Environmental Science Questions | Most Important Suggestions For WB Primary Tet, Upper Tet

Environmental Science Questions

Environmental Science Questions | Most Important Suggestions For WB Primary Tet, Upper Tet: Environmental Science is so important a subject that everyone has to study due to the purpose of the Exam syllabus. We all need to study it well. In previous days Evs was meant for our Atmosphere. But now the meaning has changed. It is the Subject that includes social issues. Today in this chapter Smart Knowledge is here with a huge bunch of Environmental Science QuestionsTo make your preparation smarter keep attached to us.

Environmental Science Questions:

চিরাচরিত জ্বালানি সম্পদ (Conventional Fuel Resources)

1. কয়লা কী?

Ans: কয়লা একটি দাহ্য (combustible) পাললিক শিলা যাকে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা হয়। কয়লার রং কালো থেকে গাঢ় বাদামি। কয়লা কোনো খনিজ (mineral) নয়। তবে কয়লার মধ্যে নানা খনিজ পদার্থ আছে।

হিলি দিয়ে কয়লা আমদানি শুরু – শেয়ার বিজ

2.  কয়লা কী খনিজ?

Ans: খনিজ (mineral) হল অজৈব পদার্থ। কয়লা জৈব পদার্থ থেকে সৃষ্টি হয়। তাই কয়লা হল জৈব যৌগ (organic compound) এই কারণে কয়লাকে খনিজ বলা হয় না। কয়লা হল দাহ্য শিলা।

3. কয়লার মধ্যে কী কী খনিজ প্রধানত পাওয়া যায়?

Ans: কয়লার মধ্যে প্রায় 120 রকমের খনিজের সন্ধান পাওয়া যায়। এর মধ্যে কোয়ার্জ, কেয়োলিনাইট, পাইরাইট, ক্যালসাইট প্রভৃতি খনিজগুলি প্রধান।

4. কয়লা কী ধরনের সম্পদ?

Ans: কয়লা অনিত্য, ক্ষয়িষ্ণু, ভারহ্রাসমান (weight-loosing), অপুনর্ভব (conventional) সীমিত সম্পদ। কয়লা চিরাচরিত শক্তির অন্যতম উৎস।

5. কীভাবে এবং কখন কয়লার উৎপত্তি হয়েছে?

Ans: আজ থেকে প্রায় 30 কোটি বছর আগে কার্বোনিফেরাস (Carboniferous) উপযুগে (period) এবং 6-7 কোটি বছর আগে টার্সিয়ারি (Tertiary) উপযুগে ভূ-আলোড়ন ও সমুদ্রতলের ওঠানামার জন্য প্রাচীন বনভূমি মাটির নীচে চাপা পড়ে যায়। কালক্রমে ভূগর্ভের চাপ ও তাপের মিলিত প্রভাবে গাছপালার কাণ্ডের মধ্যে সঞ্চিত কার্বন রাসায়নিক পরিবর্তনের মধ্যে দিয়ে কয়লায় রূপান্তরিত হয়।

6. কয়লার ব্যবহার কী?

Ans: কয়লা ব্যবহার করা হয় মূলত যে কাজে সেগুলি হল—

(1) তাপ ও বাষ্পের সাহায্যে যন্ত্রপাতি চালনার কাজে;

(2) তাপবিদ্যুৎ উৎপাদনে;

(3) ঘর-গৃহস্থালির কাজে;

(4) শীতের দেশে ঘর গরম রাখার জন্য;

(5) বাতচুল্লিতে (blast furnace) ধাতু নিষ্কাশনের কাজে;

(6) কয়লাভিত্তিক রাসায়নিক শিল্পের উপজাত দ্রব্যগুলিকে কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহার করে কীটনাশক, সুগন্ধ দ্রব্য, রং ইত্যাদি উৎপাদনের জন্য।

7. অঙ্গার বা কার্বনের পরিমাণ অনুযায়ী কয়লা কয় ধরনের ও কী কী?

Ans: অঙ্গার বা কার্বন-এর পরিমাণ অনুযায়ী কয়লা চার প্রকার। যেমন—পিট, লিগনাইট, বিটুমিনাস এবং অ্যানথ্রাসাইট।

8. ভূতাত্ত্বিক কাল অনুসারে কয়লা কয় ধরনের ও কী কী?

Ans: ভূতাত্ত্বিক কাল অনুসারে কয়লা দুধরনের, যেমন-

(1) টার্মিয়ারি (Tertiary) কয়লা (যা লিগনাইট কয়লা নামে পরিচিত) ও

(2) কার্বোনিফেরাস (Carboniferous) কয়লা বা গন্ডোয়ানা কয়লা (Gondwana coal) (যা বিটুমিনাস ও অ্যানথ্রাসাইট নামে পরিচিত)।

9. পিট-এর বৈশিষ্ট্য কী?

Ans: পিট (peat) প্রাথমিক পর্যায়ের অত্যন্ত নিকৃষ্ট মানের নবীন কয়লা। এতে অঙ্গারের পরিমাণ 35 শতাংশের কম। উদ্বায়ী পদার্থ (volatile matter) ও অপদ্রব্য (impurities) প্রায় 20-35 শতাংশ। বাকিটুকু জলীয় বাষ্প। পিট জ্বালালে প্রচুর ধোঁয়া হয়। পিট রপ্তানি হয় না।

10. লিগনাইট কী ধরনের কয়লা?

Ans: লিগনাইট (Lignite) হল টার্সিয়ারি উপযুগের নিরেস কয়লা। এতে কার্বন বা অঙ্গারের পরিমাণ 35-50 শতাংশ। উদ্বায়ী পদার্থ (volatile matter) ও অপদ্রব্য (impurities) প্রায় 15-20 শতাংশ। বাকিটুকু জলীয় বাষ্প। লিগনাইটের রং বাদামি। সে কারণে একে বাদামি কয়লা বা ব্রাউন কোল (Brown Coal) বলে। লিগনাইট জ্বালানো সহজ। তবে আগুন দীর্ঘস্থায়ী নয়। অগ্নিশিখা পীতাভ। আগুনের সংস্পর্শে প্রচুর ধোঁয়া হয়। দহন পরবর্তী ছাই-এর পরিমাণ প্রচুর। পৃথিবীর মোট উৎপাদিত কয়লার প্রায় 15 শতাংশ লিগনাইট শ্রেণির।

11. লিগনাইট কয়লা কী কাজে লাগে?

Ans: তাপবিদ্যুৎ ও কয়লার গুল বা ব্রিকেট (briquette) উৎপাদন, শীতপ্রধান দেশে ঘর গরম রাখার কাজ (central (heating) ইত্যাদি বিভিন্ন প্রয়োজনে লিগনাইট কয়লা ব্যবহার করা হয়। জার্মানি, হাঙ্গেরি, আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, রাশিয়া, কানাডা, ভারত প্রভৃতি হল লিগনাইট কয়লা উৎপাদক দেশ।

12. বিটুমিনাস কী ধরনের কয়লা?

Ans: বিটুমিনাস (Bituminous) মধ্যম মানের কয়লা। এতে কার্বন বা অঙ্গারের পরিমাণ 60-80 শতাংশ। উদ্বায়ী পদার্থ (volatile matter) ও অপদ্রব্য (impurities) 10-30 শতাংশ। বাকিটুকু জলীয় বাষ্প। বিটুমিনাস করলা জ্বালানো কষ্টসাধ্য নয়। এর আগুন দীর্ঘস্থায়ী। অগ্নিশিখা পীত-নীলাভ। আগুনের সংস্পর্শে ধোঁয়া বেশি হয় না। হল পরবর্তী ছাই-এর পরিমাণ মাঝামাঝি। পৃথিবীর মোট উৎপাদিত কয়লার প্রায় ৪০ শতাংশ বিটুমিনাস শ্রেণির।

13. বিটুমিনাস কয়লা কী কাজে লাগে?

Ans: ধাতু নিষ্কাশন, শিল্পক্ষেত্রে জ্বালানি, তাপবিদ্যুৎ উৎপাদন (thermal power), পরিবহনের কাজ ইত্যাদি নানা ক্ষেত্রে বিটুমিনাস কয়লার ব্যাপক ব্যবহার লক্ষ করা যায়। আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, রাশিয়া, চিন, ভারত বিটুমিনাস কয়লা উৎপাদক দেশ।

14. অ্যানথ্রাসাইট কী ধরনের কয়লা?

Ans: পৃথিবীর যাবতীয় কয়লার মধ্যে অ্যানথ্রাসাইট (Anthracite) শ্রেষ্ঠ। এতে কার্বন বা অঙ্গারের পরিমাণ 85-95 শতাংশ। উদ্বায়ী পদার্থ (volatile matter) ও অপদ্রব্য (impurities) মাত্র 3-5 শতাংশ। অ্যানথ্রাসাইট কয়লা জ্বালানো কঠিন। এর আগুন দীর্ঘস্থায়ী। অগ্নিশিখা নীলাভ। আগুনের সংস্পর্শে ধোঁয়া প্রায় হয় না। দহন পরবর্তী ছাই-এর পরিমাণ সামান্য। পৃথিবীর মোট উৎপাদিত কয়লার প্রায় 5 শতাংশ অ্যানথ্রাসাইট শ্রেণির।

15. অ্যানথ্রাসাইট কয়লা কী কাজে লাগে?

Ans: ধাতু নিষ্কাশন, শিল্পে জ্বালানি, কয়লা গ্যাস (coal gas) উৎপাদন, তাপবিদ্যুৎ উৎপাদন ইত্যাদি বিভিন্ন কাজে অ্যানথ্রাসাইট কয়লা ব্যবহৃত হয়। আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, রাশিয়া, জার্মানি, ভিয়েতনাম ইত্যাদি অ্যানথ্রাসাইট কয়লা উৎপাদক দেশ।

16. কয়লার উপজাত দ্রব্যগুলি কী কী? এরা কী কাজে লাগে?

Ans: কোক (coke), আলকাতরা (tar), গ্যাস (gas), স্যাকারিন (saccharin), তেল (oil), অ্যামোনিয়াম সালফেট [(NH)SO.] ইত্যাদি হল কয়লার প্রধান উপজাত সামগ্রী। কার্বোনাইজেশন (Carbonisation) পদ্ধতির মাধ্যমে কয়লার অধিকাংশ উপজাত দ্রব্য আহরণ করা হয়। আলকাতরাকে পাতন ক্রিয়ার মাধ্যমে পরিশ্রুত করে আরও বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থ সংগ্রহ করা হয়, যেমন- বেনজিন, টোলুয়েন, প্যারাজাইলিন, ন্যাপথালিন, ফেনল, ক্রিসোল, জাইলেনোল, পাইরিডিন, অ্যানথ্রাসিন ইত্যাদি। বিভিন্ন ধরনের কীটনাশক, স্যাকারিন, বিস্ফোরক দ্রব্য, ওষুধ, রং, সার প্রভৃতি উৎপাদনের কাজে এই রাসায়নিকগুলি ব্যবহার করা হয়।

17. ভারতে কোন জাতের কয়লা সবচেয়ে বেশি পাওয়া যায়?

Ans: ভারতে বিটুমিনাস কয়লা সবচেয়ে বেশি পাওয়া যায়।

18. ভারতের কোথায় বিটুমিনাস কয়লা পাওয়া যায়?

Ans: ভারতের যে সমস্ত রাজ্যে বিটুমিনাস কয়লা পাওয়া যায়, সেগুলি হল – অন্ধ্রপ্রদেশ, বিহার, ছত্তিশগড়, ঝাড়খণ্ড, মধ্যপ্রদেশ, ওড়িশা, পশ্চিমবঙ্গ।

19. ভারতের কোথায় লিগনাইট কয়লা পাওয়া যায় ?

Ans: তামিলনাড়ুর নেভেলি, গুজরাটের পানানম্রো, রাজস্থানের পালানা অঞ্চলে লিগনাইট কয়লা পাওয়া যায়।

20. ভারতের কোথায় অ্যানথ্রাসাইট কয়লা পাওয়া যায়?

Ans: জম্মু ও কাশ্মীরে অল্প পরিমাণে অ্যানথ্রাসাইট কয়লা পাওয়া যায়।

21. পৃথিবীতে আনুমানিক আর কত বছর কয়লা পাওয়া যাবে?

Ans: বর্তমানে যে হারে কয়লা তোলা হয় ও এখন পৃথিবীতে যে কয়লা রয়েছে তার প্রেক্ষিতে বিজ্ঞানীরা মনে করেন যে পৃথিবীতে আগামী প্রায় 110 বছর কয়লা পাওয়া যাবে।

22. পশ্চিমবঙ্গে কোথায় কয়লা পাওয়া যায়?

Ans: পশ্চিমবঙ্গের রানিগঞ্জ ও বীরভূমের দেওচা পচামি (Deocha Pachami) অঞ্চলে কয়লা পাওয়া যায়।

23. দেওচা-পচামি কয়লাখনি সম্পর্কে পশ্চিমবঙ্গের আগ্রহ কোথায়?

Ans: দেওচা-পচামি কয়লাখনিটি বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম কয়লাখনি বলে ভূবিজ্ঞানীরা মনে করেন। এর সঞ্চিত কয়লার পরিমাণ প্রায় 200 কোটি টন। এই কয়লা পশ্চিমবঙ্গ ও প্রতিবেশী রাজ্যের প্রয়োজন মেটাবে এবং এই কয়লাখনিকে কেন্দ্র করে প্রচুর বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানের সুযোগ আছে।

24. কয়লাখনি থেকে জ্বালানি হিসেবে কয়লা ছাড়া আর কোন্ জ্বালানি পাওয়া যায়?

Ans: কয়লা ছাড়া কয়লাখনি থেকে জ্বালানি হিসেবে মিথেন (CH4) গ্যাস পাওয়া যায়। এই গ্যাসকে বলে কোল বেড মিথেন (Coal Bed Methane সংক্ষেপে CBM)। একে রান্নার জ্বালানি গ্যাস হিসেবে ব্যবহার করা যায়। বর্তমানে রানিগঞ্জ কয়লাখনি থেকে CBM তুলে এনে তা দুর্গাপুর, আসানসোল ও সংলগ্ন অঞ্চলে পাইপ লাইনের মাধ্যমে সরবরাহ করার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

25. ভারতের ও পশ্চিমবঙ্গের প্রাচীনতম কয়লাখনি কোথায় অবস্থিত?

Ans: ভারতের ও পশ্চিমবঙ্গের প্রাচীনতম কয়লাখনি রানিগঞ্জে অবস্থিত।

26. পেট্রোলিয়াম কথাটির অর্থ কী?

Ans: পেট্রোলিয়াম কথাটি ল্যাটিন “পেট্রা” (মানে পাথর বা শিলা) “অলিয়াম” (মানে তেল) – এই দুটি শব্দ থেকে এসেছে। অর্থাৎ‍ কঠিন শিলার মধ্যে থাকা তেলকে পেট্রোলিয়াম বলে। পেট্রোলিয়ামকে বাংলা পরিভাষায় খনিজ তেল বলা হয়।

Petroleum industry Courses [2022] | Learn Online for Free | Class Central

27. খনিজ তেলের উৎপত্তি কীভাবে ঘটেছে?

Ans: (1) জৈব পদার্থের রাসায়নিক রূপান্তরের ফলে খনিজ তেলের উৎপত্তি হয়েছে। এই তত্ত্ব অনুসারে 5-6 কোটি বছর আগে টার্সিয়ারি যুগের পাললিক শিলাস্তরের মধ্যে মৃত জীবদেহ, উদ্ভিদকোশ, অ্যালগি প্রভৃতি সঞ্চিত হয়ে। চাপ, তাপ ও রাসায়নিক বিবর্তনের মাধ্যমে খনিজ তেলের সৃষ্টি হয়েছে। জীবদেহের পচন ও পরিবর্তন চলাকালীন,

(2) অজৈবতত্ত্বের সমর্থক রুশ বিজ্ঞানী শাখিনিনের (Sakhinin) মত অনুসারে শিলার মধ্যে সঞ্চিত কার্বাইড ও ব্যাকটেরিয়া অক্সিজেন ও নাইট্রোজেন অপসারণ করে। ফলে হাইড্রোকার্বন তৈরির পদ্ধতি সহজ ও দ্রুত হয়।

28. অয়েল ট্যাপ কী?

Ans: তেল ভরতি শিলাস্তরের ওপর অপ্রবেশ্য শিলার ঢাকনা থাকা দরকার। নচেৎ যাযাবর মানুষদের মতো খনিজ তেলও এক স্থান থেকে অন্য স্থানে পালিয়ে যায়। জলের রাসায়নিক বিক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে খনিজ তেল সৃষ্টি হয়েছে। বাণিজ্যিক ভাবে তেল উত্তোলনের উপযোগী সঞ্চিত তেলের ভাণ্ডারকে অয়েল ট্র্যাপ (oil trap) বলে। গ্লিট, বালিপাথর, চুনাপাথর ইত্যাদি শিলার ছিদ্রের মধ্যে মৌচাকের মধুর মতো খনিজ তেল জমা থাকে।

29. কেরোজেন কী?

Ans: কেরোজেন (Kerogen) হল পাললিক শিলায় মজুত কঠিন জৈব পদার্থ যাকে উত্তপ্ত করলে খনিজ তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাস পাওয়া যায়।

30. খনিজ তেল কয় ধরনের ও কী কী?

Ans: রং, রাসায়নিক গঠন, ঘনত্ব ইত্যাদি অনুসারে খনিজ তেলকে তিন ভাগে ভাগ করা যায়, যেমন (I) প্যারাফিন সমৃদ্ধ খনিজ তেল, (2) অ্যাসফল্ট সমৃদ্ধ খনিজ তেল (3) মিশ্র প্রকৃতির খনিজ তেল।

31. প্যারাফিন সমৃদ্ধ খনিজ তেল কী?

Ans: প্যারাফিন সমৃদ্ধ খনিজ তেল মোম, পেট্রোল, ডিজেল, কেরোসিন, পিচ্ছিলকারক তেল (lubricating oil) ইত্যাদি উপজাত দ্রব্য উৎপাদনের উপযোগী। এই তেল অতি উৎকৃষ্ট মানের। এর রং সবুজ থেকে বাদামি। আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভেনিয়া এবং ইরান, ইরাক, রুমানিয়া অঞ্চলের তেল প্যারাফিন সমৃদ্ধ।

32. অ্যাসফল্ট সমৃদ্ধ খনিজ তেল কী?

Ans: বিটুমেন টার বা পিচ বা অ্যাসফল্ট (asphalt) মিশ্রিত তেল হল আঠালো, চটচটে এবং কালো রঙের, যেমন ভেনেজুয়েলা এবং আজারবাইজানের বাকু অঞ্চলের তেল। এ জাতীয় তেল থেকে পিচ, ন্যাপথা ইত্যাদি সংগ্রহ করা যায় ।

33. মিশ্র প্রকৃতির খনিজ তেল কী?

Ans: প্রায় আধাআধি পরিমাণ প্যারাফিন ও ন্যাপথিন (napthene) বা অ্যাসফল্ট মিশ্রিত তেল হল মিশ্র প্রকৃতির খনিজ তেল। এই তেল থেকেও জ্বালানি এবং নানা উপজাত সামগ্রী উৎপাদন করা যায়। আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের ওকলাহোমা, টেকসাস রাজ্য ও মেক্সিকো অঞ্চলে মিশ্র প্রকৃতির তেল পাওয়া যায়।

34. খনিজ তেলের উপজাত সামগ্রীগুলি কী কী?

Ans: খনিজ তেল হল 83–87% কার্বন বা অঙ্গার এবং 11–14% হাইড্রোজেনের রাসায়নিক যৌগ। খনিজ তেলকে শোধন বা পরিশ্রুত করে নানা ধরনের তরল, কঠিন ও গ্যাসীয় উপজাত (by-products) সামগ্রী পাওয়া যায়, যেমন—

(1) মোটরগাড়িতে ব্যবহারের উপযোগী গ্যাসোলিন (gasoline),

(2) বিমানে ব্যবহারের জন্য অ্যাভিয়েশন গ্যাসোলিন (aviation gasoline), পেট্রোলিয়াম ইথার (petroleum ether) যা বিভিন্ন ধরনের তেল ও পিচ্ছিলকারক দ্রব্য উৎপাদনের জন্য ব্যবহৃত হয়,

(3) সাদা স্পিরিট (white spirit), ন্যাপথা, ভেসলিন, গ্রিজ (grease),

(4) ডিজেল, কেরোসিন, লুব্রিকেটিং তেল, পেট্রোল্যাটাম ওয়াক্স (petrolatum wax), [ধাতুর অবক্ষয় রোধ করার কাজে ব্যবহৃত হয়],

(5) অ্যাসফল্ট বিটুমেন, প্যারাফিন মোম [পালিশ, মোমবাতি, মোমকাগজ প্রভৃতি তৈরির জন্য দরকারি),

(6) কৃত্রিম তন্তু উৎপাদনের উপযোগী পলিথিন (polythene) – পলিভিনাইল (polyvinyl) ক্লোরাইড,

(7) প্লাস্টিক, কৃত্রিম রবার উৎপাদনের জন্য বুটেন (butane) থেকে সংগৃহীত বুটাডিন (butadiene) ইত্যাদি।

35. ভারতের কোথায় খনিজ তেল পাওয়া যায়?

Ans: ভারতের তিনটি অঞ্চলে খনিজ তেল পাওয়া যায়, যেমন

(1) উত্তর-পূর্ব ভারত : অসম (ডিগবয়, নাহারকাটিয়া, মোরান ইত্যাদি তৈলক্ষেত্র), অরুণাচল প্রদেশ (খারশাং নিংগরু তৈলক্ষেত্র)।

(2) পশ্চিম ভারত : আরব সাগরীয় দরিয়া অঞ্চল (বম্বে হাই); গুজরাত (ওলপাদ, কোসাম্বা, আঙ্কেলেশ্বর ইত্যাদি তৈলক্ষেত্র)।

(3) দক্ষিণ ভারত: তেলেঙ্গানা (রাজোল); তামিলনাড়ু (ভুবনগিরি, কোভিলাপ্পাক, নরিমানম ইত্যাদি

তৈলক্ষেত্র)।

36. সাধারণত কোন কোন অঞ্চলে খনিজ তেল পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি?

Ans: সাধারণত মরুভূমি, উপকূলের কাছে মহীসোপান (Continental shelf), বদ্বীপ ও সুমেরু কুমেরু অঞ্চলের পাললিক শিলাস্তরে খনিজ তেল পাওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি।

37. খনিজ তেলকে কীভাবে খোঁজা হয় বা অনুসন্ধান করা হয়?

Ans: খনিজ তেল অনুসন্ধানের জন্য যে সমস্ত পদ্ধতি অবলম্বন করা যায়, সেগুলি হল

(1) খনিজ তেল খোঁজার জন্য সমুদ্রগর্ভে ও স্থলভাগে সমীক্ষা চালানো হয়। এ বিষয়ে দূর-সংবেদন পদ্ধতি বা রিমোট সেনসিং (Remote Sensing); গ্র্যাভিটি অ্যানোমালি (Gravity anomaly) সমীক্ষা, চৌম্বকক্ষেত্র সমীক্ষা (Magnetic survey) ইত্যাদি উন্নত প্রযুক্তির সাহায্য নেওয়া হয়।

(2) তেল অনুসন্ধানের ক্ষেত্রে আধুনিক কলাকৌশল যেমন- পেট্রেল সফটওয়্যার (Petrel), মনটি কার্লো সিমুলেসন (Monte Carlo simulation) পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়।

38. খনিজ তেল কীভাবে সংরক্ষণ করা যায়?

Ans: (1) অচিরাচরিত শক্তির পূর্ণ ব্যবহার : সৌরশক্তি, বাতশক্তি, ভূ-তাপীয় শক্তি প্রভৃতি অচিরাচরিত শক্তিকে বেশি করে ব্যবহার করা সম্ভব হলে খনিজ তেলের চাহিদা কমানো যাবে। এই ভাবে খনিজ তেল সংরক্ষণ করা সম্ভব হবে।

(2) বিকল্প জ্বালানির বন্দোবস্ত : টার স্যান্ড (Tar Sand), অয়েল শেল (Oil Shale) প্রভৃতি তৈল উৎপাদক বিকল্প সম্পদগুলিকে ব্যবহার করা দরকার।

(3) অপচয় রোধ করার জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ : খনিজ তেলের অপচয় বিভিন্নভাবে হতে পারে, যেমন—

(a) প্রয়োজনের অতিরিক্ত ব্যবহার;

(b) নিম্নমানের প্রযুক্তির ব্যবহার;

(c) খনি দুর্ঘটনা বা খনিতে নাশকতামূলক কাজের ঘটনা;

(d) নিম্নমানের তৈলশোধন ব্যবস্থা ইত্যাদি। এই অপচয়গুলিকে নিয়ন্ত্রণ করে খনিজ তেল সংরক্ষণ করা যায়।

39. ওপেক (OPEC) কী ?

Ans: 1960 সালে ওপেক (OPEC) বা Organization of the Petroleum Exporting Countries নামে একটি সংগঠন গড়ে ওঠে। বর্তমানে (2018) 12টি খনিজ তেল রপ্তানিকারক দেশ ওপেক-এর সদস্য। 1960 সালের সেপ্টেম্বর মাসে বাগদাদে ওপেক-এর প্রথম অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। সৌদি আরব এই সংগঠনের নেতা দেশ। ভারত OPEC-এর সদস্য নয়।

40. ওপেক-এর গুরুত্ব কী?

Ans: ওপেক-এর সদস্য দেশগুলি পৃথিবীর খনিজ তেল সম্ভারের প্রায় ৪০ শতাংশ এবং প্রাকৃতিক গ্যাসের 40 শতাংশ নিয়ন্ত্রণ করে। বিশ্বের খনিজ তেলশোধন ক্ষমতার 13 শতাংশ ওপেক-এর সদস্য দেশগুলির অধীন। ফলে আন্তর্জাতিক বাজারে খনিজ তেলের উৎপাদন এবং খনিজ তেলের দাম ওপেকের ইচ্ছা মতো অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ হয়।

41. প্রাকৃতিক গ্যাস কী?

Ans: মিথেন, ইথেন, বুটেন, প্রপেন প্রভৃতি উদ্বায়ী হাইড্রোকার্বন বা গ্যাসের মিশ্রণকে প্রাকৃতিক গ্যাস বলে। খনিজ তেলের খনিতে অধিকাংশ সময়ই প্রাকৃতিক গ্যাস পাওয়া যায়। তবে তেলবিহীন শুধুমাত্র প্রাকৃতিক গ্যাস-ক্ষেত্রও পৃথিবীর বহু জায়গায় আবিষ্কৃত হয়েছে। প্রাকৃতিক গ্যাসের সঙ্গে নাইট্রোজেন, হাইড্রোজেন, হাইড্রোজেন সালফাইড, কার্বন ডাইঅক্সাইড, হিলিয়াম প্রভৃতি অন্যান্য গ্যাস পাওয়া যায়।

প্রাকৃতিক গ্যাস

42. প্রাকৃতিক গ্যাসের গুরুত্ব ও ব্যবহার কী?

Ans: প্রাকৃতিক গ্যাস জ্বালানি শক্তির অন্যতম উৎস। এটি ক্রমহ্রাসমান, গচ্ছিত, অপুনর্ভব ও সীমিত সম্পদ। প্রাকৃতিক গ্যাস যে সমস্ত কাজে ব্যবহার করা হয়, সেগুলি হল –

(1) জ্বালানি হিসেবে শিল্প এবং গৃহস্থালির কাজে।

(2) পেট্রো-রসায়ন শিল্পে কাঁচামাল হিসেবে।

(3) কৃত্রিম তন্ত্র, কীটনাশক, কৃত্রিম রবার, রং, প্লাস্টিক, অ্যালকোহল, অ্যামোনিয়া সার, নাইট্রেট, কার্বন ব্ল্যাক, কালি প্রভৃতি উপজাত দ্রব্যের উৎপাদন এবং পরবর্তী পর্যায়ে এই সামগ্রীগুলিকে কেন্দ্র করে নতুন শিল্প গড়ে তোলার জন্য।

(4) শীতপ্রধান অঞ্চলে ঘর গরম রাখা এবং রাস্তাঘাট আলোকিত করার কাজে।

এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে যে প্রাকৃতিক গ্যাস ব্যবহার করার ফলে ধোঁয়ার সৃষ্টি হয় না। ফলে পরিবেশ বষণের মাত্রা অনেক কম থাকে।

Read More:- Air Force Group-C Recruitment 2022|Apply offline, last date|All other information

Related Articles

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Latest Articles