Growth And Development | Child Psychology Study Materials | WB Primary, Tet Upper Primary:- Growth And Development play a vital role in WB Primary Tet Exam. Out of 150 marks, 30 marks contains CDP. Not only that in CTET Exam all five subjects contain 15 marks in Pedagogy. After the 2017 notification this year, a new notification will be announced. So, we need to be well prepared to crack the exam successfully.
To think about all our dear Aspirants, today we are presenting Child Psychology Study Materials to proceed with your preparation. Everyone now gets ready to achieve the goal, and snatch your success.
Growth And Development: বৃদ্ধি ও বিকাশ
শিশুর জীবনের বিকাশ কেন হয় এবং কিভাবে হয় এইসব প্রশ্ন নিয়ে বহুদিন থেকে মনোবিলাশ বহু পরীক্ষা-
নিরীক্ষা করেছেন। জন্মাবস্থায় শিশুর মধ্যে এমন কি সম্ভাবনা ও প্রবণতা থাকে যা তার বিকাশধারাকে নিয়ণ করে
অথবা সে যে পরিবেশে লালিত-পালিত হয় নাকি সেই পরিবেশ তার জীবনধারার নিয়ন্ত্রক। বিভিন্ন বংশগতিবাদী
ও পরিবেশবাদী শিশুর বিকাশে বংশগতি ও পরিবেশের প্রভাব বিভিন্নভাবে ব্যাখ্যা করেছেন। বংশগতিবাদী
গণদের মতে শিশুর ব্যক্তিজীবনের বিকাশ কেবলমাত্র বংশগতি ধারাতে নির্ধারিত হয়। অপরদিকে
পরিবেশবাদীগণের মতে, শিশুর ব্যক্তিজীবনের বিকাশে পরিবেশ একইভাবে দায়ী। তারা কোনও এক পক্ষকে
এককভাবে মেনে নেননি। তাদের মতে বংশগতি ও পরিবেশ উভয়ের পারস্পরিক ক্রিয়ার মাধ্যমে শিশুর বিকাশ
নির্ধারিত হয়।।
- ব্যক্তি বংশগতিরূপে যে সম্ভাবনাগুলি নিয়ে জন্মায়, তাদের পরিপূর্ণ বিকাশ হবে কিনা তা নির্ধারণ করে দেবে
তার পরিবেশ। পরিবেশ সম্ভাবনাগুলি বিকাশের মত অনুকূল হবে, তাদের বিকাশ ও তত সুষ্ঠুভাবে হবে। আবার
অন্যদিকে ব্যক্তির জীবনে পরিবেশ তার বিকাশের কতটা সহায়তা করতে পারবে, তা নির্ধারণ করে দেবে তার
বংশগতি। বংশগতি নিম্নমানের হলে পরিবেশ যতই উন্নতমানের হোক না কেন ব্যক্তিজীবনের বিকাশ
উন্নতমানের হবে না। যা বাস্তব সত্য তা হল শিশুর ব্যক্তিজীবনের বিকাশ, বংশগতি ও পরিবেশ এর দুই
উপাদানের পারস্পরিক ক্রিয়ার উপর নির্ভরশীল। ব্যক্তি বংশগতিরজন্য যে সম্ভাবনাগুলো নিয়ে জম্মেছে। তার
পরিপূর্ণভাবে বিকাশলাভ করবে কিনা, তা নির্ধারণ করে দেখে তার পরিবেশ। আবার অন্যদিকে ব্যক্তির জীবনে
পরিবেশ তার বিকাশে কতটা সহায়তা করবে তার নির্ধারণ করে দেবে তার বংশগতি।
‘শিশু বিকাশ’এর অর্থ (Meaning of child development)
‘শিশু বিকাশ’—কথাটির মধ্যে দুটি শব্দ রয়েছে। একটি ‘শিশু’ এবং অপরটি ‘বিকাশ” | সুতরাং, আমাদের জানা
প্রয়োজন শিশুর অর্থ কী এবং বিকাশের অর্থ কী? যদিও শিশুর সঠিক কোনো সংজ্ঞা এখনও নিরূপণ করা
হয়নি, তবুও CRC-এর মতে 18 বছর বয়সের নীচে থাকা সকল মানুষকেই শিশু হিসেবে গণ্য করা হয়।
আমাদের দেশের সংবিধানের 45 নং ধারা অনুযায়ী 14 বছর বয়সের নীচে থাকা প্রত্যেকটি মানুষকেই শিশু বলা
হয়।
- অন্যদিকে, বিকাশ হল ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া বা মিথস্ক্রিয়ার ফল। এটি একটি নিরবচ্ছিন্ন, ব্যক্তিতান্ত্রিক প্রক্রিয়া।
শিশুর সহজাত ক্ষমতা ও তার চারপাশের পরিবেশের সঙ্গে পারস্পরিক ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া বা মিথস্ক্রিয়ার ফলেই
শিশুর বিকাশ সম্ভব হয়। মোট কথা, শিশুর বিকাশ হল—“জন্মের পর থেকে শিশুর জীবনব্যাপী, নিরবচ্ছিন্ন,
সামগ্রিক ও গুণগত পরিবর্তনের প্রক্রিয়া।”
- শিশু সার্বিক বিকাশকে মোট বারোটি অংশে এখানে ভাগ করা হয়েছে সেগুলি হল যথাক্রমে নৈতিক বিকাশ
দৈহিক বিকাশ অহম বোধের বিকাশ সৌন্দর্যবোধের বিকাশ বৌদ্ধিক বিকাশ সৃজনশীলতার বিকাশ ভাষাগত
বিকাশ সঞ্চালনমূলক বিকাশ মানসিক বিকাশ সামাজিক বিকাশ এবং প্রাক্ষোভিক বিকাশ
বিকাশের সংজ্ঞা
বিকাশ হল ব্যক্তির সহজাত দৈহিক – মানসিক ক্ষমতা বা সামর্থ্যের প্রকাশ ও বিস্তার, যা ব্যক্তিকে জটিল থেকে
জটিলতর কর্ম সম্পাদন করতে সহায়তা করে। বৃদ্ধির মাধ্যমে বিকাশ অর্জিত হয়। কাজেই জন্মের পর থেকে
শিশুর জীবনব্যাপী, সামগ্রিক গুণগত পরিবর্তনের ধারাবাহিক প্রক্রিয়া হল বিকাশ।
বৃদ্ধির সংজ্ঞা
একটি নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে মানবশিশুর দেহের আকার বা আয়তন, ওজন ও উচ্চতার স্বতঃস্ফূর্ত ও স্থায়ী
পরিবর্তনই হল বৃদ্ধি ।
শিশুর বৃদ্ধি ও বিকাশের সম্পর্ক (Relation between growth and development)
শৈশব থেকে পরিণত বয়স অবধি প্রতিটি ব্যক্তির জীবনে বৃদ্ধি ও বিকাশ ঘটে। সাধারণত বৃদ্ধি ও বিকাশ
পাশাপাশি ঘটে থাকে। শিশুর দৈহিক বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে তার বিকাশও শুরু হয়। বৃদ্ধিই শিশুর বিকাশে সাহায্য
করে। কিন্তু সব সময় তা হয় না। কোনো কোনো ক্ষেত্রে বিকাশ ছাড়াই বৃদ্ধি হতে পারে। অনেক সময় দেখা
যায়, কোনো শিশু আকার বা আয়তন, উচ্চতা ও ওজনে যথেষ্ট বড়ো হয় অথচ তার জ্ঞানেন্দ্রিয়ের ও দৈহিক
কাজকর্মের কোনো উন্নতি বা বিকাশ দেখা যায় না | অনুরূপভাবে, অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, কোনো শিশুর
বিকাশ হয়েছে অথচ বিকাশের তুলনায় বৃদ্ধির হার যথেষ্ট কম | অর্থাৎ কোনো কোনো সময়ে দেখা যায় যে
শিশুর বৃদ্ধি হয়েছে অথচ বিকাশ হয়নি, অথবা বিকাশ হয়েছে অথচ বৃদ্ধি আশানুরূপ হয়নি।
- সবশেষে বলা যায় যে, বৃদ্ধি ও বিকাশ—এই দুটি প্রক্রিয়ার মধ্যে পার্থক্য যাই হোক না কেন, এরা পরস্পর
সম্পর্কযুক্ত ও নির্ভরশীল। মানবশিশুর সামগ্রিক ব্যক্তিত্বের বিকাশে বৃদ্ধি ও বিকাশ — এই দুটি প্রক্রিয়ার ভূমিকা
খুবই গুরুত্বপূর্ণ |
বিকাশের বৈশিষ্ট্যাবলি ও মূলনীতিসমূহ (Characteristics and Principles of Development of Children)
1. মিথস্ক্রিয়ার ফল: বিকাশ হল ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া বা মিথস্ক্রিয়ার ফল | শিশুর সহজাত ক্ষমতা ও তার চারপাশের পরিবেশের সঙ্গে পারস্পরিক ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া বা মিথস্ক্রিয়ার ফলেই শিশুর বিকাশ সম্ভব হয়।
2. ধারাবাহিকতা: বিকাশের মধ্যে একটি নির্দিষ্ট ধারাবাহিকতা আছে। যদিও প্রত্যেক ব্যক্তির বৃদ্ধি ও বিকাশের হার সমান হয়, তবুও বিকাশ একটি সুবিন্যস্ত অনুক্রম বা ধারাবাহিকতাকে অনুসরণ করে থাকে।
3. নিরবচ্ছিন্ন প্রক্রিয়া: বিকাশ হল একটি নিরবচ্ছিন্ন প্রক্রিয়া। মানবশিশুর বিকাশ শুরু হয় মাতৃগর্ভে থাকাকালীন অবস্থা থেকে এবং চলতে থাকে মৃত্যুর পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত |
- মানবজীবনে বিকাশের মধ্যে কোনো বিরাম বা বিচ্ছেদ নেই | বিকাশ কোনো একটি আকস্মিক ঘটনা নয়।
4. ব্যক্তিতান্ত্রিক প্রক্রিয়া: বিকাশ হল ব্যক্তিতান্ত্ৰিক প্ৰক্ৰিয়া | প্রত্যেক ব্যক্তি তাদের নিজস্ব বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী বিকাশ লাভ করে।
- প্রতিটি শিশুর দৈহিক, মানসিক, প্রাক্ষোভিক এবং সামাজিক বিকাশের ক্ষেত্রে একটি স্বাতন্ত্র্য লক্ষ করা যায়।
5. ক্ৰমসমষ্টিমূলক প্রক্রিয়া: বিকাশ ক্রমসমষ্টিমূলক প্রক্রিয়া | শিশুর কতকগুলি নাটকীয় আকস্মিক
পরিবর্তন আমাদের সকলেই দৃষ্টি আকর্ষণ করে। শিশুর বর্তমানের পরিবর্তন বা বিকাশ হল তার পূর্ববর্তী স্তরের
বৃদ্ধি ও অভিজ্ঞতার ফলশ্রুতি।
6. সামগ্রিক থেকে বিশেষের দিকে অগ্রসরতা: বিকাশ সামগ্রিক থেকে বিশেষের দিকে অগ্রসর হয়। সবরকম বিকাশের ক্ষেত্রে আমরা যে দুটি নীতি লক্ষ করি, তা হল পৃথকীকরণ এবং সমন্বয়।
7. বিভিন্ন দিকের সঙ্গে সম্পর্ক: বিকাশের বিভিন্ন দিকগুলি পরস্পর সম্পর্কযুক্ত। প্রথমদিকে শিশুর সামাজিক বিকাশ তার দৈহিক বিকাশের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত।
8. লিঙ্গ ভেদে বিষমতা : ছেলেদের এবং মেয়েদের বিকাশের হার সমান নয়। ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের পরিপক্বতা আগে আসে।
9. বিকাশ পরিণমনের ফল: বিখ্যাত শিশু মনোবিজ্ঞানী আর্নল্ড জোসের মতে, বিকাশের ওপর দৈহিক
পরিবর্তনের প্রভাব দেখা যায়। শৈশবকাল থেকে বয়ঃসন্ধিক্ষণ পর্যন্ত ব্যক্তির দৈহিক পরিবর্তন তার জিনের দ্বারাই
নিয়ন্ত্রিত হয়। এই স্বতঃস্ফূর্ত পরিবর্তন পরিণমন ঘটায় যা বিকাশ সম্ভব করে তোলে।
10. নিম্নাভিমুখী প্রক্রিয়া: বিকাশ ওপর থেকে নীচের দিকে ঘটে। অর্থাৎ মস্তিষ্ক, ঘাড়, হাত, পা—এইভাবে
ওপর থেকে নীচের দিকে পরপর বিকাশ ঘটে। বিকাশমূলক বিজ্ঞানে একে Cephalocaudal বলে।
11. কেন্দ্র থেকে পরিধির দিকে ঘটে : বিকাশ কেন্দ্র থেকে পরিধির দিকে ঘটে। শিশু কোনো কিছু ধরার জন্য প্রথম অবস্থায় সমগ্র বাহু ব্যবহার করে। পরে সে হাত এবং আঙুল ব্যবহার করে, একে বলে Boximodigital |
12. উভয় হাত-পা থেকে নির্দিষ্ট হাত-পা (Bilateral থেকে Unilateral): সদ্যোজাত শিশু দুই হাত-পা একইভাবে ব্যবহার করতে পারে। দুই বা আড়াই বছর বয়স থেকে শিশু কোনো একটি হাত-পা অন্যটির তুলনায় বেশি ব্যবহার করে।
- এই সমস্ত বৈশিষ্ট্যের পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায়, শিশুর বিকাশে উপযুক্ত পরিবেশ রচনা করা প্রয়োজন এবং বিকাশগত বৈশিষ্ট্যের প্রতি নজর দিয়ে শিক্ষার পরিকল্পনা স্থির করা উচিত।
বিকাশের নীতি: বিকাশের প্রধান নীতিগুলি নিম্নে উল্লেখ করা হল—
(i) বিকাশ হল মিথস্ক্রিয়ার ফল।
(ii) বংশগতি ও পরিবেশের মিথস্ক্রিয়ার ফলেই বিকাশ ঘটে।
(iii) বিকাশ ধারাবাহিকতা মেনে চলে।
(iv) বিকাশ উপর দিকে (মস্তিষ্ক) শুরু হয়ে নীচের দিকে ঘটে।
(v) বিকাশ কেন্দ্র থেকে পরিধির দিকে অগ্রসর হয়।
(vi) বিকাশের ফলে যে চলন ঘটে তার ধারাবাহিকতা বিশ্বের সব শিশুর ক্ষেত্রেই দেখা যায়। যেমন—হামাগুড়ি, দাঁড়ানো, হাঁটা।
(vii) বিকাশ পরস্পর সম্পর্ক যুক্ত।
(viii) ভবিষ্যৎবাণীর নীতি।
(ix) সরল রৈখিক বনাম স্পাইরাল নীতি।
বিকাশের স্তর
আর্নেস্ট জোন্স (Earnest Jones), রুশো (Rousseau), পিকুনাস (Pikunus), এরিকসন (Erikson), পিঁয়াজে (Piaget) প্রমুখেরা মানুষের জীবন বিকাশকে বয়স অনুযায়ী বিভিন্ন ভাগে ভাগ করেছেন।
স্তর ভাগগুলি হল—
জোনসের স্তরভাগ
শৈশবকাল : শিশুর জন্ম থেকে শুরু করে 5 বছর।
বাল্যকাল: 5 বছর থেকে 12 বছর।
কৈশোর বা বয়ঃসন্ধিকাল : 12 বছর থেকে 18 বছর। পূর্ণ বয়স্ককাল : 18 বছর থেকে মৃত্যু পর্যন্ত |
রুশোর স্তরভাগ
শৈশবকাল: 1 থেকে 5 বছর।
বাল্যকাল: 5 থেকে 12 বছর
প্রাক্কৈশোর : 12 থেকে 15 বছর। কৈশোর: 15 থেকে 20 বছর
পিকুনাসের স্তরভাগ
প্রাক্জন্মস্তর: গর্ভসঞ্চার থেকে শুরু করে জন্মাবার পূর্বমুহূর্ত পর্যন্ত।
সদ্যোজাত স্তর : জন্মের সময় থেকে 4 সপ্তাহ পর্যন্ত।
প্রারম্ভিক শৈশবস্তর : 1 মাস থেকে 1½ বছর পর্যন্ত | প্রান্তীয় শৈশবস্তর : 1½ বছর থেকে 2½ বছর পর্যন্ত |
প্রারম্ভিক বাল্য : 2½ বছর থেকে 5 বছর পর্যন্ত। মধ্যবাল্য: 5 বছর থেকে 9 বছর পর্যন্ত।
প্রান্তীয় বাল্য: 9 বছর থেকে 12 বছর পর্যন্ত।
প্রাপ্ত বয়স্ক স্তর : 21 বছর থেকে 70 বছর পর্যন্ত |
যৌবনাগম স্তর: 12 বছর থেকে 21 বছর পর্যন্ত। বার্ধক্য স্তর : 70 বছর থেকে মৃত্যু পর্যন্ত |
শিশুর জীবনবিকাশে বংশগতি পরিবেশের গুরুত্ব
1. সঠিকভাবে বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় বংশগতি এবং পরিবেশের মধ্যে সম্পর্ক এত গভীর যে শিশুর
জীবনবিকাশে পৃথকভাবে এদের কোনো একটি প্রভাব পরিমাপ করা সম্ভব নয়।
2. বংশধারা সুত্রে প্রাপ্ত গুণাবলী পরিবেশের বিভিন্ন উপাদানের সঙ্গে মিথস্ক্রিয়ার মাধ্যমে বিকশিত হয় । অনুকূল
পরিবেশে যেমন শিশুর সুস্থ ও স্বাভাবিক বিকাশলাভের সুযোগ ঘটে, একইভাবে পরিবেশ যথাযথ না হলে বিকাশ
ব্যাহত হয়।
3. অন্যদিকে পরিবেশ এককভাবে কিছু করতে পারে না। বংশধারা ব্যতীত পরিবেশ অর্থহীন। শিশুর
জীবনবিকাশে বংশগতি ও পরিবেশ উভয়ই সমগুরুত্ব সম্পন্ন এবং অপরিহার্য। একটি অপরটির বিপরীত নয় |
বরং একে অপরের পরিপুরক। উডওয়ার্থ ও মারকুইস (Woodworth and Marquis, 1948)-এর মতে,
বংশগতি ও পরিবেশের মধ্যে সম্পর্ক সমষ্টির নয়, বরং গুণফলের | গাণিতিক অর্থে
জীবন বিকাশ = বংশগতি × পরিবেশ [ (বংশগতি + পরিবেশ) নয়]
পিঁয়াজের জ্ঞানমূলক বিকাশের তত্ত্ব
জ্ঞানমূলক বিকাশ হল মানসিক ক্ষমতা ও সামর্থ্যের বিকাশ যা ব্যক্তিকে সদা পরিবর্তনশীল পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে চলতে সাহায্য করে।
জ্ঞানমূলক বিকাশের বৈশিষ্ট্য:
[i] জন্ম থেকে শুরু হয়।
[ii] বছরে বছরে পরিবর্তিত হয়।
[ii] উপযুক্ত পরিবেশ দ্বারা প্রভাবিত হয়।
[iv] শিখনের ওপর নির্ভরশীল |
জ্ঞানমূলক বিকাশ প্রক্রিয়ার অন্তর্গত বিষয়সমূহ:
[i] সংবেদন প্রত্যক্ষণ।
[ii] ধারণা গঠন।
[iii] ভাষার বিকাশ|
[iv] স্মৃতির বিকাশ
[v] বুদ্ধির বিকাশ।
[vi] চিন্তার বিকাশ ও
[vii] সমস্যা সমাধান ক্ষমতার বিকাশ।
জ্ঞানমূলক/প্রজ্ঞামূলক বিকাশের জন্য দায়ী প্রক্রিয়াসমূহ:
[i] পরিণমন ( maturation) – শারীরিক বিকাশ, পেশী ও স্নায়ুতন্ত্রের বিকাশ।
[ii] অভিজ্ঞতা—[a] প্রতিক্রিয়ার মাধ্যমে অভিজ্ঞতা অর্জন;
[b]ব্যবহারের মাধ্যমে বস্তু সম্পর্কে অভিজ্ঞতা অর্জন
।[iii] সামাজিক মিথস্ক্রিয়া
[iv] ভারসাম্য
- শিশুর জ্ঞানমূলক বিকাশের সূচনা হয় স্পর্শ, দর্শন, স্বাদ ইত্যাদি প্রতিক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে।
জীবন বিকাশের সৃজনাত্মক তত্ত্বের (Constructive Theory) প্রবক্তা হলেন পিঁয়াজে এবং কোহলবার্গ। 7
ব্যক্তির নিজস্ব সংগঠন ও পরিবেশের উদ্দীপনার মধ্যে পারস্পরিক ক্রিয়ার দরুণ ব্যক্তিজীবনের জ্ঞানমূলক
বিকাশ ঘটে থাকে। কোনো মুহূর্তে অর্জিত তথ্যসমূহের একক সংগঠন হল স্কিমা।
জন্মগত স্কিমা হল— চোষন করা, দর্শন, স্পর্শ, আঁকড়ে ধরে রাখা।
স্কিমা সম্প্রসারণে দুটি প্রক্রিয়া সক্রিয় হয়—
- অভিযোজন (adaptation) 2. সাংগঠনিকরণ (organisation)
- অভিযোজন দুটি প্রক্রিয়ার সমন্বয়:- আত্তীকরণ (assimilation) ও সহযোজন (accomodation)
- আত্তীকরণ হল প্রাণীর আত্মসংরক্ষণ প্রবণতা। আত্তীকরণ হল স্কিমা সংগঠনের মধ্যে নতুন তথ্য, চিন্তা
ধারনা বা ভাবের সংযোজন।
- সহযোজন হল নতুন তথ্য, চিন্তা, ভাব ইত্যাদি। প্রয়োজনমতো পরিবর্তন করে স্কিমার মধ্যে যুক্ত করা বা
বর্তমান স্কিমার (existing schema) পরিবর্তন |
- সহযোজন হল প্রাণীর আচরণ পরিবর্তনের প্রক্রিয়া। 16 শুদ্ধ সহযোজন প্রক্রিয়া হল অনুকরণ (imitation)।
- অভিযোজন হল আত্তীকরণ ও সহযোজনের মাধ্যমে প্রাকৃতিক ও সামাজিক পরিবেশের সঙ্গে সামঞ্জস্য বিধান।
- স্কিমা সম্প্রসারিত হয়ে জটিল কাজ করলে তাকে বলে সাংগঠনিকরণ।
- আঁকড়ে ধরে রাখা ( grasping) স্কিমা সম্প্রসারিত হলে শিশু বইয়ের পাতা ধরে ওল্টাতে পারে।
- শিশু যে ধারণাগুলির সাহায্যে সক্রিয় চিন্তন করে থাকে তাদের অপারেশন (সক্রিয়তা) বলা হয়। 2 তিনটি
মুখ্য অপারেশন হল—শ্রেণি, সম্পর্ক এবং সংখ্যা।
- প্রজ্ঞা সক্রিয়তা (cognitive operation): সংরক্ষণ, ক্রম নির্ণয়, শ্রেণিকরণ এবং সংখ্যার ধারণা— – এই
অপারেশনগুলি সংগঠিত হয়ে ভারসাম্য তৈরী করে। একে পিঁয়াজে প্রজ্ঞা সক্রিয়তা বলেছেন।
- যৌক্তিক বা নিয়মতান্ত্রিক সক্রিয়তা স্তরের প্রধান বৈশিষ্ট্য হল—প্রকল্পভিত্তিক অবরোহী চিন্তন (hypothetical
deductive thinking)। এই স্তরে ব্যক্তি সম্ভাবনার পরিপ্রেক্ষিতে যুক্তি গঠন করে।
Read More:- SSC recruitment 2022|Delhi Police Notification released| Head Constable| Apply online & Other Details
