Air Pollution: Cause & Effect | Environmental Science Study Material | Important For WB Tet, SLST

Air Pollution: Cause & Effect

Air Pollution: Cause & Effect | Environmental Science Study Material | Important For WB Tet, SLST: Environmental Science is a new subject that is added to the syllabus for all classes. So, we all need to study it well. In previous days Evs was meant for our Atmosphere. But now the meaning has changed. It is the Subject that includes social issues. Today in this chapter Smart Knowledge is here with a huge bunch of Air Pollution: Cause & EffectTo make your preparation smarter keep attached to us.

Air Pollution: Cause & Effect:

Hello Aspirants, welcome back to our channel. Today, Smart Knowledge is presented with a huge bunch of Study stuff from EVS Portion.

বায়ুদূষণ (Air Pollution)

  1. বায়ুদূষণ কাকে বলে?

ওয়ালর্ড হেল্থ অর্গানাইজেশন (WHO)-এর মতে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের মধ্যে ক্ষতিকর  পদার্থের সমাবেশ যখন মানুষ ও তার পরিবেশের ক্ষতি করে, সেই অবস্থাকে বায়ুদূষণ (air pollution) বলে।

বিজ্ঞানী পার্কিন্স (1974)-এর মতে বায়ুমণ্ডলে উপস্থিত থাকা বা বায়ুমণ্ডলে নির্গত হওয়া দূষিত ধোঁয়া, গ্যাস, গন্ধ, ধোঁয়াশা, বাষ্প ইত্যাদি যে পরিমাণে ও যতক্ষণ স্থায়ী হলে মানুষ, জীবজন্তু ও উদ্ভিদ জগতের ক্ষতি হয় বা মানুষের জীবন ও স্বাচ্ছন্দ্যে বাধা দেয়, তাকে বায়ুদূষণ বলে। এখানে উল্লেখ করা যায় যে, বায়ুদূষণের পরিধি ও ব্যাপকতা সবচেয়ে বেশি। কারণ বায়ু সবচেয়ে তাড়াতাড়ি দূষিত পদার্থকে চতুর্দিকে ছড়িয়ে দিতে পারে।

2. বায়ুদূষণের প্রাকৃতিক কারণ ও উৎসগুলি কী কী ?

(I) অগ্ন্যুৎপাতের ফলে নিঃসৃত সালফার ডাইঅক্সাইড (SO), কার্বন মনোঅক্সাইড (CO), হাইড্রোজেন সালফাইড গ্যাস (H2S)

(2) বিভিন্ন জৈব ও অজৈব পদার্থের বিয়োজন বা পচনের ফলে সৃষ্ট গ্যাস। (3) দাবানল (Wildfire), ধূলি (Dust devil)।

(4) ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া, ফানজাই (fungi), অ্যালজি (algae), পরাগরেণু (pollen) ইত্যাদি।)

3. বায়ুদূষণের অপ্রাকৃতিক বা মানুষের তৈরি কারণগুলি কী কী ?

(1) খনি এলাকার ধূলোবালি, ধূলিকণা, শিল্পজাত ধূলি (যেমন— ফ্লাই অ্যাশ), কালিঝুলি (soor), ধোঁয়া ইত্যাদি।

(2) দাড়ি কামানোর ফোম ও স্প্রে, বিমানে ব্যবহৃত এরোসল (aerosols) এবং বিভিন্ন বিষাক্ত তরল পদার্থ।

(3) যানবাহন ও কলকারখানা থেকে নির্গত গ্যাস, যেমন— কার্বন মনোঅক্সাইড, সালফার ডাইঅক্সাইড, হাইড্রোকার্বন, নাইট্রোজেন অক্সাইড ইত্যাদি। এখানে উল্লেখ করা যায় যে হাইড্রোকার্বন ও কার্বন মনোঅক্সাইডের প্রধান উৎস হল কয়লা, পেট্রোল প্রভৃতি জ্বালানির অসম্পূর্ণ দহন।

(4) ব্যাপকভাবে অরণ্য ধ্বংস করার ফলে অক্সিজেন ও কার্বন ডাইঅক্সাইড পারস্পরিক ভারসাম্যের হানি ও কার্বন ডাইঅক্সাইডের পরিমাণ বৃদ্ধি।

(5) যুদ্ধবিগ্রহের ফলে বা পারমাণবিক চুল্লিতে দুর্ঘটনার ফলে তেজস্ক্রিয় পদার্থের বিকিরণ (যেমন ইউক্রেনে চেনোবিল পরমাণু কেন্দ্রের দুর্ঘটনা বা হিরোসিমা-নাগাসাকিতে পরমাণু বোমার ধ্বংসলীলা) ইত্যাদি।

4. মানুষের ওপর বায়ুদূষণের প্রভাব কী ?

বায়ুদূষণ মানুষের ক্ষতি করে। যেমন—

(1) ধোঁয়াশার প্রভাবে চোখ জ্বালা করে। দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে যায়।

(2) সালফার ডাইঅক্সাইডের প্রভাবে শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়। ব্রঙ্কাইটিস, যক্ষ্মা প্রভৃতি রোগ হয়।

(3) নাইট্রোজেন ডাইঅক্সাইডের জন্য শ্বাসকষ্ট হয়। ফুসফুসের ক্ষতি হয়। নিউমোনিয়া হওয়ার আশঙ্কা থাকে।

(4) কার্বন মনোঅক্সাইডের জন্য রক্তের অক্সিজেন সংবহন ক্ষমতা বিঘ্নিত হয় ।

(5) বেঞ্জপাইরিনের (Benzopyrene C26H12) জন্য ক্যানসার হয়। এখানে উল্লেখ করা দরকার যে, রাস্তায় দেওয়ার জন্য পিচ গলানোর সময়ে যে ধোঁয়া বেরোয়, তাতে বেঞ্জপাইরিন জাতীয় যৌগ পাওয়া যায়।

(6) বাতাসে ভাসমান সিসা, বালি, কয়লার গুঁড়ো ইত্যাদি শ্বাসনালি ও ফুসফুসের ক্ষতি করে। স্নায়ুরোগের কারণ হয়।

5. বায়ুদূষণের মূল উপাদান গুলি কি কি ?

মূলত তিনটি উপাদানের মাত্রা বা পরিমাণের ওপর নির্ভর করে বায়ুদূষণের পরিমাণ হিসেব করা হয়। যেমন

(1) সালফার ডাইঅক্সাইড

(2) নাইট্রোজেন অক্সাইড

(3) বাতাসে ভাসমান সুক্ষ্ম কণিকা (Suspended Particulate Matter অর্থাৎ SPM)।

6. মুখ্য বায়ুদূষক বা প্রাইমারি এয়ার পলিউট্যান্ট বলতে কী বোঝায় ?

প্রাকৃতিক কারণে বা মানুষের বিভিন্ন কাজকর্মের মাধ্যমে সৃষ্ট যে সমস্ত বায়ুদূষক তাদের উৎস (source) থেকে সরাসরি বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করে, তাদের মুখ্য বায়ুদূষক (Primary Air Pollutants সংক্ষেপে PAPs) বলে। বায়ুমণ্ডলে দূষণের প্রায় 90% এই দূষকগুলির মাধ্যমে সম্পন্ন হয়। উদাহরণ- সালফার ডাইঅক্সাইড, নাইট্রোজেন অক্সাইড, নাইট্রোজেন ডাইঅক্সাইড, কার্বন মনোঅক্সাইড, কার্বন ডাইঅক্সাইড, অধিকাংশ হাইড্রোকার্বন, বাতাসে ভাসমান সূক্ষ্ম কণিকা ইত্যাদি।

7. বায়ুর গৌণ দূষক বা সেকেন্ডারি পলিউট্যান্টগুলি কী কী?

বায়ুতে যে সমস্ত স্বাভাবিক যৌগগুলি পাওয়া যায়, তার সঙ্গে মুখ্য দৃষকগুলির বিক্রিয়ার ফলে সৃষ্ট রাসায়নিক পদার্থগুলিকে গৌণ বায়ুদূষক (Secondary Air Pollutants সংক্ষেপে SAPs) বলে। যেমন ধোঁয়াশা, ওজোন গ্যাস, সালফার ট্রাইঅক্সাইড (SO,), হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড (H2O2), সালফিউরিক আসিড, নাইট্রিক অ্যাসিড ইত্যাদি। এখানে উল্লেখ্য যে সূর্যালোকের উপস্থিতিতে হাইড্রোকার্বন (HC) এবং নাইট্রোজেন অক্সাইড (NO) বিক্রিয়া করে এবং ধোঁয়াশা সৃষ্টি করে। তেমনি জলের সঙ্গে বিক্রিয়া করে সালফার ডাইঅক্সাইড বা নাইট্রোজেন অক্সাইড অ্যাসিড তৈরি করে।

8. প্রগৌণ বায়ুদূষক অর্থাৎ আনকনভেনশন্যাল এয়ার পলিউট্যান্টগুলি কী কী ?

যে সমস্ত বায়ু দূষকগুলি মানুষের কাজের ফলে তৈরি হয় অর্থাৎ যে বায়ু দূষকগুলির প্রাকৃতিক উৎস নেই, তাদের প্রগৌণ বায়ুদূষক (Unconventional Air Pollutants – সংক্ষেপে UAPs) বলে। যেমন পারদ, অ্যাসবেস্টস ইত্যাদি।

9. বায়ুদূষণে সালফার ডাইঅক্সাইডের ভূমিকা কী?

সালফার ডাইঅক্সাইড (SO.) একটি বর্ণহীন তীব্র, বিশ্রী গন্ধযুক্ত গ্যাস ও বায়ুদূষক।

(1) SO-র প্রাকৃতিক উৎস : আগ্নেয়গিরি থেকে অগ্ন্যুৎপাত।

(2) SO,-র অপ্রাকৃতিক বা শিল্পগত উৎস বিভিন্ন কলকারখানা থেকে সালফার ডাইঅক্সাইড গ্যাস নির্গত হয়, যেমন— তেল শোধনাগার, অ্যাসিড কারখানা, কাগজ কল, সার কারখানা, সিমেন্ট কারখানা, তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র, ধাতু নিষ্কাশন কেন্দ্র (মেটাল স্মেলটার) ইত্যাদি।

(3) জীবদেহের ওপর SO-র প্রভাব : ফুসফুসের রোগ, শ্বাসনালির প্রদাহ, বায়ুতে SO,-এর মাত্রা 5 থেকে 10 পিপিএম (ppm) হলে হাঁপানি হয়, আবার বায়ুতে SO,-এর মাত্রা 200 পিপিএম-এর বেশি হলে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।

(4) উদ্ভিদের ওপর SO, -র প্রভাব : বৃহৎ পত্রযুক্ত গাছপালার স্বাভাবিক বৃদ্ধি ব্যাহত হয়।

(5) পরিবেশের ওপর SO-র প্রভাব : ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয়।

10. বায়ুদূষণে নাইট্রোজেন অক্সাইডসমূহের ভূমিকা কী?

নাইট্রাস অক্সাইড (N, O), নাইট্রিক অক্সাইড (NO) এবং নাইট্রোজেন ডাইঅক্সাইড (NO) নাইট্রোজেনের এই তিনটি অক্সাইড বায়ুদূষণ করে। নাইট্রাস অক্সাইড (NO) লাফিং গ্যাস – Laughing gas) একটি বর্ণহীন গ্যাস। এই গ্যাস বায়ুমণ্ডলে গ্রিনহাউস প্রভাব বৃদ্ধি করে। দাঁতের চিকিৎসায় অনেক সময় অসাড় করার কাজে এই গ্যাস ব্যবহৃত হয়। নাইট্রিক অক্সাইড (NO) ও একটি বর্ণহীন গ্যাস। নাইট্রোজেন ডাইঅক্সাইড (NO) একটি গাঢ় বাদামি রঙের ঝাঁঝাল গন্ধের গ্যাস।

(1) NOx এর প্রাকৃতিক উৎস :

নাইট্রোজেন মোচন প্রক্রিয়া অর্থাৎ ডিনাইট্রিফিকেশন (denitrification) প্রক্রিয়ার প্রভাবে নাইট্রাস অক্সাইড (NO) সৃষ্টির সম্ভাবনা থাকে। মাটি ও জলে থাকা নাইট্রেট লবণ বিজারিত হয়ে নাইট্রাস অক্সাইড তৈরি হয়।

(2) NO এর অপ্রাকৃতিক বা আর্থ-সামাজিক উৎস :

(a) কৃষিকাজের জন্য প্রচুর পরিমাণে নাইট্রোজেনঘটিত সার ব্যবহার করলে পরিবেশে নাইটস অক্সাইডের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়।

(b) পুকুর, জলাশয়, নদী ইত্যাদিতে প্রচুর জৈব বর্জ্য ফেলা হলে নাইট্রাস অক্সাইডের সৃষ্টি হয়।

(c) সার কারখানা, তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র, ধাতু নিষ্কাশন কেন্দ্র, জীবাশ্ম জ্বালানির দহন, যানবাহনপ্রভৃতি উৎস থেকে নাইট্রোজেন ডাইঅক্সাইডের সৃষ্টি হয়।

(3) জীবদেহের ওপর NO-এর প্রভাব :

শ্বাসকষ্ট হয়। ফুসফুসের রোগ হয় বায়ুতে NO-র মাত্রা 50–200 পিপিএম হলে এবং মৃত্যু হয় NO-র মাত্রা 500 পিপিএম-এর বেশি হলে।

(4) উদ্ভিদের ওপর NO-এর প্রস্তাব বিন, টমেটো প্রভৃতি গাছের স্বাভাবিক বৃদ্ধি ব্যাহত হয়।

(5) পরিবেশের ওপর NO-এর প্রভাব NO-এর জন্য বায়ুদূষণ বৃদ্ধি পায়। বায়ুমণ্ডলের উষ্ণতা বাড়ে। ওজোন স্তরের ক্ষতি করে। বায়ুমণ্ডলে অন্যান্য গ্যাসের সঙ্গে নাইট্রোজেন ডাইঅক্সাইড বিক্রিয়া করে নাইট্রিক অ্যাসিড (HNO) তৈরি করে ও অ্যাসিড বৃষ্টিতে সাহায্য করে।

11. বায়ুদূষণে হাইড্রোকার্বনের ভূমিকা কী?

হাইড্রোকার্বন হল জৈব যৌগ। কার্বন ও হাইড্রোজেন মিলে হাইড্রোকার্বন (HC) সৃষ্টি হয়। খনিজ তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাসের অন্যতম উপাদান হল হাইড্রোকার্বন। প্লাস্টিক, কৃত্রিম তত্ত্ব, কৃত্রিম রবার, বিস্ফোরক (explosives) ইত্যাদি প্রস্তুত করার জন্য হাইড্রোকার্বন কাঁচামাল হিসেবে কাজ করে। এই যৌগগুলি ওপেন চেন বা অচায় (Open Chain or Acyclic) এবং চীয় (Cyclic) গঠনের হয়। আলোচ্য যৌগগুলি লংপৃক্ত বা অসংপৃক্ত – দুধরনেরাই হতে পারে।

(1)হাইড্রোকার্বনের উদাহরণ হল মিথেন (CH2), ইথেন,  প্রপেন  বুটেন  ইত্যাদি।

(a) জলাজমিতে অনুজীবদের অবাত শ্বসনের ফলে মিথেন গ্যাস উৎপন্ন হয়।

(b) গবাদি পশুর জাবর কাটার ফলে মিথেন তৈরি হয়।

(2) HC-র অপ্রাকৃতিক বা আর্থ-সামাজিক উৎস

(a) যানবাহন ও কলকারখানা থেকে মিথেন ও অন্যান্য হাইড্রোকার্বন তৈরি হয়।

(b) জীবাশ্ম জ্বালানি, গবাদি পশুপালন, ধান চাষ, জৈব বর্জ্য, কম তাপে জৈব পদার্থের দহন প্রভৃতি কারণে মিথেন গ্যাস উৎপন্ন হয়।

(3) জীবদেহ ও উদ্ভিদের ওপর HC-র প্রভাব HC-র প্রভাবে শ্বাসকষ্ট, শরীরে জ্বালাভাব, চোখ জ্বালা করে। বেনজিন রক্তে লোহিত কণিকা কমায় ।

পরিবেশের ওপর HC-র প্রভাব :

হাইড্রোকার্বন নিজে কোনো ক্ষতি করে না। তবে সূর্যালোক ও নাইট্রোজেন অক্সাইডের সঙ্গে বিক্রিয়া করলে ক্ষতিকর আলোক-রাসায়নিক ধোঁয়াশা (Photo Chemical Smog) এবং অ্যাসিড বৃষ্টির আশঙ্কা তৈরি করে।

(4) আবার মিখেন জারিত (oxidized) হয়ে কার্বন ডাইঅক্সাইডে পরিণত হলে পরিবেশে গ্রিনহাউস প্রভাব

পড়ে। ক্লোরোরোকার্বন (CFCS) ওজোন স্তরের ক্ষতি করে।

12. বায়ুদূষণে কার্বনের অক্সাইডসমূহের ভূমিকা কী?

কার্বনের দুটি অক্সাইড যেমন— কার্বন মনোঅক্সাইড (CO) এবং কার্বন ডাইঅক্সাইড (CO2) বায়ুদূষক হিসেবে কাজ করে। কার্বন মনোঅক্সাইড একটি বর্ণ ও প্রায় গন্ধহীন গ্যাস। পক্ষান্তরে কার্বন ডাইঅক্সাইড হল কার্বনিক অ্যাসিড গ্যাস। এটি বর্ণহীন কিন্তু এর হালকা ঝাঁঝ আছে।

(1) প্রাকৃতিক উৎস :

(a) কয়লা খনিতে কোল গ্যাসে কার্বন মনোঅক্সাইডের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়।

(b) কার্বন ও কার্বন যৌগের জারণের ফলে কার্বন ডাইঅক্সাইডের সৃষ্টি হয়। এই গ্যাস বায়ুমণ্ডলে

গ্যাসীয় উপাদানগুলির মধ্যে অন্যতম।

(2) অপ্রাকৃতিক বা আর্থ-সামাজিক উৎস :

(a) কোক, কাঠকয়লা এবং অন্যান্য কার্বন-ঘটিত জ্বালানির অসম্পূর্ণ সহনের ফলে কার্বন মনোঅক্সাইড উৎপন্ন হয়।

(b) যানবাহনের ইঞ্জিন থেকেও কার্বন মনোঅক্সাইড সৃষ্টি হয়।

(c) ইস্পাত কারখানায় কার্বন মনোঅক্সাইড গ্যাস উৎপন্ন হয়।

(d) প্রাণীদের প্রশ্বাসে কার্বন ডাইঅক্সাইডের অস্তিত্ব থাকে।

(3) মানবদেহের ওপর প্রভাব :

(a) শ্বাসের মাধ্যমে কার্বন মনোঅক্সাইড (CO) জীবদেহে প্রবেশ করলে রক্তে হিমোগ্লোবিনের সঙ্গে বিক্রিয়া করে। ফলে অত্যন্ত বিষাক্ত কার্বোক্সি হিমোগ্লোবিন (Carboxyhemoglobin – COHb or HbCO) উৎপন্ন হয়। কার্বোক্সিহিমোগ্লোবিনের প্রভাবে রক্তে অক্সিজেনের জোগান ব্যাহত হয়। এর ফলে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।

(b) বিজ্ঞানীদের হিসেব অনুসারে কার্বন মনোঅক্সাইডের মাত্রা – 10 পিপিএম হলে দৃষ্টিশক্তি বিঘ্নিত হয়; 100 পিপিএম হলে মাথা ধরে ও মাথা ঘোরে; 250 পিপিএম হলে মানুষ অজ্ঞান হয়ে যায়; 700 পিপিএম-এর বেশি মাত্রায় মৃত্যু হয়।

(4) উদ্ভিদের ওপর প্রভাব :

উদ্ভিদ সালোকসংশ্লেষের জন্য CO2 গ্রহণ করে। CO2-র মাত্রা বৃদ্ধি পেলে উদ্ভিদের বাষ্পীয় প্রস্বেদনের (evapotranspiration) হার কমে। ফলে উদ্ভিদ তার চারপাশে বাষ্পীয়-ও য়-প্রস্বেদনের মাধ্যমে শীতল বাতাবরণ তৈরি করতে ব্যর্থ হয়। ফলে উষ্ণায়নের প্রকোপ বাড়ে।

(5) পরিবেশের ওপর প্রভাব :

CO, বায়ুমণ্ডলের উষ্ণতা বৃদ্ধি করে বলে এটি অন্যতম গ্রিনহাউস গ্যাস। এই কারণে CO2-কে “হিট ট্যাপার” (Heat trapper) বলে।

13. কার্বনের অক্সাইডসমূহের অন্তর্গত প্রধান বায়ু দূষকগুলি কী ?

কার্বন মনোঅক্সাইড (CO) ও কার্বন ডাইঅক্সাইড (CO2)।

14. নাইট্রোজেনের অক্সাইডসমূহের অন্তর্গত প্রধান বায়ু দূষকগুলি কী ?

নাইট্রিক অক্সাইড (NO), নাইট্রোজেন ডাইঅক্সাইড (NO2), নাইট্রাস অক্সাইড (N2O)।

15. সালফারের অক্সাইডসমূহের অন্তর্গত প্রধান বায়ু দূষকগুলি কী ?

সালফার ডাইঅক্সাইড (SO.) ও সালফার ট্রাইঅক্সাইড (SO)।

16. উদ্বায়ী জৈব যৌগসমূহের অন্তর্গত প্রধান বায়ু দূষকগুলি কী ?

মিথেন (CH.), প্রপেন,  বেনজিন (C.H), ক্লোরোফ্লুরোকার্বন (CFCs)।

17. ফটোকেমিক্যাল অক্সিডেন্টসমূহের অন্তর্গত প্রধান বায়ু দূষকগুলি কী ?

ওজোন (O), পারঅক্সিল নাইট্রেটসমূহ (PANs), হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড (H2O2), অ্যালডিহাইড) ভাসমান সূক্ষ্ণকণা (সাসপেনডেড পার্টিকুলেট ম্যাটার সংক্ষেপে SPM) সমূহের অন্তর্গত প্রধান

18. বায়ু দূষকগুলি কী?

(1) আর্সেনিক, তামা, সিসা, দস্তা, অ্যাসবেস্টস, নাইট্রেট ও সালফেট লবণ ইত্যাদির অতি সূক্ষ্ম কঠিন কণা। (2) সালফিউরিক অ্যাসিড, পলিক্লোরিনেটেড বাইফিনাইল (PCBs), কীটনাশক ইত্যাদির অতিসূক্ষ্ম তরল কণা।

19. তেজস্ক্রিয় পদার্থের অন্তর্গত প্রধান বায়ু দূষকগুলি কী ?

স্ট্রনসিয়াম-90, রেডন-222, আয়োডিন-111, প্লুটোনিয়াম-2391

20. ধোঁয়াশা বা (Smog) কাকে বলে?

বাতাসে নাইট্রোজেনের অক্সাইড এবং হাইড্রোকার্বনের সঙ্গে সূর্যরশ্মির আলোক-রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটলে যে ধোঁয়াটে অবস্থার সৃষ্টি হয় তাকে ধোঁয়াশা বা স্মগ (Smog) বলে। শহরাঞ্চলে বিকালবেলা, বিশেষত শীতকালে বিকালের দিকে ধোঁয়াশার উপস্থিতি বিশেষভাবে লক্ষ করা যায়।

21. পাথর ও কংক্রিট-এর ওপর বায়ুদূষণের প্রভাব কী?

যে সমস্ত বায়ুদূষক পাথর ও কংক্রিটের ক্ষতি করে তাদের মধ্যে অন্যতম হল সালফার ডাইঅক্সাইড SO,), সালফিউরিক অ্যাসিড (H2SO), নাইট্রিক অ্যাসিড (HNO3), বাতাসে ভাসমান ক্ষুদ্রকণা (SPM) ইত্যাদি। এই বাহকগুলির প্রভাবে পাথর ও কংক্রিটের তৈরি সৌধ, মিনার, গুপ্ত, অট্টালিকা, উপাসনাস্থল ইত্যাদি ধীরে ধীরে বিবর্ণ হয়ে পড়ে। পাথর ও কংক্রিটের পৃষ্ঠদেশে ময়লা জমে, এমনকি ক্ষয়ে যায়। এই কারণে কলকাতার ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল, আগ্রার তাজমহল প্রভৃতি সৌধগুলির ধীর অবক্ষয়ের আশঙ্কা রয়েছে।

22. ধাতব পদার্থের ওপর বায়ুদূষণের প্রভাব কী ?

যে সমস্ত বায়ুদূষক ধাতব পদার্থের ক্ষতি করে, তাদের মধ্যে অন্যতম হল সালফার ডাইঅক্সাইড (SO2), সালফিউরিক অ্যসিড (H,SO, ), নাইট্রিক অ্যাসিড (HNO), হাইড্রোজেন সালফাইড (HS), বাতাসে ভাসমান ক্ষুদ্রকণা (SPM) ইত্যাদি।

এই বায়ুদূষকগুলির প্রভাবে নানারকম ধাতব জিনিসের, যেমন— সেতু (bridge)-এর ক্ষতি হয়। ধাতব পদার্থের শক্তি কমে যায়, অনুজ্জ্বল হয়ে পড়ে, ক্ষয়ে যায়।

23. কাগজ ও চামড়ার ওপরে বায়ুদূষণের প্রভাব কী?

সালফার ডাইঅক্সাইড (SO2) কাগজ ও চামড়ার বিশেষ ক্ষতি করে। SO-এর প্রভাবে কাগজ ও চামড়া বিবর্ণ হয়ে যায়, শক্তি কমে যায়, উজ্জ্বলতা হ্রাস পায়।

24. কাচ ও সিরামিকের ওপরে বায়ুদূষণের প্রভাব কী ?

হাইড্রোজেন ফ্লুয়োরাইড (HF) [হাইড্রোয়োরিক অ্যাসিড ] এবং বাতাসে ভাসমান ক্ষুদ্রকণা (SPM) প্রভাবে কাচ ও সিরামিকের জিনিসের ক্ষয় হয়।

25. রবারজাত দ্রব্য ও জামাকাপড়ের ওপর বায়ুদূষণের প্রভাব কী?

ওজোন (O+) রবারজাত দ্রব্যের বিশেষ ক্ষতি করে। আর জামাকাপড়ের ক্ষতি করে যে সমস্ত বায়ুদূষক তাদের মধ্যে অন্যতম হল সালফার ডাইঅক্সাইড (SO), নাইট্রোজেন ডাইঅক্সাইড (NO2), ওজোন (O3), বাতাসে ভাসমান ক্ষুদ্রকণা (SPM)। এই বায়ুদূষকগুলির জন্য রবারের জিনিস ও জামাকাপড়ের শক্তি হ্রাস পায়, ঔজ্জ্বল্য নষ্ট হয়।

26. মানবদেহে বায়ু দূষকগুলির প্রভাব কী ?

(1) কার্বন মনোঅক্সাইড (CO)-এ প্রভাবে দৃষ্টিবিভ্রম, দৃষ্টিশক্তি হানি, মাথাধরা, মাথাব্যথা, মাথা ঝিমঝিম, অজ্ঞান হয়ে যাওয়া, রক্তের অক্সিজেন বহন ক্ষমতা কমে যাওয়া। এমনকি কার্বন মনোঅক্সাইডের প্রভাবে মৃত্যুও হতে পারে। বস্তুত CO একটি শ্বাসদূষক ও রক্তদূষক গ্যাস।

(2) কার্বন ডাইঅক্সাইড (CO2)-এর প্রভাবে শ্বাসকষ্ট ও শারীরিক নানা অস্বস্তি হয়।

(3) সালফার ডাইঅক্সাইড (SO2)-এর প্রভাবে শ্বাসকষ্ট, কাশি, চোখে অস্বস্তি, হৃদযন্ত্রে গণ্ডগোল, এমনকি মৃত্যুও হতে পারে।

(4) নাইট্রোজেনের অক্সাইডগুলি (NO) যেমন নাইট্রিক অক্সাইড (NO), নাইট্রোজেন ডাইঅক্সাইড (NO) এবং নাইট্রাস অক্সাইড (N, O)-এর প্রভাবে জীবদেহের কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্র (Central Nervous System) ক্ষতিগ্রস্ত হয়। রক্ত দূষিত হয়। ফুসফুসের ক্ষতি হয়। চোখ, নাক ও গলায় অস্বস্তি হয়। মৃত্যুও হতে পারে।

(5) হাইড্রোজেন সালফাইড (HS)-এর প্রভাবে মাথা ধরা, বমি ভাব, পেট খারাপ, চোখ ও গলা জ্বালা এমনকি শ্বাসকষ্টে মৃত্যু হতে পারে।

Read More:- Howrah District Details Description | Know Your District and Some Unknown Facts | Daily GK Update

Related Articles

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Latest Articles