Birbhum District Details Description | Know your Own District | Important Daily GK 2022

Birbhum District Details Description

 

Birbhum District Details Description | Know your Own District | Important Daily GK 2022:- Birbhum is one of the most famous districts in West Bengal. It is an Administrative unit in the Indian State of West Bengal. The head Quarter of this District is Suri. The Chief attraction of this District is Bolpur Shantiniketan, where our respected Poet Rabindranath Tagore contributes a lot.

Birbhum District Details Description: বীরভূম জেলার ইতিহাস:

Birbhum Tehsil Map, Blocks in Birbhum


 

বৈষ্ণব, শাক্ত ও শৈব ধর্মের ত্রিধারার ত্রিবেণী সঙ্গম হল বীরভূম। রাঙামাটির দেশ বীরভূম প্রাচীন ও আধুনিক উভয় অর্থেই আজ পূণ্যভূমি।১৭৬৫ সালে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির দেওয়ানি লাভের পর বীরভূমের প্রশাসনিক কেন্দ্র ছিল মুর্শিদাবাদে।

মুর্শিদাবাদই ছিল ১৭৮৭ সাল পর্যন্ত এই জেলার শাসনকেন্দ্র। বিষ্ণুপুর (বাঁকুড়া জেলার পূর্বাংশে) এই জেলার অন্তর্ভুক্ত ছিল ১৭৩৯ সাল পর্যন্ত।

বীরভূমকে স্বতন্ত্র জেলা হিসাবে পুনর্গঠিত করা হয় ১৮২০ সালে। এই জেলার পশ্চিমাংশের উচ্চভূমি নবগঠিত জেলা সাঁওতাল পরগনায় চলে যায় ১৮৫৫ সালে সাঁওতাল বিদ্রোহের পর।

১৮৭৯ সালে বীরভূমের বারওয়ান মুর্শিদাবাদের অন্তর্ভুক্ত হয় আর মুর্শিদাবাদের লালগঞ্জ মহকুমা থেকে বীরভূমে যুক্ত হয় রামপুরহাট ও নলহাটি থানা।

বীরভূম বজ্র বা বজ্রভূমির অন্তর্ভুক্ত ছিল প্রাচীনতম জৈন গ্রন্থ ‘আয়ারাঙ্গ সূত্র’ বা ‘আচারাঙ্গ সূত্র’ অনুসারে। রাঢ়ের উত্তরাংশের নাম ছিল বজ্রভূমি।

বজ্রভূমি বলা হতো বলে মনে করা হত বর্ধমান, মুর্শিদাবাদ জেলার উত্তর পশ্চিমাংশ অর্থাৎ কান্দি মহকুমা, সমগ্র বীরভূম জেলা এবং বর্ধমান জেলার কাটোয়া মহকুমার উত্তরাংশকে।

শেষ জৈন তীর্থঙ্কর মহাবীর খ্রিস্টপূর্ব ষষ্ঠ শতাব্দীতে এই অঞ্চলে ধর্মপ্রচারের জন্য এসেছিলেন।

[ প্রধানত বাংলা ভাষাভাষী মানুষের বাস (৯০ শতাংশ)। এরপর সাঁওতাল ভাষাভাষী ]

মানুষের সংখ্যা। জেলার মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত ময়ূরাক্ষী বা মোর, অজয়, দ্বারকা, ব্রাহ্মণী, কোপাই প্রভৃতি নদী। বীরভূম ও বর্ধমান জেলার প্রাকৃতিক সীমা রচনা করেছে অজয় নদ।

জেলাকে দ্বিধাবিভক্ত করেছে ময়ূরাক্ষী নদী। নদীগুলি পশ্চিম থেকে পূর্বদিকে বয়ে গেছে। সেচ ও বিদ্যুৎ তৈরি হচ্ছে সিউড়ির অদূরে ময়ূরাক্ষী নদীর উপর তিলপাড়া ব্যারেজ ও বিহারের সাঁওতাল পরগনার মশাগুড়ে ‘কানাডা বাঁধ’ তৈরি করে।

একনজরে বীরভূম জেলা

স্থাপনকালঃ

১৮২০ সাল। ১৮৭৯ সালে মুর্শিদাবাদ থেকে রামপুরহাট ও নলহাটি বীরভূমের অন্তর্ভুক্ত করা হয়। মধ্যে বিস্তৃত

ভৌগোলিক অবস্থান:

উত্তর অক্ষাংশ ২৪°৩৫’ এবং ২৩°৩২′৩০″-এর এবং দ্রাঘিমাংশ ৮৮°০১′১৪″ পূর্ব থেকে ৮৭°০৫′২৫″ পূর্বের মধ্যে অবস্থিত। এ

সীমানা:

উত্তরে মালদহ, দক্ষিণে অজয় নদ ও পশ্চিম বর্ধমান, পশ্চিমে ঝাড়খণ্ড রাজ্যের সাঁওতাল পরগনা ও পূর্বে মুর্শিদাবাদ ও পূর্ব বর্ধমান।

আয়তন : ৪,৫৫০ বর্গকিমি।

জেলা সদর : সিউড়ি।

মহকুমার সংখ্যা : ৩টি। সিউড়ি, বোলপুর ও রামপুরহাট।

 ভূ-প্রকৃতি ও মৃত্তিকা

  • রুক্ষ রাঢ়ের অংশ বীরভূম। পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, বাঁকুড়া, মেদিনীপুর ও মুর্শিদাবাদের রাঢ় অঞ্চলের মতোই এখানকার মাটির ধরন এবং প্রাকৃতিক পরিবেশ।
  • ভূতাত্ত্বিক দিক থেকে বীরভূমে আর্কিয়ান যুগের নাইস শিলা দেখা যায়, গন্ডোয়ানা অঞ্চলের বৈশিষ্ট্য মিশ্রিত ল্যাটেরাইট মৃত্তিকা এবং গাঙ্গেয় পলি।
  • পলিগঠিত সমভূমি হল জেলার দক্ষিণ-পূর্ব অংশ। লাল ল্যাটেরাইট মৃত্তিকা অঞ্চল শুরু হয় এখান থেকে পশ্চিমদিকে অগ্রসর হয়ে সাহেবগঞ্জ লুপ লাইন পর্যন্ত পৌঁছোনোর কিছু আগে থেকে।
  • এরপর থেকেই জমিতে পাওয়া যায় পাথুরে রুক্ষতার আভাস এবং জমির উচ্চতাও বাড়তে থাকে।
  • এই জেলার ভূমির ঢাল উত্তর-পশ্চিম থেকে দক্ষিণ-পূর্বে নেমে গেছে। ছাড়া ছাড়া কয়েকটি ছোটো পাহাড় দেখা যায় নলহাটি থানায়। যেমন—

সেওড়া পাহাড়ি, পাঁচ পাহাড়ি, কাঁটা পাহাড়ি এবং কাঙ্গাল পাহাড়ি।

  • প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য খ্যাত ময়ূরাক্ষী ও অজয় নদের মধ্যবর্তী ভূভাগ।

জলবায়ু : চরমভাবাপন্ন ও শুষ্ক প্রকৃতির। এই জেলার ময়ূরেশ্বর পশ্চিমবঙ্গের শুষ্কতম স্থান।

 উষ্ণতা:  সর্বোচ্চ ৪১°-৪২° (মার্চ থেকে মে মাস) সেলসিয়াস ও সর্বনিম্ন ৯° সেলসিয়াস।

পাহাড় পর্বত :

দুবরাজপুরে মামা-ভাগনে পাহাড় অবস্থিত। এটি গ্রানাইট পাথরে নির্মিত ছোটনাগপুর মালভূমির পূর্বাংশের অন্তর্গত। এই পাহাড়ের উচ্চতা ১০০ মিটার। এছাড়া মথুরাখালি পাহাড় এ জেলায় অবস্থিত।

 নদ-নদী:

বক্রেশ্বর, অজয়, দ্বারকেশ্বর, ব্রাহ্মণী (অযোধ্যা ব্রাহ্মণী নামক ৬১ মিটার খাড়া জম্প্রপাত থেকে সৃষ্টি),

  • ময়ূরাক্ষী (মোর), কোপাই, পাগলা, কুলা, শাল, পাপহরা ও ভগবানগোলায় হিংলা নদী এই জেলার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। কোপাই ও অজয় বর্ধমানের সীমানা নির্ধারণ করে।

অভয়ারণ্য : ১টি। বল্লভপুর হরিণ উদ্যান। এটি হরিণ সংরক্ষণ কেন্দ্র।

কৃষিজ উৎপাদন: 

ধান উৎপাদনে রাজ্যে ষষ্ঠ, গম উৎপাদনে পঞ্চম, ডিম উৎপাদনে তৃতীয় ও দুধ উৎপাদনে চতুর্দশ স্থান অধিকার করে আছে এই জেলা।

এছাড়াও এখানে ছোলা, আখ, তৈলবীজ ও বাবুই ঘাস ভালো উৎপাদিত হয়।

স্বাভাবিক উদ্ভিদ:

শিমুল, পলাশ, আমলকি, হরিতকি, বয়ড়া, বাবলা, মহুয়া ইত্যাদি। খনিজ দ্রব্য , প্রানাইট, নাইস শিলা ও চিনামাটি। মহম্মদবাজার থানার ডেউচা, পাঁচামি

(দেওয়ানগঞ্জ ও হরিণশিঙায় উন্নত মানের কয়লা খনির সন্ধান পাওয়া গেছে)

জনসংখ্যা: ৩৫,০২,৩৮৭ জন (রাজ্যের মোট জনসংখ্যার ৩.৭৬ শতাংশ)।

পুরুষ: ১৭,৯১,৮১৭ জন।

মহিলা : ১৭,১১,৩৭০ জন।

Read More:- Science GK MCQ 2022 | Daily General Knowledge MCQ | Latest Updates for Different types of Exams

জনঘনত্ব : প্রতি বর্গ কিমিতে ৭৭১ জন। • জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ১৬.১৫ শতাংশ।

লিঙ্গ অনুপাত: ৯৫৬ জন (প্রতি ১০০০ জন পুরুষে)।

সাক্ষরতার হার : জেলার মোট শিক্ষিতের হার ৭০.৯০ শতাংশ। পুরুষ ৭৭.৪২ শতাংশ এবং মহিলা ৬৪.০৭ শতাংশ।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান :

কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় ১টি। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর দ্বারা স্থাপিত ‘বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়’ (কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়রূপে স্বীকৃতিলাভ ১৯৫১ খ্রিস্টাব্দে) ছাড়াও আই. টি. আই ও পলিটেকনিক কলেজ ১টি করে এই জেলায় অবস্থিত।মোট ডিগ্রি কলেজের সংখ্যা ১০টি।

পুরসভা :

৬টি। সিউড়ি (১৮৭৬), রামপুরহাট (১৯৫০), বোলপুর (১৯৫০), দুবরাজপুর (১৯৭৫), সাঁইথিয়া (১৯৮৭) ও নলহাটি (২০০০)।

গ্রাম পঞ্চায়েত: ১৬৯টি। • পঞ্চায়েত সমিতি : ১৯টি।

 ব্লক :

১৯টি। বোলপুর-শ্রীনিকেতন, দুবরাজপুর, ইলামবাজার, খয়রাসোল, লাভপুর, ময়ূরেশ্বর-১, ময়ূরেশ্বর-২, মহম্মদবাজার, মুরারাই ১. মুরারাই-২, নলহাটি-১, নলহাটি-২, নানুর, রাজনগর, রামপুরহাট-১, রামপুরহাট-২, সাঁইথিয়া, সিউড়ি-১, সিউড়ি-২।

থানাঃ ২১টি।

লোকসভা আসন: ২টি। বীরভূম, বোলপুর (তপশিলি জাতি)।

বিধানসভা আসন:

১১টি। ময়ূরেশ্বর, নানুর (তপশিলি জাতি), হাঁসন, বোলপুর, লাভপুর, দুবরাজপুর (তপশিলি জাতি), সিউড়ি, রামপুরহাট, নলহাটি, মুরারই, সাঁইথিয়া (তপশিলি জাতি)।

যোগাযোগ ও পরিবহণ :

সড়কপথে কলকাতা থেকে শান্তিনিকেতন এবং বক্রেশ্বর সরাসরি যাওয়া যায়। জাতীয় সড়ক NH-60 এই জেলার ওপর দিয়ে গেছে।

  • পূর্ব ভারতের রেলপথ সাহেবগঞ্জ লুপ লাইনের মাধ্যমে এই জেলাকে কেন্দ্র করে। উত্তর-দক্ষিণে বিস্তৃত। নলহাটি থেকে আজিমগঞ্জ পর্যন্ত এই রেললাইন গেছে।
  • রামপুরহাট, সিউড়ি, বোলপুর, শান্তিনিকেতন উল্লেখযোগ্য রেলস্টেশন।

বাণিজ্য কেন্দ্র : বীরভূম, সিউড়ি, বোলপুর, রামপুরহাট।

শিল্পঃ

ভারী শিল্প বলতে জেলায় তেমন কিছু নেই। একসময় খুব প্রসিদ্ধ ছিল গুনটিয়ার রেশম শিল্প এবং ইলামবাজারের লাক্ষ্মা শিল্প।

  • রামপুরহাট থানা এলাকায় এখনও রেশম গুটির চাষ ও রেশম বয়নের কাজ হয়। চিনির কল আছে আহমেদপুরে। একটি উল্লেখযোগ্য কুটির শিল্প হল বিড়ি তৈরি।
  • এছাড়া ডোকরা শিল্প বিখ্যাত।। কাঁথার মোটিফ মানুষকে আকর্ষিত করে এবং বিদেশি মুদ্রা অর্জন হয়।। ! নানুরে নকশি

অর্থনীতি :

জেলার প্রধান ফসল ধান। এছাড়াও গম, পাট, আখ আলু তৈলবীজ প্রভৃতির চাষ হয়। প্রায় ৮০ শতাংশ জমিতে ধান চাষ হয়। আমন ধানের চাষ সর্বাধিক।

হাসপাতালের সংখ্যা: সরকারী হাসপাতাল ৩টি। স্বাস্থ্যকেন্দ্রের সংখ্যা ৪৮১টি।

গ্রন্থাগারের সংখ্যা : ১২৭টি।

ক্রীড়াঙ্গন : বোলপুর ক্রীড়াঙ্গন।

প্রধান উৎসব ও আঞ্চলিক মেলা:

২৫ শে বৈশাখ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মদিন। (গ্রীষ্মবকাশে বিশ্বভারতী বন্ধ থাকায় কবির জন্মোৎসব ২৫ শে বৈশাখের পরিবর্তে ১লা বৈশাখ উদ্যাপিত হয়) ও ২২ শে শ্রাবণ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের তিরেধান দিবস, শান্তিনিকেতনের পৌষ মেলা

(১৮৪৩ খ্রিস্টাব্দের ৭ই পৌষ বুধবার মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর রামচন্দ্র বিদ্যাবাগীসের কাছে দীক্ষা গ্রহণ করেন।)

  • ১৮৯৫ সাল থেকে সেই দিনটিকে স্মরণে রাখতেই প্রতি বছর ৭ই পৌষ থেকে ৯ই পৌষ ইংরেজি ২২-২৪ ডিসেম্বর তিনদিন এই উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।
  • বিশ্বভারতীয় সবচেয়ে ঐতিহ্যশালী প্রাচীন উৎসব পৌষ উৎসব ও পৌষমেলা। ২০২০ সালে মেলার ১২৫ বছর পালিত হয়। কিন্তু করোনার কারণে এই বছরের পৌষ উৎসব বাতিল করা হয়।),
  • ইলামবাজার ব্লকের অজয় নদের তীরে কেন্দুবিল্ব (কেঁদুলির) গ্রামে জয়দেবের মেলা (১লা মাঘ, এই মেলার বৈশিষ্ট্য সারারাতব্যাপী লোকসংগীতের আসর বসে),
  • কংকালীতলার মেলা (বৈশাখ সংক্রান্তিতে মেলা বসে), ফুল্লরা মেলা (লাভপুরে গাঘী পূর্ণিমায়), দাতাবাবার মেলা (পাথরচাপুড়ি, সিউড়িতে চৈত্র মাসে)
  • দোলযাত্রা, অন্নকুট উৎসব বিখ্যাত। প্রতি বছর ৩রা শ্রাবণ বামাক্ষ্যাপার তিরোধান উৎসব তারাপীঠে পালিত হয়।
  • এছাড়া আশ্বিন মাসের কোজাগড়ি পূর্ণিমায় বার্ষিক উৎসব ও চৈত্রমাসে বারুণী স্নান উপলক্ষ্যে উৎসব হয়।

লোকসংস্কৃতি :

হাবু গান, পটের গান, বহুরূপী বীরভূমের রাঙামাটির আকাশ বাতাস আলোড়িত করে।

এছাড়া বীরভূমের রায়বেশে, আলকাপ, কীর্তন, কবিগান, ভাদু, মনসা, গাজন উল্লেখযোগ্য লোকগান। আর সবার প্রিয় বাউল ও ফকিরদের গান বীরভূমের মাটির সঙ্গে মিশে আছে।

দর্শনীয় স্থান :

এই জেলা বৈয়ব, শান্ত ও শৈব পীঠস্থান হিসাবে প্রাচীনকাল থেকেই পরিচিত। চৈতন্যদেবের অন্যতম পার্ষদ নিত্যানন্দ প্রভুর জন্মস্থান বীরচন্দ্রপুরের কাছে। গর্ভাবাস।

বৈষুবদের এটি একটি তীর্থস্থান। সতীর ৫১ পীঠের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গে বিরাজ করছে ১১টি পীঠ। এরমধ্যে ৫টি সতীপীঠ।

এই বীরভূম জেলায় অবস্থিত

  • (১) বোলপুরের অদূরে জলজোলা গ্রামে ৫১ পীঠের অন্যতম কংকালীর মন্দির (এখানে দেবীর কোমরের অংশ পড়েছিল).
  • (২) নলহাটিতে ললাটেশ্বরী মন্দির (সতীর নলা অর্থাৎ কনুইয়ের নিম্নভাগ পড়েছিল এখানে)
  • (৩) সাঁইথিয়ার নন্দকেশ্বরীর মন্দির (এখানে সতীর কণ্ঠনালী বা কণ্ঠহার পড়েছিল বলে কথিত। ১৩১০ বঙ্গাব্দে এই মন্দির নির্মিত হয়)
  • (৪) সতীপীঠ বক্রেশ্বরে মহিষমর্দিনী দেবীর মন্দির (সতীর উর্দ্ধনেত্ৰমণি এখানে পড়েছিল)
  • (৫) লাভপুরে সতীপীঠ ফুল্লরা দেবীর (এখানে সতীর অধোরাষ্ঠ পড়েছিল) মন্দিরের জন্য এই স্থানের বিশেষ খ্যাতি। ১৩০২ বঙ্গাব্দে এই মন্দির নির্মিত হয়।
  • বশিষ্ঠ এবং বামাক্ষ্যাপার সিদ্ধপীঠ তারাপীঠ (১২২৫ বঙ্গাব্দে নতুন মন্দির স্থাপন করেন ব্যবসায়ী জগন্নাথ রায়)।

মামা-ভাগনে পাথর

শান্তিনিকেতন, বোলপুর, শ্রীনিকেতন, হেতমপুর, দুবরাজপুর (এখানে মামা-ভাগনে পাহাড় অবস্থিত এবং পাহাড়ের চূড়ায় দুটি বড় পাথর মামা-ভাগনে নামে পরিচিত।

  • পৌরাণিক মতে রাম যখন সীতাকে উদ্ধার করার জন্য লঙ্কায় রাবণকে আক্রমণ করবে। তার আগে পক প্রণালীতে একটি সেতু নির্মাণের জন্য হিমালয়ে যান।
  • ফেরবার সময় রথ থেকে কিছু পাথর দুবরাজপুরে পড়ে গেলে সেই থেকেই মামা-ভাগনে পাহাড়ের সৃষ্টি।
  • মামা-ভাগনে পাহাড়ের পাদদেশে পাহাড়েশ্বর মন্দির অবস্থিত), সাঁইথিয়া, সুপুর, নলহাটি, বক্রেশ্বরে উষ্ণ প্রস্রবন ও মহিষমর্দিনীর মন্দির, জয়দেবের জন্মভূমি কেন্দুবিল্ব, বৈষুব কবি দ্বিজ চণ্ডীদাসের জন্মস্থান নানুর, কথাসাহিত্যিক তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্মস্থান লাভপুর বিখ্যাত।
  • সম্প্রতি লাভপুর ব্লকের হেতমপুর মৌজায় মধ্যপ্রস্তর যুগের পুরাতাত্ত্বিক নিদর্শন পাওয়া গেছে। এছাড়াও বারাগ্রামে প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন পাওয়া গেছে প্রচুর।
  • এছাড়া টেরাকোটার মন্দির এই জেলার মূল আকর্ষণ। মন্দিরগুলি আছে মল্লারপুর, গণপুর, হেতমপুর, দুবরাজপুর, সুরুল, ইটান্ডা, কেন্দুলি, ইলামবাজার প্রভৃতি স্থানে।
  • বীরভূমের দ্রষ্টব্য স্থানের মধ্যে শান্তিনিকেতনের নাম সবার প্রথমে আসে। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথের স্মৃতি বিজড়িত শান্তিনিকেতন বাঙালি মাত্রেরই আকর্ষণের জায়গা।
  • কারণ এখানকার আশ্রমি পরিবেশ সকল পর্যটকদের কাছে এক বিরল অভিজ্ঞতা। রবীন্দ্রনাথের কর্মজীবন শান্তিনিকেতন।
  • রবীন্দ্রনাথের পিতা মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর বোলপুরের ভূবনডাঙ্গা স্থানটিকে ঈশ্বরের আরাধনার উপযুক্ত স্থান হতে পারে ভেবে রায়পুরের জমিদার প্রতাপনারায়ণ সিংহের কাছ থেকে ১৮৬৩ খ্রিস্টাব্দে কুড়ি বিঘা জমি কিনে নেন। ।
  • সেখানকার রুক্ষ কাকুড়ে মাটি খুঁড়ে বাইরে থেকে নতুন সারমাটি এনে ভরাট করে। সেখানে আম, হরিতকি, বহড়া, আমলকি, শাল, মহুয়া ইত্যাদি গাছ রোপণ করেন।
  • এখানেই তিনি একটি পাকা বাড়ি তৈরি করেন এবং নাম রাখেন ‘শান্তিনিকেতন’। এখানে তিনি মাঝে মাঝে এসে উপাসনা করে যেতেন। ১৮৮৮ খ্রিস্টাব্দের ৮ মার্চ তিনি তাঁর শান্তিনিকেতনকে জাতির উদ্দেশ্যে দান করে যান।
  • দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের ইচ্ছা ছিল শান্তিনিকেতনে গড়ে উঠুক এক আশ্রমিক পরিবেশ। তাঁর এই ইচ্ছা পুত্র রবীন্দ্রনাথের কাছে প্রেরণা হয়ে উঠল। ১৯০১ সালে সূচনা হল বৈদিক।
  • চর্যাশ্রমের আদর্শে খোলা আকাশের নীচে বিদ্যায়তন। এই বছর থেকেই রবীন্দ্রনাথ। শান্তিনিকেতনে পাকাপাকিভাবে বসবাস শুরু করেন। ১৯২১ সালে গড়ে উঠল বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়।
  • প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের শিক্ষার মেলবন্ধনে এক আন্তর্জাতিক ভাবনায় উদ্বুদ্ধ এই বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্বশান্তির ব্রত গ্রহণ করল। এই কারণে সারা পৃথিবী থেকে শিক্ষার্থী ও গবেষকরা আসেন নানা বিষয়ে, যেমন—দর্শন, শিল্প, ভারতীয় সংগীত, ভাষা, কলা, নৃত্য ও বিজ্ঞান বিভাগে পাঠ নিতে।

১৯৫১ সালে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ে রূপান্তরিত হয়।

মূল ভবনের গেটের বাঁ দিকে হিন্দিভবন, চিনাভবন এবং ডান দিকে বিদ্যাভবন। হিন্দিভবনে ভারতের মধ্যযুগের সাধুসন্তদের জীবনযাপনের দেওয়ালচিত্রটি বিখ্যাত শিল্পী বিনোদবিহারী মুখোপাধ্যায় আঁকেন।

চিনাভবনে ‘বুদ্ধের ধর্মবিজয়’ ও ‘নটীর পূজা’ ছবি দুটি শিল্পী নন্দলাল বসুর আঁকা। শান্তিনিকেতনের অন্যান্য উল্লেখযোগ্য দ্রষ্টব্য স্থানগুলো হল

ছাতিমতলা 

এটি মহর্ষির সাধনবেদি। সপ্তপর্ণী বৃক্ষের ছায়ায় শ্বেত মর্মরের বেদিতে বসে মহর্ষি লাভ করেছিলেন প্রাণের আরাম। এর দক্ষিণ দিকের গেটের ওপরে লেখা আছে “তিনি আমার প্রাণের আরাম, মনের আনন্দ, আত্মার শান্তি’। প্রতি বছর ৭ই পৌষ এখানে উপাসনা হয়।

শান্তিনিকেতন গৃহ 

ছাতিমতলার ডানদিকে যে বড় বাড়িটি অবস্থিত যার গেটের মাথায় লেখা রয়েছে ‘একমেবাদ্বিতীয়ং আনন্দরূপমৃতং যদ্বিভাতি’—সেটিই হল শান্তিনিকেতন গৃহ। ১৮৬৩ খ্রিস্টাব্দে মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর এটি নির্মাণ করেন।

রবীন্দ্রনাথ তাঁর বিখ্যাত গ্রন্থ ‘গীতাঞ্জলি’র অধিকাংশ কবিতা এখানে বসেই লিখেছিলেন। বাড়ির সামনে বিখ্যাত ভাস্কর রামকিঙ্কর বেইজের তৈরি বিমূর্ত ভাস্কর্য।

ভাস্কর্যটির নাম ‘অনির্বাণ শিখা’। উপাসনা মন্দির : ১৮৯২ খ্রিস্টাব্দে তৈরি। এটি নির্মাণ করেন মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথের জ্যেষ্ঠ পুত্র দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুর।

আলপনা চচিত মর্মরের মেঝেয় ব্রাহ্ম সমাজের প্রতিষ্ঠা দিবস হিসেবে আজও প্রতি বুধবার সকালে উপাসনা হয়। সেই কারণে বুধবার বন্ধ থাকে।

আম্রকুণ্ড : আম গাছে ঘেরা জায়গাটির নাম ‘আম্রকুঞ্জ’। বিশ্বভারতীর সমাবর্তন উৎসব এখানে অনুষ্ঠিত হয়।

উত্তরায়ণ 

শান্তিনিকেতনের মূল আকর্ষণ রবীন্দ্রনাথের শেষ জীবনের আবাস উত্তরায়ণ। এর বাঁদিকে রয়েছে বিচিত্রাভবন বা রবীন্দ্র মিউজিয়াম। এখানে সংরক্ষিত রয়েছে রবীন্দ্রনাথ ও তাঁর পরিবারের অজস্র পাণ্ডুলিপি, চিঠিপত্র ও নানান স্মৃতিচিহ্ন।

কলাভবন আর্ট গ্যালারি 

উত্তরায়ণ ছেড়ে সামান্য এগোলেই পড়বে কলাভবন। এখানে রবীন্দ্রনাথ, অবনীন্দ্রনাথ, গগনেন্দ্রনাথ, নন্দলাল, বিনোদবিহারী ও রামকিঙ্কর প্রমুখ খ্যাতনামা শিল্পীদের চিত্রকলা ও ভাস্কর্যের প্রদর্শনী আছে।

 জেলার বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব 

কবি চন্ডীদাস: 

নানুর। বাংলা সাহিত্যের এই প্রসিদ্ধ কবির জন্মকাল সন্বন্ধে অনেক মতভেদ আছে। এই নামে বহু পদকর্তার মধ্যে দ্বিজ চন্ডীদাস ও বড়ু চন্ডীদাস দু’জনকে মোটামুটি চিহ্নিত করা যায়। বসন্তরঞ্জন রায় আবিষ্কৃত ‘শ্রীকৃষ্ণকীর্তনে’র রচয়িতা বড়ু চন্ডীদাস।

 কবি জয়দেব (১২শ শতাব্দী)

কেন্দুবিল্ব বা কেঁদুলি। খ্রিস্টীয় দ্বাদশ শতাব্দীর শেষার্ধে লক্ষ্মণ সেনের রাজসভায় গোবর্ধন, শরণ, ধোয়ী, উমাপতি ও জয়দের এই ‘পঞ্চরত্ন’ ছিলেন। তাঁর রচিত বিখ্যাত গ্রন্থ ‘গীতগোবিন্দ’।

 নিত্যানন্দ প্রভু (১৪৭৩) :

ধর্মপ্রচারক। বিখ্যাত বৈষুব তীর্থ বীরচন্দ্রপুরে (গর্ভাবাস) মুকুন্দ বন্দ্যোপাধ্যায় ও পদ্মাবতীর পুত্র নিত্যানন্দের শুভ আবির্ভাব হয়।

  • মাত্র ১২ বছর বয়সে এক সন্ন্যাসীর সাথে নিত্যানন্দ গৃহত্যাগ করেন। দীর্ঘ ২০-২৫ বছর ভারতের বিভিন্ন স্থান পরিভ্রমণ করে তিনি নবদ্বীপে আসেন।
  • সেখানে তিনি চৈতন্যদেবের সঙ্গে বৈষুব ধর্ম ও হরিনাম প্রচারে মনোনিবেশ করেন।
  • চৈতন্যদেবের আদেশে তিনি কালনার সূর্যদাস কীর্তনীয়ার দুই কন্যা জাহ্নবী ও বসুধাকে বিবাহ করেন। চৈতন্যদেবের বিগ্রহ পূজার প্রবর্তক নিত্যানন্দ।
  • চৈতন্যদেব কাটোয়ায় সন্ন্যাস গ্রহণের পর নীলাচলে যাত্রার আগে ছোট হরিদাসকে সঙ্গে নিয়ে এই গর্ভাবাসে এসে কীর্তন করেন এবং বিশ্রাম নেন।
  • পরবর্তীকালে গৌড়-নিতাই হিসাবে বৈষুব তীর্থে চৈতন্যদেব ও নিত্যানন্দ প্রভু পূজিত হন।

 শরৎচন্দ্র পণ্ডিত (১৮৭৯-১৯৬৮) 

পৈত্রিক বাড়ি সিমলাড্ডি। মুর্শিদাবাদের জাঙ্গীপুর শহরে বসবাস করতেন। কবি, লেখক। ‘দাদাঠাকুর’ নামে পরিচিত। ‘জঙ্গীপুর সংবাদ’ পত্রিকা প্রকাশ করেন।

  • বলিষ্ঠ সাংবাদিকতার একটি ধারার স্রষ্টা। তাঁর নামের সঙ্গে ‘পানিং’ কথাটি যুক্ত হয়ে আছে। তিনি ‘বিদূষক” পত্রিকাও প্রকাশ করেন। এতে সমাজের বিভিন্ন ঘটনাবলী তুলে ধরে সমাজ সংস্কারের প্রচেষ্টা করেন।
  • রসাত্মবোধক লেখনীর জন্য তাঁকে ‘বিদূষক’ উপাধিতে ভূষিত করেন আরেক বিখ্যাত লেখক শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়।

তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় (১৮৯৮-১৯৭১) 

লাভপুর। প্রখ্যাত কথা সাহিত্যিক। ‘জলসাঘর’, ‘গণদেবতা’, ‘দুইপুরুষ’, ‘আরোগ্য নিকেতন’, ‘মন্বন্তর’ তাঁর উল্লেখযোগ্য রচনা ও উপন্যাস।

শরৎ স্মৃতি পুরস্কার, রবীন্দ্র পুরস্কার, সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার, পদ্মশ্রী, পদ্মভূষণ ও জ্ঞানপীঠ প্রভৃতি পুরস্কারে ভূষিত। এছাড়াও জেলার অন্যান্য উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্বরা হলেন সাধক

তারাপীঠের বামাক্ষ্যাপা(কালী সাধক), বীরভদ্র, খাঁকিবাবা, অঘোরীবাবা, সাঁওতাল বিদ্রোহের নেতা সিধু ও কানহু, মহারাজ নন্দ কুমার (ইংরেজ যুগের জমিদার),

কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায় (সঙ্গীত শিল্পী), পূর্ণদাস বউল (লোকশিল্পী), সোমনাথ চট্টোপাধ্যায় (রাজনীতিবিদ, প্রথম বাঙালি লোকসভার স্পীকার)

প্রণব মুখোপাধ্যায় (সাংসদ, ভারতের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী ও প্রথম বাঙালি রাষ্ট্রপতি), অমর্ত্য সেন (নোবেল জয়ী অর্থনীতিবিদ),

শান্তিদেব ঘোষ (সুপ্রসিদ্ধ রবীন্দ্রসঙ্গীত গায়ক), সাহিত্যিক ফাল্গুনি মুখোপাধ্যায়, সাতকড়ি মুখোপাধ্যায় প্রমুখ।

বর্তমান রাজ্য সরকারের মন্ত্রী আশিষ বন্দ্যোপাধ্যায় (কৃষি), চন্দ্রনাথ সিনহা (মৎস্যমন্ত্রী) এই জেলার বাসিন্দা

এক নজরে জেলার গুরুত্বপূর্ণ তথ্যাবলী 

  • বীরভূম রুক্ষ রাঢ়ের অংশ। দক্ষিণ-পূর্ব অংশ পলি গঠিত। সাহেবগঞ্জ থেকে শুরু করে সব জায়গায় লাল ল্যাটেরাইট মৃত্তিকা।
  •   শুষ্ক পর্ণমোচী বৃক্ষ যেমন— শাল, পলাশ, অর্জুন, মহুল, বহেড়া প্রভৃতি গাছ জন্মায়।
  •  এই জেলায় চিনামটি পাওয়া যায়। সিউড়ির অদূরে ময়ূরাক্ষী নদীর ওপর তিলপাড়া ব্যারেজ ও ঝাড়খণ্ডের সাঁওতাল পরগনায় মশানজোরে কানাডা বাঁধ তৈরি করে সেচ ও বিদ্যুৎ তৈরির জন্য জলসম্পদ ব্যবহার করা হয়।
  • গুনটিয়ারে রেশম শিল্প, ইলামবাজারে লাক্ষ্মা শিল্প ও রামপুরহাটে রেশমগুটির চাষ ও রেশম বয়নের কাজ হয়। আহমেদপুরে চিনির কল আছে। নানুরের নকশি কাঁথা বিখ্যাত কুটির শিল্প।
  • সিউড়ি থেকে ১৮ কিমি দূরে বক্রেশ্বর তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র আছে। এখানে একটি গন্ধকযুক্ত উষ্ণ প্রসবন আছে।
  • এখানে বজ্রনাথ শিব ও মহিষমর্দিনী দেবীর জন্য বিখ্যাত। পাপহরা ও বক্রেশ্বর দুটি পুণ্যতোয়া নদীর মাঝে মহাতীর্থ বক্রেশ্বর অবস্থিত।
  • বীরভূমে জন্মগ্রহণ করেন রাজা শশাঙ্ক, সম্রাট ধর্মপাল ও দেওয়ান নন্দকুমার।  তারাপীঠে সাধক বামাক্ষ্যাপা থাকতেন। লাভপুরে দেবী ফুল্লরার বিখ্যাত মন্দির আছে।
  •  এই লাভপুর গ্রামেই কথাশিল্পী তারাশংকর বন্দ্যোপাধ্যায় জন্মগ্রহণ করেন।
  • পদাবলী কীর্তনের স্রষ্টা, বাংলা কীর্তনের প্রাণপুরুষ, গীতগোবিন্দের রচয়িতা কবি জয়দেবের জন্মস্থান কেঁদুলি এবং চণ্ডীদাসের জন্মস্থান নানুর।
  • মকর সংক্রান্তিতে (১লা মাঘ) কেঁদুলিতে জয়দেবের মেলা বসে।
  • জয়দেবের নিজ হাতে প্রতিষ্ঠিত রাধা মাধব জিউর মন্দির ও কবির সমাধি আছে।
  • চণ্ডীদাসের আরাধ্য দেবী ছিলেন—বাশুলী দেবী।
  • রাজনগরে কলন্দর (যারা ভালুক নাচিয়ে বেড়ায়) ও কেকোয়াদের (অপরাধ প্রবণ জাতি বলে পরিচিত) বাসস্থান। আজও কিছু পরিবার আছে।
  •  খয়েরবুনি গ্রামের মোড়া বিখ্যাত। বর্তমানে বিদেশে রপ্তানী হচ্ছে।  মথুরাখালি পাহাড় বীরভূমে অবস্থিত।
  • বারাগ্রামে অনেক প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন পাওয়া গেছে।

পশ্চিমবঙ্গের প্রথম ফসিল পার্ক তৈরি হচ্ছে বীরভূমের ইসলামবাজারে।

কোটি বছরের পুরনো একটি প্রস্তরীভূত অরণ্য উদ্যানকে কেন্দ্র করে ইসলামবাজার জঙ্গলের আমবই, জাম্বুনি-সহ একাধিক গ্রাম সংলগ্ন ১০ হেক্টর জায়গায় ওই পার্ক গড়ছে রাজ্য বন দপ্তর।

আমখই গ্রামে উদ্ধার করা হয়েছে কোটি বছরের এই ‘প্রস্তরীভূত অরণ্য’।

বিজ্ঞানীদের মতে এই অঞ্চলে সুবিশাল বনভূমি ছিল সেটিই জীবাশ্মে পরিণত হয় এবং এই জীবাশ্মগুলো প্রায় দেড় কোটি বছর আগেকার।

এই ফসিল পার্ক শীঘ্রই রাজ্যের অন্যতম পর্যটক কেন্দ্র হিসেবে গড়ে উঠবে।

Read More:- Indian Navy Agniveer (SSR) recruitment 2022| Total 2800 posts |Unmarried Male & Female| Apply online and Check all details

Related Articles

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Latest Articles