৃতিক গ্যাস প্রভৃতি এই শিলাতে দেখতে
পাওয়া যায়।
(iii) রূপান্তরিত শিলা (Metamorphic Rock)
অত্যধিক চাপ, তাপ, রাসায়নিক প্রক্রিয়া প্রভৃতির জন্য শিলা রূপান্তরিত হয়। এই ধরনের শিলা খুব ভারী ও কঠিন হয়।
উদাহরণ:- বেলেপাথর, কোয়ার্টজাইট, কাদাপাথর, স্লেট – গ্রানাইট নিস চুনাপাথর শ্বেত পাথর বা মার্বেল । উল্লেখ্য যে এই ধরনের শিলার মধ্যে হীরক দেখতে পাওয়া যায়।
ট্রপোস্ফিয়ারে উচ্চতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে,
(i) বায়ুমন্ডলের তাপমাত্রা ক্রমশ হ্রাস পায়। এই তাপমাত্রা হ্রাসের হারকে ল্যাপসরেট বলা হয়। সাধারণত প্রতি 1 কিমি উচ্চতায় 6.4° সেন্ট্রিগ্রেড তাপমাত্রা হ্রাস পায়।
(ii) ট্রপোস্ফিয়ার ও ৪ স্ট্রাটোস্ফিয়ার এর মধ্যবর্তী 2-3 কিমি বিস্তৃত অঞ্চলে তাপমাত্রায় কোনরকম পরিবর্তন দেখা যায় না বা বায়ু চলাচল তেমন দেখা যায় না। এটি ট্রপোপজ বা স্তব্ধস্তর নামে পরিচিত।
(iii) স্ট্রাটোস্ফিয়ারে ওজোন গ্যাসের পরিমাণ বেশী থাকায় একে ওজোনোস্ফিয়ারও বলা হয়।
(iv) আয়নোস্ফিয়ারে মরু জ্যোতি দেখা যায়। সুমেরু অঞ্চলের মেরু জ্যোতি সুমেরুপ্রভা বা অরোরা বোরিয়ালিস এবং কুমেরু অঞ্চলের মেরুজ্যোতি কুমেরুপ্রভা বা অরোরা স্ট্রালিস নামে পরিচিত।
আবহাওয়া ও জলবায়ু
কোন একটি স্থানের একদিন বা বেশ কয়েকটি দিনের বায়ুর চাপ, বায়ুর আদ্রতা, বায়ুর উষ্ণতা, বায়ুপ্রবাহ, বৃষ্টিপাত, মেঘের অবস্থা প্রভৃতি উপাদানগুলির গড় অবস্থাকে আবহাওয়া বলা হয়।
এটি সাধারণত দৈনন্দিন ঘটনা হওয়ায় প্রতি মুহুর্তে এটি বদল হতে পারে। সিক্স-এর থার্মোমিটারের সাহায্যে কোনদিনের সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন উষ্ণতা নির্দ্ধারন করা যায়।
সমোষ্ণরেখা (Isotherm):- কোন নির্দিষ্ট সময়ে ভূ-পৃষ্ঠের যে সকল স্থানের গড় উষ্ণতা একই, মানচিত্রে সেই সকল স্থানের উপর দিয়ে কোন একটি কাল্পনিক রেখা টানা হলে যে রেখাটি পাওয়া যাবে, সেটিকে সমোষ্ণরেখা বলা হয়।
বায়ুর চাপ:- ভূপৃষ্ঠে কোন নির্দিষ্ট পরিমিত বর্গক্ষেত্রের উপর বায়ুস্তরের চাপকে বায়ুমন্ডলের চাপ বলা হয়।
- উল্লেখ্য যে প্রতি 1000 ফুট উচ্চতায় বায়ুর চাপ 43 মিলিবার হ্রাস পায়। ব্যারোমিটারের সাহায্যে বায়ুর চাপ পরিমাপ করা হয়। (Indian Geography Study Material)
বায়ুপ্রবাহ:– ভূপৃষ্ঠের সমান্তরালে বা অনুভূমিকভাবে যখন বায়ু চলাচল করে, তখন তাকে বায়ুপ্রবাহ বলা হয়।
- বাত পাতাকার সাহায্যে বায়ুপ্রবাহের দিক নির্ণয় এবং অ্যানিমোমিটার যন্ত্রের সাহায্যে বায়ুপ্রবাহের গতি পরিমাপ করা হয়।
ফেরেলের সূত্র – পৃথিবীর আবর্তন গতির জন্য বায়ু সোজাপথে প্রবাহিত না হয়ে উত্তর গোলার্দ্ধের বায়ু ডানদিকে ও দক্ষিণ গোলার্দ্ধের বায়ু বাম দিকে বেঁকে যায়।
ডোলড্রাম (Doldrum):– নিরক্ষরেখার নিকটবর্তী 5° উত্তর ও 5° দক্ষিণ অক্ষাংশের মধ্যে যেখানে উত্তর-পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব আয়নবায়ু মিলিত হয়েছে সেই অঞ্চলে কোন প্রকার বায়ুপ্রবাহ থাকে না। একে নিরক্ষীয় শান্তিবলয় বা ডোলড্রাম বলা হয়।
গর্জনশীল চল্লিশা
দক্ষিণ গোলার্দ্ধে 40° – 60° দক্ষিণ অক্ষাংশের মধ্যে পশ্চিমাবায়ু সারাবছরই প্রবাহিত হয়। এইজন্য দক্ষিণের 40° অক্ষরেখা গর্জনশীল চল্লিশা, 500 অক্ষরেখা ভয়ঙ্কর পঞ্চশিয়া, 60° অক্ষরেখা ঝোড়ো যেটো নামে পরিচিত। (Indian Geography Study Material)
আপেক্ষিক আর্দ্রতা:- কোন নির্দিষ্ট উষ্ণতায় নির্দিষ্ট আয়তনের বায়ুতে যে পরিমাণ জলীয় বাষ্প আছে এবং ঐ নির্দিষ্ট উষ্ণতায় ঐ নির্দিষ্ট আয়তনের বায়ুকে সম্পৃক্ত হওয়ার জন্য যে পরিমাণ জলীয় বাষ্পের প্রয়োজন হয়, তাদের পরিমাণের অনুপাতকে আপেক্ষিক আর্দ্রতা বলা হয়।
হাইগ্রোমিটার যন্ত্রের সাহায্যে আপেক্ষিক আর্দ্রতা পরিমাপ করা হয়।
শিশিরাঙ্ক তাপমাত্রা (Dew Point):– যে তাপমাত্রায় বায়ুতে অবস্থিত জলীয় বাষ্প সম্পৃক্ত হয় সেই তাপমাত্রাকে শিশিরাঙ্ক তাপমাত্রা বলা হয়।
পৃথিবীর অ্যালবেডো:– সূর্য থেকে যে সৌররশ্মি ক্ষুদ্র তরঙ্গ রূপে পৃথিবীতে আসে, তার শতকরা 34 ভাগ বায়ুমন্ডলকে উত্তপ্ত না করে মহাশূন্যে ফিরে যায়। একে পৃথিবীর অ্যালবেডো বলে।
মেঘ:– বায়ুতে অবস্থিত ভাসমান ধূলিকণা, কয়লার কণা প্রভৃতিকে আশ্রয় করে যে সকল ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জলকণা ও তুষারকণা আকাশে ভেসে বেড়ায়, তাদেরকে মেঘ বলা হয়।
Read More:- Natural Resources MCQ 2022 | Special Practice Set On WB Primary Tet, Upper Tet & SLST