Ecology And Ecosystem Questions | For WB Primary Tet, Upper Primary And SLST | Selective EVS Set

Ecology And Ecosystem Questions

Ecology And Ecosystem Questions | For WB Primary Tet, Upper Primary, And SLST | Selective EVS Set:- In WB Primary Tet along with Upper Primary and SLST Environmental Science/ Social Science is included with a huge bunch of chapters. Most of the chapters cover the natural resources, human body, Industries, adaptation, and evolution. This topic covers some selective question-answer discussions from Ecology and Ecosystem chapter. This is an interesting chapter with a lot of information which are very essential to be included in the Primary Tet Syllabus.

Ecology And Ecosystem Questions: ইকোলজি ও ইকোসিস্টেম

Ecology and Ecosystem are two words of supplementation. Earnest Hackle, 1866 first use the term Ecology and A G Tansley, 1935 first use the term Ecosystem. There is a details discussion below about Ecology And Ecosystem Questions.

 


 

1. বাস্তুসংস্থান বা বাস্তব্যবিদ্যা বা ইকোলজি (Ecology) বলতে কী বোঝায়?

প্রাণীবিজ্ঞানী হেকেল-এর মতে জীবের একটি সুনির্দিষ্ট পরিবেশে বেঁচে থাকার ঘটনা হল ‘ইকোলজি’। আক্ষরিক অর্থে ‘ইকোলজি’ কথাটির মানে হল বাসস্থান (home) সম্পর্কে জ্ঞান বা অধ্যয়ন।

  • আবার সামগ্রিক অর্থে জীবাণু, উদ্ভিদ, প্রাণী, মানুষের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক অনুসারে জৈব এবং অজৈব উপাদানগুলির মধ্যে সুনিয়ন্ত্রিত ও সক্রিয় ভাবে যে অবিরাম কাজ চলছে সেই বিষয়ে বিশদ জ্ঞান অর্জন করাকে বাস্তুসংস্থান বা ইকোলজি (Ecology) বলে।
  • দুটি গ্রিক শব্দ থেকে ইকোলজি কথাটির উদ্ভব হয়েছে। শব্দ দুটি হল যথাক্রমে “oikos” (মানে বাড়ি বা গৃহ বা বাসস্থান, ইংরেজিতে home) এবং “logos” (অর্থাৎ জ্ঞান বা knowledge) ।

2. ইকোলজি পাঠের উদ্দেশ্য কী?

ইকোলজি জানলে বিভিন্ন জীবের সংখ্যা অর্থাৎ “পপুলেশন” (population) সম্পর্কে ধারণা জন্মায়। তা ছাড়া, জীবের জিন ও কোশ সংক্রান্ত নানান তথ্য জানা যায়। কৃষিবিজ্ঞান, প্রাণীবিদ্যা, উদ্ভিদবিদ্যা, পরিবেশ বিজ্ঞান, ভূগোল প্রভৃতি বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখাগুলির মধ্যে মেলবন্ধনের সুযোগ বাড়ে। জৈব সম্পদের সংরক্ষণ আরও বাস্তবমুখী হয় এবং মানুষের সচেতনতা বাড়ে।  (Ecology And Ecosystem Questions)

3. সম্প্রদায় বাস্তুসংস্থান বা গোষ্ঠী বাস্তুসংস্থান বা সিনইকোলজি বা কমিউনিটি ইকোলজি কী?

কোনো নির্দিষ্ট স্থানে বসবাসকারী বিভিন্ন প্রজাতির জীবগোষ্ঠীকে সেই স্থানের পরিবেশ এবং ওই জীবগোষ্ঠীর মধ্যে সম্পর্কের ভিত্তিতে যখন আলোচনা করা হয়, তখন তাকে সম্প্রদায় বাস্তুসংস্থান বা গোষ্ঠী বাস্তুসংস্থান (Community ecology) বা সিন্‌ইকোলজি ও (Synecology) বলা হয়।

4. জনসংখ্যা বাস্তুসংস্থান বা অইকোলজি বা পপুলেশন ইকোলজি কাকে বলে?

কোনো নির্দিষ্ট স্থানে বসবাসকারী একটি প্রজাতির জনসংখ্যাকে যখন সেই স্থানের পরিবেশ এবং ওই প্রজাতির জনসংখ্যার ভিত্তিতে আলোচনা করা হয়, তখন তাকে জনসংখ্যা বাস্তুসংস্থান (Population ecology) বা অটইকোলজি-ও (Autecology) বলা হয়। বিভিন্ন প্রজাতির উদ্ভিদ ও প্রাণীর বন্টন বুঝতে অটইকোলজি সাহায্য করে। (Ecology And Ecosystem Questions)

5. মানব বাস্তুসংস্থান বা হিউম্যান ইকোলজি কাকে বলে?

মানুষকে কেন্দ্র করে বাস্তুতন্ত্র ও মানুষের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্কের আলোচনাকে মানব বাস্তুসংস্থান বা হিউম্যান ইকোলজি (Human Ecology) বলে।

6. বাস্তুতন্ত্র বা ইকোসিস্টেম কাকে বলে?

বাস্তুতন্ত্র বা বাস্তুরীতি বা ইকোসিস্টেম (Ecosystem) বলতে একটি নির্দিষ্ট স্থানের পরিবেশ, ওই পরিবেশে বসবাসকারী জীবগোষ্ঠী এবং ওই জীবগোষ্ঠী ও পরিবেশের মধ্যে পারস্পরিক বোঝায়।

  • পারস্পরিক সম্পর্কের ফলে উৎপন্ন অবস্থাকে জীববিজ্ঞানের দৃষ্টিকোণ থেকে বাস্তুতন্ত্রের সংজ্ঞা হল—
  • যে নির্দিষ্ট প্রণালীতে কোনো নির্দিষ্ট ভৌগোলিক অঞ্চলের জীবসম্প্রদায় নিজেদের মধ্যে এবং ওই অঞ্চলের জড় বা অজৈব উপাদানের সঙ্গে আদান-প্রদানের মাধ্যমে নিজের অস্তিত্ব রক্ষা করার জন্য উৎপন্ন উপাদানের বিনিময় ঘটায়, তাকে বাস্তুরীতি বা বাস্তুতন্ত্র (Ecosystem) বলে।

বাস্তুতন্ত্রের দুটি জনপ্রিয় সংজ্ঞা নীচে দেওয়া হল—

(1) লিন্ডেম্যান (Lindeman) 1942 সালে বাস্তুতন্ত্রের সংজ্ঞায় বলেছেন যে, বাস্তুতন্ত্র হল পারস্পরিকভাবে সম্পর্কিত এবং গতিশীল বা পরিবর্তনশীল প্রকৃতির ভৌত, রাসায়নিক ও জৈব অবস্থা।

(2) ওডাম (Odum) 1963 সালে বাস্তুতন্ত্র সম্পর্কে বলেছেন যে, বাস্তুতন্ত্র হল জীবগোষ্ঠী ও জড় পরিবেশের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক এবং এই সম্পর্কের মাধ্যমে একে অপরকে প্রভাবিত করার অবস্থা।

7.  ইকোসিস্টেম কথাটি প্রথম কে ব্যবহার করেন?

1935 সালে বিজ্ঞানী ট্যান্‌সলে (A G Tansley) সর্বপ্রথম ইকোসিস্টেম (Ecosystem) কথাটি ব্যবহার করেন।

8.  ইকোসিস্টেম বা বাস্তুতন্ত্রের বৈশিষ্ট্য কী?

ইকোসিস্টেম বা বাস্তুতন্ত্র হল একটি ক্রিয়াপদ্ধতি। এই পদ্ধতির সাহায্যে কোনো একটি বিশেষ অঞ্চলে বসবাসকারী উদ্ভিদ, প্রাণী ও মানুষ শুধু যে নিজেদের মধ্যেই সম্পর্ক তৈরি করে তাই নয়, ওই অঞ্চলের জড় উপাদান যেমন, মাটি, জল, বায়ু, সূর্যালোকের সঙ্গেও সম্পর্ক তৈরি করতে সমর্থ হয়। বাস্তুতন্ত্রের মূল ভিত্তি হল জড় জগৎ ও জীবজগৎ। (Ecology And Ecosystem Questions)

9. বায়োসিনোসিস বা বায়োসিনোস কী ?

বাস্তুতন্ত্রে কোনো বসতি-র (habitat) অন্তর্গত বিভিন্ন জীবের পারস্পরিক ক্রিয়াকে বায়োসিনোসিস (biocoenosis) বা বায়েসিনোস (biococnose) বলে।

10.  বায়োসিনোসিস কথাটি সর্বপ্রথম কে ব্যবহার করেন?

বায়োসিনোসিস কথাটি সর্বপ্রথম কার্ল মোবিয়াস (Karl Mobius) ব্যবহার করেন।

11.  বায়োজিওসিনোসিস কী?

বায়োজিওসিনোসিস (biogeocoenosis) বলতে বাস্তুতন্ত্রে কোনো বসতি (habitat) এবং ওই বসতির অন্তর্গত বিভিন্ন জীবের পারস্পরিক ক্রিয়াবিক্রিয়াকে বোঝায়।

12. বায়োজিওসিনোসিস কথাটি সর্বপ্রথম কে ব্যবহার করেন?

বায়োজিওসিনোসিস কথাটি সর্বপ্রথম সুকাচেভ (Sukachev) ব্যবহার করেন।

13. বাস্তুতন্ত্রের প্রধান নীতিগুলি কী কী?

বাস্তুতন্ত্রের প্রধান নীতিগুলি (Principles) হল —

(1) পরিবেশের একক হল বাস্তুতন্ত্র, যা পরিবেশের জড় ও জীবজ উপাদানের মিলিত ফসল।

(2) জীবমণ্ডল হল সবচেয়ে বড়ো বাস্তুতন্ত্র।

(3) বাস্তুতন্ত্রের প্রভাবে পৃথিবীতে প্রাণের অস্তিত্ব সুস্থায়ী (sustainable) হয়েছে।

(4) প্রাকৃতিক পরিবেশ ও সজীব উপাদানগুলি একে অন্যের ওপর ক্রিয়া করে ও প্রভাব বিস্তার করে।

(5) সৌরশক্তিকে ভিত্তি করে বাস্তুতন্ত্রের সমস্ত কাজ ঘটে চলেছে।

(6) কাজের হার (rate) এর বদল হলেও বাস্তুতন্ত্রে যে সমস্ত প্রাকৃতিক ও জৈব প্রণালীগুলি সুদূর অতীতে কাজ করেছে, তারা আজও কাজ করে চলেছে এবং ভবিষ্যতেও করবে।

(7) জীববৈচিত্র্য বাস্তুতন্ত্রের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করে।

(8) জীব যত ছোটো বা বড়োই হোক না কেন, বাস্তুতন্ত্রে প্রতিটি জীবের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে।

(9) জীব ভূ-রাসায়নিক চক্রের মাধ্যমে বাস্তুতন্ত্রে এবং জীবমণ্ডলে অজৈব এবং জৈব উপাদানগুলির পরিচলন ঘটে।

(10) পরিবেশের পরিবর্তনগুলির সঙ্গে যে বাস্তুতন্ত্র সামঞ্জস্য রাখতে পারে না, সেই বাস্তুতন্ত্রের স্থায়িত্ব নষ্ট হয়।

14. ডিপ ইকোলজি এবং শ্যালো ইকোলজি বলতে কী বোঝায়?

“ডিপ ইকোলজি” (Deep Ecology) হল পরিবেশ সংক্রান্ত একটি বিশেষ ধারণা বা আন্দোলন (movement) যেখানে মনে করা হয় যে পৃথিবী, উদ্ভিদ, প্রাণী ও মানুষের পরিবেশে সবার গুরুত্ব সমান। মানুষের কোনো বিশেষ গুরুত্ব নেই।

“শ্যালো ইকোলজি” (Shallow Ecology) বলতে মানুষের প্রয়োজনে পরিবেশের অস্তিত্ব রক্ষার ধারণাকে বোঝায়। শ্যালো ইকোলজির মূল কথা হল মানবকেন্দ্রিক পরিবেশ। অর্থাৎ পরিবেশের সেই উপাদান বা সেই অঞ্চলগুলির সুরক্ষার ব্যবস্থা করা জরুরি মানুষের কাছে যার অর্থনৈতিক উপযোগিতা আছে, যেমন—পর্যটনের উদ্দেশ্যে অরণ্যের সংরক্ষণ। (Ecology And Ecosystem Questions)

15. “ডিপ ইকোলজি” র ধারণা কে দিয়েছেন?

1973 সালে নরওয়ের প্রখ্যাত দার্শনিক ও পর্বতারোহী আরনি নেস (Ame Naess) সর্বপ্রথম “ডিপ ইকোলজি” (Deep Ecology) কথাটি ব্যবহার করেন।

  • “লাইট গ্রিন” শব্দটি বাস্তুতন্ত্র ও পরিবেশের ক্ষেত্রে কী অর্থ বহন করে? মানবকেন্দ্রিক পরিবেশ বা শ্যালো ইকোলজির ধারণা বা দর্শন (philosophy) -কে পরিবেশ বিজ্ঞানের ভাষায় “লাইট গ্রিন” (Light Green) বলা হয়।

Read More:- শিশুশিক্ষা ও শিশু মনস্তত্ত্ব MCQ | WB Primary Tet, Upper Primary ও SLST এর জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা

 বাস্তুতন্ত্রের উপাদান, গঠন ও কর্মপ্রণালী (Elements, Structure and Function of Ecosystem)

 

16. বাস্তুতন্ত্র বা বাস্তুরীতির উপাদানগুলি কী কী?

বাস্তুরীতি বা বাস্তুতন্ত্র দুটি প্রধান উপাদানে তৈরি। যথা-

(1) জড় বা অজীবজাত বা অ্যাবায়োটিক (Abiotic) উপাদান এবং

(2) সজীব বা জীবজাত বা বায়োটিক (Biotic) উপাদান।

সজীব উপাদানের মধ্যে রয়েছে উৎপাদক শ্রেণি, খাদক শ্রেণি ও বিয়োজক শ্রেণি।

17. বাস্তুতন্ত্রের জড় বা অজীবজাত বা অ্যাবায়োটিক উপাদান বলতে কী বোঝায়?

বাস্তুতন্ত্রের রাসায়নিক এবং ভৌত উপাদানগুলিকে জড়, অজীবজাত বা অ্যাবায়োটিক (Abiotic) উপাদান বলে।

18. বাস্তুতন্ত্রের জড় বা অ্যাবায়োটিক উপাদান কয় ধরনের ও কী কী?

বাস্তুতন্ত্রের জড় বা অ্যাবায়োটিক উপাদান তিন ধরনের, যেমন —-

(1) অজৈব পদার্থ : জীব ভূ-রাসায়নিক চক্রের মাধ্যমে অজৈব পদার্থ পরিবেশের মধ্যে সক্রিয় অবস্থায় থাকে ও পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখে।

যেমন- নাইট্রোজেন, অক্সিজেন, হাইড্রোজেন, ফসফরাস, সালফার প্রভৃতি।

(2) জৈব পদার্থ : জৈব পদার্থ জীবজগতের জৈব রাসায়নিক গঠন তৈরি করতে সাহায্য করে।

যেমন– প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, হিউমাস, ফ্যাট প্রভৃতি।

(3) ভৌত উপাদান : রাসায়নিক উপাদানগুলি ছাড়াও বাস্তুরীতির মধ্যে কিছু ভৌত বা প্রাকৃতিক উপাদান রয়েছে।

এগুলি হল— সূর্যালোক, বৃষ্টিপাত, তাপ, বায়ু ইত্যাদি। (Ecology And Ecosystem Questions)

19. বাস্তুতন্ত্রের সজীব বা জীবজাত বা বায়োটিক উপাদান বলতে কী বোঝায়?

ব্যস্তুতন্ত্রের সঞ্জীব (Biotic) উপাদান বলতে উদ্ভিদ, প্রাণী ও মানুষকে বোঝায় কারণ এদের মধ্যে প্রাণের বিকাশ ঘটেছে।

20. বাস্তুতন্ত্রের সজীব বা বায়োটিক উপাদান কয়প্রকার ও কী কী?

বাস্তুতন্ত্রের সজীব উপাদানগুলিকে দুভাগে ভাগ করা যায়। যথা—

(1) স্বভোজী (Autotrophs) বা উৎপাদক (Producers) ও

(2) পরভোজী (Heterotrophs) বা খাদক (Consumers) উপাদান।

21. স্বভোজী জীব বা উৎপাদক বা অটোট্রফিক উপাদান কী?

স্বভোজী উপাদান (Autotrophic Components) বলতে বাস্তুতন্ত্রের মধ্যে সেইসব জীবকে বোঝায়, যেগুলি সৌরশক্তি শোষণ করে কার্বন, হাইড্রোজেন, অক্সিজেন প্রভৃতি বিভিন্ন অজৈব উপাদানের সাহায্যে খাদ্য তৈরি করতে পারে।

  • শৈবাল, সবুজ উদ্ভিদ সালোক সংশ্লেষকারী ব্যাকটেরিয়া প্রভৃতি হল বাস্তুতন্ত্রের স্বভোজী উপাদানের উদাহরণ। এই উপাদানগুলি শুধুমাত্র খাদ্য প্রস্তুত করতে পারে বলে অর্থাৎ নিজেদের খাদ্য সংশ্লেষে সক্ষম বলে, এদের উৎপাদক বা প্রডিউসার (Producers) বলে।

22. ফাইটোসিনোসিস কী?

ফাইটোসিনোসিস হল উৎপাদক বা স্বভোজী জীব। বায়োজিওসিনোসিসের অন্তর্গত পরস্পর ক্রিয়াশীল সমস্ত উদ্ভিদ সম্প্রদায়কে ফাইটোসিনোসিস (Phytocenosis) বলে।

23.  খাদক বা পরভোজী বা হেটেরোট্রফিক উপাদান কী?

বাস্তুতন্ত্রের মধ্যে যে সমস্ত জীব নিজের খাদ্য উৎপাদন করতে পারে না এবং খাদ্যের জন্য উৎপাদকের ওপর নির্ভরশীল, তাদের খাদক বা পরভোজী উপাদান (Heterotrophic Components) বা কনজিউমার (Consumers) বলে। (Ecology And Ecosystem Questions)

24. খাদ্যাভ্যাস বা খাদ্যের ধরন অনুসারে খাদক প্রাণীদের কয় ভাগে ভাগ করা হয় ও কী কী?

খাদ্যাভ্যাস বা খাদ্যের ধরন অনুযায়ী খাদক প্রাণীদের তিন ভাগে ভাগ করা হয়, যেমন

(1) তৃণভোজী খাদক বা হার্বিভোর (Herbivores),

(2) মাংসাশী- স্তন্যপায়ী খাদক বা কার্নিভোর (Carnivores), এবং

(3) সর্বভুক খাদক বা ওমনিভোর (Omnivores)।

25. তৃণভোজী খাদক বা হার্বিডোর কাদের বলে?

খাদ্যের জন্য যে সমস্ত খাদক প্রাণী গাছপালা, লতা-পাতা খেয়ে বেঁচে থাকে তাদের শাকাশী বা তৃণভোজী খাদক বা হার্বিভোর (Herbivores) বলে।

যেমন— গোরু, ছাগল, ভেড়া ইত্যাদি।

26. মাংসাশী খাদক বা কার্নিভোর কাদের বলে?

খাদ্যের জন্য যে সমস্ত মাংসাশী প্রাণী খাদক হিসেবে অন্যান্য প্রাণীদের খেয়ে বেঁচে থাকে এদের মাংসাশী খাদক প্রাণী বা কার্নিভোর (Carnivores) বলে।

যেমন- বাঘ, সিংহ ইত্যাদি।

27. সর্বভুক খাদক বা ওমনিভোর কী?

খাদ্যের জন্য যে সমস্ত প্রাণী খাদক হিসেবে উদ্ভিদ এবং অন্যান্য জীবজন্তুকে খেয়ে বেঁচে থাকে তাদের সর্বভুক খাদক বা ওমনিভোর (Omnivores) বলে।

যেমন— মানুষ।

28. খাদ্য-খাদক সম্পর্কের স্তর অনুসারে ম্যাক্রোকনজিউমার অর্থাৎ খাদক প্রাণীদের কয় ভাগে ভাগ করা যায় ও কী কী?

খাদ্য-খাদক সম্পর্কের স্তর অনুসারে ম্যাক্রোকনজিউমার বা খাদক প্রাণীদের চার ভাগে ভাগ করা হয়, যথা –

(1) প্রাথমিক খাদক (Primary Consumers)

(2) দ্বিতীয় স্তরের খাদক (Secondary Consumers),

(3) তৃতীয় স্তরের খাদক (Tertiary Consumers) এবং

(4) চতুর্থ স্তরের খাদক (Quaternary Consumers)।

29. জুমিনোসিস কী ?

জুসিনোসিস হল প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ স্তরের খাদক। জুসিনোসিস (Zoocenosis) বায়োজিওসিনোসিসের অন্তর্গত সমস্ত প্রাণী সম্প্রদায়কে বোঝায়, যারা পরস্পর খাদ্যখাদক সম্পর্কের ভিত্তিতে বলতে ক্রিয়া করে। (Ecology And Ecosystem Questions)

30. প্রাথমিক খাদক কাদের বলে?

যে সমস্ত খাদক খাদ্যের জন্য সরাসরি উৎপাদক অর্থাৎ সবুজ উদ্ভিদের ওপর নির্ভর করে তাদের প্রাথমিক খাদক বলে। এরা সবাই শাকাশী বা তৃণভোজী প্রাণী।

যেমন— গোরু, ভেড়া, ছাগল, শামুক, ঝিনুকইত্যাদি। ইংরেজিভাষান্তরে প্রাথমিক খাদকদের ‘প্রাইমারিকনজিউমার’ (Primary Consumers) বলে।

31. দ্বিতীয় স্তরের উৎপাদক কাদের বলে?

প্রাথমিক খাদকদের দ্বিতীয় স্তরের উৎপাদক (Secondary Consumers) বলা হয়।

যেমন- গোরু, ভেড়া, ছাগল প্রভৃতি শাকাশী বা তৃণভোজী প্রাণী।

এরা দ্বিতীয় স্তরের উৎপাদক কারণ মাংসাশী বাদক প্রাণীদের অর্থাৎ শিকারি (predator) মাংসাশী (carnivores) প্রাণীদের এরা খাদ্যের জোগান দেয়। যেমন সাভানা তৃণভূমিতে জেব্রা (প্রাথমিক খাদক) হল সিংহের খাদ্য। তাই জেব্রা দ্বিতীয় স্তরের উৎপাদক।

31. দ্বিতীয় স্তরের খাদক বা গৌণ খাদক কাদের বলে?

যে সমস্ত খাদক-প্রাণী খাদ্য হিসেবে তৃণভোজী প্রাণীদের বা প্রাথমিক খাদকদের খায়, তাদের দ্বিতীয় স্তরের খাদক বা গৌণ খাদক বলে। এরা মাংসাশী প্রাণী।

যেমন- কুকুর, বিড়াল, জলজ পতঙ্গ, ছোটো মাছ, চিংড়ি ইত্যাদি। ইংরেজি ভাষান্তরে দ্বিতীয় স্তরের খাদকদের ‘সেকেন্ডারি কনজিউমার’ (Secondary Consumers) বলে।

32. তৃতীয় স্তরের খাদক বা প্রগৌণ খাদক কাদের বলে?

যে সমস্ত খাদক-প্রাণী খাদ্য হিসেবে দ্বিতীয় স্তরের খাদক বা গৌণ খাদকদের ওপর নির্ভর করে, তাদের তৃতীয় স্তরের খাদক বা প্রগৌণ খাদক বলে। ইংরেজি ভাষান্তরে তৃতীয় স্তরের খাদকদের ‘টার্সিয়ারি কনজিউমার’ (Tertiary Consumers) বলে।

যেমন- শোল, বোয়াল প্রভৃতি বড়ো মাছ, বক, পানকৌড়ি, উদবেড়াল, সাপ, মানুষ ইত্যাদি।

33. চতুর্থ স্তরের খাদক বা কোয়াটারনারি খাদক কাদের বলে?

যে সমস্ত খাদক প্রাণী তৃতীয় স্তরের খাদক বা প্রগৌণ খাদকদের ওপর খাদ্যের জন্য নির্ভর করে, তাদের চতুর্থ স্তরের খাদক বা ‘কোয়াটারনারি খাদক’ (Qarternary consumers) বলে।

যেমন- তৃতীয় স্তরের খাদক হল সাপ। সাপকে খায় বাজপাখি (hawk)। সুতরাং বাজপাখি হল চতুর্থ স্তরের খাদক।।

34. মাইক্রোকনজিউমার বা ডিকম্পোজার বা বিয়োজক কী?

বাস্তুতন্ত্রের যে সমস্ত উপাদান মৃতজীবী, অর্থাৎ যারা মৃত উদ্ভিদ ও খাদকদের মৃতদেহ বিয়োজিত করে আবার সরল রাসায়নিক যৌগে পরিণত করে তাদের বিয়োজক বলে।

যেমন— ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক, ইত্যাদি। বিয়োজকদের ইংরেজিতে ‘ডিকম্পোজার’ বা ‘মাইক্রোকনজিউমার’ (Decomposers or Microconsumers) বলে। এরা অনুজীব। (Ecology And Ecosystem Questions)

35. ইকোলজি শব্দটি প্রথম কে ব্যবহার করেন?

ইকোলজি শব্দটি সর্বপ্রথম আর্নস্ট হেকেল (Earnest Hackle, 1866) ব্যবহার করেন।

Read More:- The Rivers Of West Bengal | For Upcoming WBCS Exam | Important Study Notes On Indian Geography

Related Articles

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Latest Articles